Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যেসব গ্রাউন্ডে খালাস চান খালেদা জিয়া

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা

মালেক মল্লিক | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৮ এএম


জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় নি¤œ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছেন বিএনপির চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়া। আপিলে ৪১ পৃষ্ঠার মূল আবেদনের সঙ্গে নি¤œ আদালত থেকে আসা নথিপত্রসহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার নথিপত্র জমা দেয়া হয়। দুদক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এবং পক্ষপাতমূলকভাবে এ মামলার অভিযোগের অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, যা রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীর বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয়েছে। এছাড়াও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টকে প্রাইভেট ট্রাস্ট; তাই এখানে দুদক আইন প্রয়োজ্য নয়সহ অন্তত ২২টি গ্রাউন্ডে আপিল করা হয়। এতে সাজা বাতিল ও খালাস চাওয়া হয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখার খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আপিলটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে। এর আগে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত রায়ের সত্যায়িত কপি নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। গত ২৯ অক্টোবর ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ের কপি পাওয়ার ৪ দিন পর আপিল করেন তারা।
যেসব গ্রাউন্ডে খালাস চাওয়া হয়েছে:
দুদক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এবং পক্ষপাতমূলকভাবে এ মামলার অভিযোগের অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, যা রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীর বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয়েছে। মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে উপযুক্ত কোনো তথ্যপ্রমাণ ছিল না। এই মামলায় তাকে ধারণার ওপর নির্ভর করে অভিযুক্ত করা হয়েছে ও সাজা দেয়া হয়েছে। ট্রাস্টের ফান্ডে অবৈধ লেনদেন প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়াও আপিলে বলা হয়েছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট একটি প্রাইভেট ট্রাস্ট। এখানে যদি ট্রাস্টের শর্ত ভঙ্গ হয়, তাহলে ট্রাস্টের সদস্যরা মামলা করতে পারেন। এখানে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন প্রযোজ্য নয়। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া এই ট্রাস্টে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেননি। ট্রাস্ট নামে হিসাব খোলার আবেদন ফরমে খালেদা জিয়ার সই থাকলেও তার পদবী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ নেই। কিংবা তার প্রধানমন্ত্রী পদবীর কোনো সিলও নেই। এই ট্রাস্টের কোনো হিসাবেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নাম উল্লেখ নেই। এই ট্রাস্ট তিনি তার ব্যক্তিগত ক্ষমতাবলে পরিচালিত করতেন। ডা. ফারজানা আহমেদ নামের এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই মামলায় তার সাক্ষ্য বা কোনো লিখিত বক্তব্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট জিয়াউর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি ব্যাক্তিগত ট্রাস্ট,যা ট্রাস্ট আইন ১৮৮২ দ্বারা পরিচালিত হবে। ফলে এর বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষমতা দুদকের নেই। কারাগারের ভেতরে আদালত বসিয়ে বিচার করা বেআইনি বলে মনে করছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।মামলার ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার সম্পর্কিত বিচারিক আদালতের অনুসন্ধানটি মামলার মূল নথির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মামলার মেট্রো মেকারস অ্যান্ড ডেভেলপার্সের সব্যবস্থাপনা পরিচালকের ৫টি পে-অর্ডার সম্পর্কিত বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে অসত্য। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ইনকিলাবকে বলেন, প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার এই আপিলের সঙ্গে জামিনের আবেদনও রয়েছে। এই মামলায় অবৈধ ও অন্যায়ভাবে জেল জরিমানা করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আপিল করে সাজা বাতিল ও খালাস চাওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আপিল শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি করে দুদক। গত ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়ার ৭ বছরের সশ্রম কারাদÐের পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা অর্থদÐ দেন পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। অপর তিন আসামিকেও একই সাজা দেন। #####

 

 



 

Show all comments
  • Monir ২১ নভেম্বর, ২০১৮, ২:২৬ এএম says : 0
    যতই গ্রাউন্ডস থাকুক না কেন, মুক্তি মিলবে না। একমাত্র সরকারের পতন ঘটলেই খালাস সম্ভব। বিচারবিভাগের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনায় িএখন বড় চ্যালেঞ্জ।
    Total Reply(0) Reply
  • Alam Khan ২১ নভেম্বর, ২০১৮, ২:২৭ এএম says : 0
    দেশনেত্রীর মুক্তি চাই, দিতে হবে দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে শিগগিরই ভোটের মাঠে দেখতে চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • গাজী ২১ নভেম্বর, ২০১৮, ২:২৮ এএম says : 0
    দুদক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এবং পক্ষপাতমূলকভাবে এ মামলার অভিযোগের অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, যা রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীর বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Ameen Munshi ২১ নভেম্বর, ২০১৮, ২:২৯ এএম says : 0
    ইনশায়ল্লাহ!
    Total Reply(0) Reply
  • মানিক ২১ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:৪৮ এএম says : 0
    আসা করি বেগম জিয়া ন্যায় বিচার পাবে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ