Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

টঙ্গী মাঠে হামলার বিচার ও দ্রুত মাঠ হস্তান্তর দাবি

উলামায়ে কেরাম ও কাকরাইলের শূরা সদস্যগণ

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের প্রস্তুতির কাজে নিয়োজিতদের ওপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও কাকরাইলের শূরা সদস্যগণ। রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আইনের আওতায় এনে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে টঙ্গীর ময়দান এতোদিন যেভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিলো, সেই শুরার নিকট হস্তান্তরের দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত কর্মসূচি হচ্ছে, আজ সারাদেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মরাকলিপি প্রদান।
গতকাল বিতর্কিত সা’দ ও ওয়াসিফপন্থী সন্ত্রাসীদের নগ্ম হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন মাওলানা আমানুল হক। উপস্থিত ছিলেন শায়খুল হাদীস আল্লামা আশরাফ আলী, মাওলানা মুহাম্মদ যোবায়ের, মাওলানা উমর ফারুক, মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা রবিউল হক, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারীয়া, মাওলানা লোকমান হোসেন, মাওলানা মুনিরুজ্জামান, মাওলানা জহির ইবনে মুসলিম প্রমূখ। সংবাদ সম্মেলনের অন্যান্য দাবি হচ্ছে-আহত নিহতদের ক্ষতি পূরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। অতিসত্তর কাকরাইলের সকল কার্যকলাপ হতে ওয়াসিফ ও নাসিমগংকে বহিস্কার করা। সারাদেশে উলামায়ে কেরাম ও শূরা ভিত্তিক পরিচালিত তাবলীগের সাথীদের ওপর হামলা মামলা বন্ধ করে পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। টঙ্গীর আগামী ইজতেমা যথাসময়ে পূর্ব ঘোষিত ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় তাবলিগের কাজ শুরুর পর ১৯২৪ সাল থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত একাজে কোনো মতবিরোধ ছিলো না। তৃতীয় আমির হযরত এনামুল হাসান (রহ.)-এর ইন্তেকালের পর একক আমির নিয়োগের বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। তখন সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয় একাজে কোনো আমীর থাকবে না। শূরা ও তাৎক্ষনিক ফয়সালার মাধ্যমে সকল কাজ সম্পাদিত হবে। হযরত এনামুল হাসান (রহ.) দশজনের যে তালিকা দিয়েছিলেন সে অনুযায়ি ১৯৯৫ থেকে গত বিশ বছর একাজ শূরার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়ে আসছিলো। কিন্তু হঠাৎ মাওলানা সা’দ নিজেকে আমির দাবি করায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অথচ কোনো পরামর্শ সভাতে তাকে আমির নিযুক্ত করা হয়নি। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন সময় কুরআন সুন্নাহ বিরোধী বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন।
এমতবস্থায় হকপন্থী সকল উলামায়ে কেরাম সিদ্ধান্ত নেন, মাওলানা সা’দ তার শরীয়ত বিরোধী বক্তব্য প্রত্যাহার ও দারুল উলুম দেওবন্দের আস্থা অর্জন না করা পর্যন্ত তাবলিগের কাজে তার কোনো সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না। সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপস্থিত সা’দ বিরোধীরা বায়তুল মোকারম উত্তর গেটে বিক্ষেভ মিছিল শেষে বিশাল সমাবেশে হামলাকারীদের কঠিন বিচার দাবি করেন। বক্তব্য রাখেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবিন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টঙ্গী মাঠে হামলা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ