Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসির নজিরবিহীন পক্ষপাতিত্ব

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৯ এএম

ঢাকার হাইকোর্ট অঙ্গন থেকে শুরু করে পুরান ঢাকার জজ কোর্ট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টসহ সারাদেশের জেলা পর্যায়ের আদালতগুলোর আঙ্গিনায় ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই’ অবস্থা। কোথাও ধানের শীষের প্রার্থীরা জামিনের আবেদন নিয়ে হাজির হচ্ছেন; কোথাও কর্মীরা জামিন চেয়ে আবেদন করছেন; কোথাও গ্রেফতার ঠেকাতে আগাম জামিনের আবেদন, কোথাও স্বামী-স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে পুলিশি গ্রেফতার ঠেকাতে আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছেন। কোর্ট-কাচারীগুলোয় হাজার হাজার বিচারপ্রার্থীর উপস্থিতির নজিরবিহীন এমন দৃশ্য অতীতে কোনো ভোটের সময় দেখা যায়নি।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ এখন জাতীয় দাবি। জনগণের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের গন্ডি পেরিয়ে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক মহল থেকেও এই দাবি উঠেছে। প্রভাবশালী দেশ, সংস্থা এবং ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকরাও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবিতে দৌড়ঝাঁপ করছেন। বিশ্বরাজনীতি-অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করেন এমন প্রভাবশালী কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক-অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং আগামীতে বন্ধুত্ব থাকবে কি না তা নির্ভর করছে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ওপর। অথচ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি দূরের কথা কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন নিজেরাই পক্ষপাতিত্বের দোষে অভিযুক্ত। নির্বাচনকালীন সময়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব ক্ষমতা ব্যবহারের বদলে ক্রমান্বয়ে তারা ইসিকে ক্ষমতাসীন দলের আজ্ঞাবহ করে তুলছেন।
সারাদেশে যারা ভোট গ্রহণ করবেন সেই ডিসি, এসপি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গঠনের নির্দেশনা তো দেনইনি; উল্টো তাদের পক্ষপাতিত্বের দিকেই উস্কে দিয়েছে ইসি। নির্বাচন কমিশনে দফায় দফায় ডেকে এনে সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, সংলাপের নামে এটা করা হয়। এতে জেলায় জেলায় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে নজিরবিহীন তুঘলঘি কান্ড করেছে রিটার্নিং অফিসাররা। সামান্য ত্রুটির জন্য কারো কারো প্রার্থিতা বাতিল করা হলেও গুরুতর অভিযোগের পরও অনেকের মনোনয়ন বৈঠক করা হয়। একই অপরাধ তথা ঋণখেলাপি হওয়ায় কিছু মনোনয়ন বাতিল করা হয়; আবার একই অপরাধে অভিযুক্ত অনেকের মনোনয়ন বৈধ করা হয়। সামান্য বিদ্যুৎ বিল খেলাপি বাতিল আর ঋণখেলাপি বৈধ! এমনকি একই ব্যক্তি ঢাকায় এবং ফেনীতে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে ঢাকার মনোনয়ন বাতিল করা হয়; কিন্তু ফেনীতে গ্রহণ করা হয়। নির্বাচন কমিশনের এই দ্বিমুখী নীতিতে কি আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সম্ভব? নির্বাচনী পরিবেশ এমন পর্যায়ে গেছে যে, নির্বাচন কমিশন ভোটের রেফারিংয়ের নামে নিজেই একটি পক্ষে হেলে পড়েছে। রেফারি পক্ষ নিলে কি মাঠের খেলা নিরপেক্ষ হয়?
‘সিইসি’ শব্দটি উচ্চারণ করলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে সাবেক সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদের নাম। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে তার ভূমিকা দেশ-বিদেশে নিন্দিত। ক্ষমতাসীনদের ‘নাচের পুতুল’ ওই কাজী রকিব এখন ইতিহাসের পাতায় ১৭৫৭ সালের বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর আলী খাঁর সঙ্গে তালিকাভুক্ত। জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে কাজী রকিব যে পথে হেঁটেছেন বর্তমান সিইসি কে এম নূরুল হুদাও যেন সে পথেই চলতে শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, সেটাকে এক ডিগ্রি বৃদ্ধি করে নৈতিকতার মাথা খেয়ে নিজের ভাগিনাকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী করেছেন।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে প্রশাসনের সচিব-বিভাগীয় কমিশনার-ডিসি-এসপি এমন ৯২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তাদের বদলি ও প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পরিচিতি, কর্মকান্ডের তথ্যও দেয়া হয় নির্বাচন কমিশনে। এদের মধ্যে মাত্র একজন এসপি (নারায়ণগঞ্জ) বদলি করে সেখানে আরো কট্টর আওয়ামীপন্থী ও বিতর্কিত ব্যক্তিকে পদায়ন করা হয়। গত কয়েক দিন থেকে সারাদেশে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্ট অঙ্গন থেকে শুরু করে রাজধানীর ঢাকা জজ কোর্ট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, সারাদেশের জেলা পর্যায়ের আদালতগুলোর আঙ্গিনায় ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই’ অবস্থা। কোথাও ধানের শীষের প্রার্থীরা জামিনের আবেদন নিয়ে হাজির হচ্ছেন; কোথাও বিএনপি কর্মীরা জামিন চেয়ে আবেদন করছেন; কোথাও গ্রেফতার ঠেকাতে আগাম আবেদন করছেন, কোথাও স্বামী-স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে পুলিশি গ্রেফতার থেকে রক্ষা করতে আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছেন। দেশের কোর্ট-কাচারীগুলোতে এমন হাজার হাজার বিচারপ্রার্থীর উপস্থিতির নজিরবিহীন দৃশ্য অতীতে কোনো ভোটের সময় দেখা যায়নি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আদালতপাড়া বিচারপ্রার্থীর পদচারণায় গম গম করে। অসহায় বিচারপ্রার্থীদের বেদনা-যন্ত্রণার ছাপ দেখে অনেক পেশাদার আইনজীবীকে চোখের পানি ফেলার দৃশ্যও দেখা গেছে। অথচ তফসিল ঘোষণার পর নতুন করে গ্রেফতার, গায়েবি মামলায় গ্রেফতারসহ প্রার্থীসহ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি না করা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অন্যতম। রাজধানী ঢাকা থেকে তৃণমূল গ্রাম পর্যন্ত এখনো আতঙ্ক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ভোটার ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে। ভোট হবে কি না সেটা নিয়েই সংশয়ে মানুষ। অন্যদিকে তফসিল ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সারাদেশে ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যারা দলীয় কর্মীদের হত্যা করেছেন তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শোনা যায়নি। মনোনয়ন দাখিলের আগে ঢাকার মোহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও নৌকা প্রার্থী সাদেক খানের গ্রুপের সংঘর্ষে ২ জন প্রাণ হারায়। এ ঘটনা মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হওয়ায় খুনিকে গ্রেফতার করা হয় বটে; তবে ৪ ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
মাঠপর্যায়ে ভোটের লাগাম যাদের হাতে সেই রিটার্নিং অফিসারদের (ডিসি) নৌকার প্রার্থীর অনুক‚লে নজিরবিহীন পক্ষপাতিত্ব নির্বাচনের আগেই ভোট প্রক্রিয়াকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। অধিকাংশ রিটার্নিং অফিসার মূলত আইনের অধীনে থেকে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের বদলে দলবাজি ও খেয়ালখুশি মতো প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ-বাতিল করেন। দেখা যায় সারাদেশে ১৪১ জন ধানের শীষ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। আর নৌকা প্রতীকের মাত্র ৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তাছাড়াও আওয়ামী লীগ থেকে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হন তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় ব্যাপকভাবে।
জাসদের শহীদ উদ্দিন মাহমুদ ঢাকা-১৮ ও ফেনী-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই কাগজ ও তথ্যে দাখিল করা মনোনয়নপত্র ফেনী-১ এ রিটার্নিং অফিসার গ্রহণ করেন; অথচ ঢাকায় রিটার্নিং অফিসার ঢাকা-১৮ মনোনয়ন বাতিল করে দেন। ঋণখেলাপির অভিযোগে পটুয়াখালী-১ থেকে জাতীয় পার্টির বরখাস্ত মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলদারের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। অথচ দলটির নতুন মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গার হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করলেও রংপুর-১ এ তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। ৫ হাজার টাকা ক্রেডিট কার্ডে বাকি থাকায় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী হবিগঞ্জের ড. রেজা কিবরিয়ার মনোনয়ন বাতিল হয়। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় চট্টগ্রামে মোর্শেদ খানের মনোনয়ন বাতিল হয়। অথচ বিকল্পধারার মেজর (অব:) আবদুল মান্নান, মাহী বি চৌধুরী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয় কোটি কোটি টাকা ঋণখেলাপি হওয়ার পরও। আদালতে সাজা এবং ঋণখেলাপি হওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা আব্বাস, রুহুল কবির তালুদকার দুলু, আমান উল্লাহ আমান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুল করিম আব্বাসী, বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, শাহ মজিবুল হক, আসলাম চৌধুরী, গিয়াস কাদের চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, সামির কাদের চৌধুরী, ওয়াদুদ ভূইয়া, আফরোজা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। হলফনামায় সই না দেয়ায় মনোনয়ন বাতিল হয় গোলাম মাওলা রনির। অথচ সাজাপ্রাপ্ত ঢাকার হাজী মোহাম্মদ সেলিম, চাঁদপুরের ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বরিশাল-৪ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়। খুলনায় নৌকা মার্কার একাধিক প্রার্থীর হলফনামা অসম্পূর্ণ থাকায় ডিসি অফিসে ডেকে এনে তা পূরণ করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের পরও ধানের শীষের প্রার্থী সরকার বাদল, মোর্শেদ মিলটন, আশফাক হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। মানিকগঞ্জে ঘটেছে নজিরবিহীন ঘটনা। জেলার তিনটি আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের জমা দেয়া মনোনয়নে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘সই ভুয়া’ অভিযোগ তুলে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। ওই মনোনয়ন বাতিলের আগে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিসি একবারও মির্জা ফখরুলকে ফোন করে তার সই আসল-নকল জানার প্রয়োজন মনে করেনি। এ নিয়ে মির্জা ফখরুল নির্বাচন কমিশনে তীব্র প্রতিবাদ করে সেগুলো গ্রহণের দাবি জানান। অবশ্য বাতিল হওয়া প্রার্থিতা ফেরত পেতে আবেদনকারীদের আবেদনের শুনানি আজ থেকে ইসিতে শুরু হচ্ছে। ভোটের আগেই বিতর্কিত ইসি সেখানে কতটুকু নিরপেক্ষ থাকবে তা দেখার জন্য দেশবাসী অপেক্ষা করছে। নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বী এক পক্ষ নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমেছে। অপর পক্ষ ধানের শীষের প্রার্থীরা পুলিশের হয়রানি থেকে বাঁচতে আদালতপাড়ায় জামিনের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। প্রার্থীদের কেউ কেউ এখনো কারাগারে রয়েছেন। ভোটযুদ্ধে নামা প্রার্থীদের এই বিপরীতমুখী দৃশ্যে কি ইসির নিরপেক্ষতার প্রমাণ দেয়? তবে দেশের বিশিষ্টজন, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন মিডিয়ায় লেখালেখি, সাক্ষাৎকার ও টিভির টকশোতে ইসির বিতর্কিত ভ‚মিকাকে নজিরবিহীন এবং পক্ষপাতমূলক হিসেবে অবিহিত করছেন। তাদের বক্তব্য এখন পর্যন্ত ইসির যে দুর্বল ভূমিকা তা কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদের মতোই। তবে ইসি ক্ষমতাসীনদের তল্পিবাহকের অবস্থান থেকে সরে এসে নিজেদের ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে নিরপেক্ষ ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হবেন সবাই সে প্রত্যাশা করছে।



 

Show all comments
  • Rezowane Hossain ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৫ এএম says : 7
    সাকিব আল হাসান কিংবা সোলায়মান শুখন কে দিয়ে উন্নয়নের গল্প আবৃত্তি করিয়ে কি লাভ; যখন কানে বাজে সেই রাষ্ট্রের এক সন্তানের আহাজারি - "আমাকেও গুম করে দিন,বাবাকে দেখতে পারবো" জলজ্যান্ত একেক জন মানুষ হারিয়ে যায় , দিন মাস বছর পার হয়ে যায় কিন্তু তার আর কোন হদিস পাওয়া যায় না। দেশের লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়ে যায় আপনি জানেন না , বাবাকে হারানো শিশুর আর্তচিৎকার আপনাদের কান পর্যন্ত পৌঁছায় না; আপনার কানে পৌছায় ব্যস্ত শহরে গাড়ির হর্ন, ওইটাই আপনার উন্নয়ন, উন্নয়নের গান, জিডিপির গান!! কোথায় পদ্মা সেতু? কোথায় মেট্রো রেল? যদি কখনো শেষ হয় এগুলোর কাজ, তখন কি ওদের বাবা ফেরত আসবে? বাবার রাজকন্যা আজ সেই রাজ্যে যেতে চায় বাবার সাথে দেখা করতে,, গুম রাজ্যে!!
    Total Reply(0) Reply
  • Gr Parvez ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৫ এএম says : 25
    এই নির্বাচনে ও সরকার একতরফা ভাবে জিতবে কারন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন করা খুব কঠিন!!যদি বিরোধী দল বড় কোন কিছু করতে তাহলে কিছুটা ছাড় পাবে এছাড়া না!এমনিতে নতুন মামলা আসামী করা হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Helal Masud ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৬ এএম says : 10
    আজকে যদি বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের জাগায় আওয়ামীলীগ তথা মহাজোট থাকতো তাহলে এই ইসি কে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে মাথা কামিয়ে লেন্টা করে পিটিয়ে কান ধরিয়ে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত হিজরত করাতো,
    Total Reply(0) Reply
  • Rubel Hossain ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৬ এএম says : 5
    নির্বাচন বাংলাদেশের জনগনকে ভালো করে হাতে কলমে শিক্ষা দিচ্ছে ইসি ও সরকার। আর বিরোধীদলকে শিক্ষা দিচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর পুলিশ ও প্রশাসন এবং বিচার বিভাগ।
    Total Reply(0) Reply
  • Jonakir Alo ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৭ এএম says : 5
    বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ৯০০কোটি টাকা ফেরত চাই, কয়লা ও পাথরের সন্ধান চাই, সোনা কেমনে তামা হল জবাব চাই, সব গুম-খুনের বিচার চাই, সব হিসাব পাওয়ার পর, সব বিচার পাওয়ার পর ভোট দিতে চাই। হিসাব নাই তো ভোট নাই। জবাব নাইতো ভোট নাই। বিচার নাই তো ভোট নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohi Uddin ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৭ এএম says : 7
    ইসির পক্ষপাতীত্ব জনগন ভোটের অধিকার হারাবে!। এই পক্ষপাতীত্বের আস্ফালনে সরকারী দল জনগনের অধিকার ভোট কেড়ে নেয়ার সব আয়োজন জনগনের মূখে মূখে!!
    Total Reply(0) Reply
  • Osman Khan ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৭ এএম says : 2
    নুরুলহুদাকে আওয়ামীলীগ এর মনোনয়ন দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি
    Total Reply(0) Reply
  • Mostafa Sarkar ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৮ এএম says : 3
    বিএনপি নেতাদের কথামতো ধানের শীষে ভোট দিলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে কিন্তু দেশের জনগণ কি পাবে ?
    Total Reply(0) Reply
  • Monir uddin ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৫ এএম says : 4
    নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ কাজ করলেও বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্য হবেনা। কারণ , তারা ইসিকে মেনে নিতে পারছেনা। বিএনপি সমর্থক একজনকেই ইসির দায়িত্ব দিলেই কেবল তারা বিশ্বাস করতে পারবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৩:১৩ এএম says : 1
    জাতীয় বেঈমান ভারতের দালাল সকল ঘৃণিত, দেশের যাহা ক্ষতি করিয়াছে কড়ায় গন্ডায় আদায় করা হোক। আর সকল জাতীয় বেঈমানদের জুতা পেটা করিয়া বুজানো হোক ওরা জাতীয় বেঈমান।
    Total Reply(0) Reply
  • Khan of Gopalgonj. ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:২৩ এএম says : 0
    BAL and CEC ? It ca not DIFFERENTIATE ! I am not JAMAYETH. Review and respond to it and be appreciated.
    Total Reply(0) Reply
  • jack ali ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৯:৫৬ পিএম says : 0
    In Islam there is no there place for division ... Allah [SWT] warned us regarding division...Division means fighting...Division means looting, division means cold blooded murder, division means enforced disappearance... division means lying and bragging In Islam if we were to chose a leader...a committee will be formed numbering from 6/8...they will be extremely expert in Qur'an and Hadith, Honest, pragmatic approach ,, highly intelligent... among them each will have the capacity to find out any ruling from the Qur'an and Hadith. This Committee will select a person like them as leader who will rule the country By the Divine Law Qur'an...Non Muslim Historian Nicolson commented about Qur'an: "An encyclopedia for Law of Legislation....So choosing a leader is so simple and easy whereas these namesake muslim created serious division among our nation and in the name of Voting they are wasting our hard earned billions of taka not only that of course the ruling party will come victrious because no power except Allah can remove them. They love blood/sef praising/power/ wealth....They will never leave these luxurious life style.....May Allah Guide our Nation Ameen....
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ