Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কাল্পনিক অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে - জামায়াত

প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সরকার পরিকল্পিতভাবে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছে জামায়াতে ইসলামী।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার পর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এ অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, “মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী জামায়াতের আমির, পার্লামেন্টারিয়ান, একজন পরিচ্ছন্ন জাতীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা। সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব শূন্য করার উদ্দেশ্যেই এই সংগঠনের আমির মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে কথিত মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। তার বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে যে সব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক। যার প্রমাণ তার জন্মস্থান পাবনার একজন মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডারসহ ৩ জন বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা। তারা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ট্রাইব্যুনালে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন সেখানে তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন, মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরও মাওলানা নিজামীকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করায় দেশবাসী বিস্মিত, হতবাক ও গভীরভাবে মর্মাহত। মাওলানা নিজামী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
তারা বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য কথিত মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের নামে মাওলানা নিজামীকে হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শুরু থেকেই সরকার এই বিচার কার্যক্রমকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।
২০১৩ সালে তদানীন্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিশরে গিয়ে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও আব্দুল কাদের মোল্লার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করে বক্তব্য রাখেন। সরকারের মন্ত্রী ও দলীয় নেতাগণ নিজামী, মুজাহিদ ও সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে মর্মে দফায় দফায় ঘোষণা দেন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ গঠিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী গণজাগরণ মঞ্চের দাবি বিবেচনায় নিয়ে রায় দেয়ার জন্য বিচারপতিদের প্রতি আহ্বান জানান। সরকারের অন্যায়, অযৌক্তিক, বেআইনি ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা প্রসূত হস্তক্ষেপ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়।
জামায়াত নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হীন উদ্দেশ্যেই সরকার দেশি-বিদেশি সকল মহল ও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার আহ্বান উপেক্ষা করে পরিকল্পিতভাবে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে একের পর এক হত্যা করেই চলেছে। মাওলানা নিজামীকে হত্যার মাধ্যমে সরকার শুধু জামায়াতে ইসলামীকেই নেতৃত্ব শূন্য করতে চায় না, বরং একজন গণতান্ত্রিক জাতীয় নেতৃত্ব থেকে দেশকে বঞ্চিত করতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি একের পর এক নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে ইসলামী আদর্শকে হত্যা করা যাবে না। মাওলানা মতিউর রহমান নিজামতসহ শহীদ নেতৃবৃন্দের সহকর্মীরা হত্যার বদলে হত্যা নয়, ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়ন করেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বদলা নেবে ইনশাআল্লাহ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ