Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

টাঙ্গাইলে শিশু জুয়েল হত্যা মামলার আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৮, ৫:৩৬ পিএম

টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত আলী চৌধুরী চাঞ্চল্যকর শিশু জুয়েল হাসান (৬) হত্যা মামলার আসামীকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। সেই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন এবং ৭ দিনের মধ্যে আসামী আপিল করতে পারবে।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় আসামীর উপস্থিতিতে তিনি এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত ব্যক্তির নাম আব্দুর রহিম (৩৭)। সে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিল মাগুরাটা গ্রামের মো. হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন টাঙ্গাইলের পিঁপিঁ এস আকবর খান। তাকে সহায়তা করেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নিজেরা করি এই মামলা দায়েরের পর বাদীকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিল মাগুরাটা গ্রামে ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে ধর্মসভাস্থলের পাশেই শিশু জুয়েল হাসানের বাবা শহিদুর রহমান ও মাতা রোজিনা বেগম চায়ের দোকান দেয়। চায়ের দোকানে শিশু জুয়েল অবস্থান করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে জুয়েল দোকান থেকে চলে যায়। পরে রাত ১টার দিকে ধর্মসভা শেষ হলেও জুয়েল ফিরে না আসায় তার পিতা-মাতা ও এলাকাবাসী বিভিন্নস্থানে খোজাখুজি করেও পায়নি। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পিচুরিয়া গ্রামের গোরস্থানের দক্ষিণ পাশে জনৈক আব্দুল মাসুদের ধান ক্ষেত থেকে জুয়েলের চোখ উপড়ে ফেলানো এবং রক্তাত্ব অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরে অজ্ঞাতনামা আসামী করে জুয়েলের মা রোজিনা বেগম ২০ নভেম্বর টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে টাঙ্গাইল ডিবির এস আই মো. ওবাইদুর রহমান ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেন।
২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রাথমিকভাবে জুয়েল হাসানকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরদিন ৫ জানুয়ারি আসামি আব্দুর রহিম স্বেচ্ছায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ হামিদুল ইসলামের কাছে শিশু জুয়েল হাসান হত্যার ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী প্রদান করে। স্বীকারোক্তি মুলক করেন বন্দীতে আসামী আব্দুর রহিম বলেন, জুয়েল হাসানের মাতার সাথে তার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। জুয়েল হাসান সব সময় মায়ের কাছাকাছি থাকতো। যার ফলে পরকীয়া সম্পর্কে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় জুয়েল হাসানের মাতা রোজিনা বেগমের অজান্তেই শিশু জুয়েলকে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করে।
মামলার বাদী, চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট, তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ১০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট আরফান আলী মোল্লা ও এডভোকেট শামস্ উদ্দিন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ