Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা

প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতজুড়ে তীব্র দাবদাহ। থাইল্যান্ডে দুই বছর ধরে খরা। ভিয়েতনামে বিপুল পরিমাণ জমি শুকিয়ে চৌচির। সব মিলিয়ে এক দশক পর আবারো বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর ইকোনমিক টাইমস।
তীব্র দাবদাহে পুড়ছে এশিয়ার শীর্ষ চাল উৎপাদনকারী দেশগুলো। এ মহাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক ভারত, দ্বিতীয় শীর্ষ সরবরাহকারী থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে এ বছর চাল উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে কমবে। এ কারণে মূল্য বৃদ্ধি ঘটবে পৃথিবীর অর্ধেক মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য ধানের। বিশ্ববাজারে চালের বাণিজ্যে ৬০ শতাংশের বেশি অবদান এ তিন দেশের। এল নিনো আবহাওয়ার কারণে তিন দেশেই এ বছর আবাদ কমেছে। ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইনস কাউন্সিল (আইজিসি) আশঙ্কা করছে, শিগগিরই চালের আন্তর্জাতিক বাজারে বিষয়টির প্রভাব পড়বে। আইজিসির অর্থনীতিবিদ জেমন ফেল বলেন, এ পর্যন্ত চালের বাজারে শুষ্ক ও গ্রীষ্ম মৌসুমের প্রভাব সেভাবে দেখা যায়নি। ভারত ও থাইল্যান্ডে বিপুল উদ্বৃত্ত থাকায় বাজার স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এসব দেশের মজুদ তো অনন্তকাল থাকবে না। চলতি বছরের শেষ নাগাদ উলিখিত তিনটি দেশের চাল মজুদ এক-তৃতীয়াংশ কমবে। ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মজুদ তখন ১ কোটি ৯০ লাখ টনে নেমে আসবে। ২০০৩ সালের পর এটাই বছরওয়ারি মজুদে সর্বোচ্চ হ্রাস। মার্কিন কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে রয়টার্স এ কথা জানিয়েছে।
চাল সরবরাহে যেকোনো বিচ্যুতি বাজারের জন্য ভীষণ স্পর্শকাতর হতে পারে। ২০০৮ সালে এল নিনোর কারণে ভারত সরকার চাল রফতানি নিষিদ্ধ করেছিল। ফলে বৈশ্বিক বাজারে শস্যটির দাম দ্রুত বেড়েছিল। হাইতিতে তখন খাদ্য নিয়ে দাঙ্গা বাধে।
ফিলিপাইনের মতো বড় আমদানিকারকরা সে সময় নাটকীয় কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। মজুদদারি ঠেকাতে সেনাবাহিনী মাঠে নামানো হয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ