Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় হুদাইদাহ বন্দরে যুদ্ধবিরতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় লোহিত সাগরের বন্দর শহর হুদাইদাহতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইয়েমেনে যুদ্ধরত পক্ষগুলো। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, হুদাইদাহতে নিরপেক্ষ বাহিনী মোতায়েন ও একটি মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার বিষয়েও সম্মতি হয়েছে। এছাড়া সঙ্কট সমাধানে একটি রাজনৈতিক কাঠামো গঠনের আগামী বছরের জানুয়ারিতে পরবর্তী ধাপের আলোচনার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। সউদী রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন হাদি। হুথিদের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে সউদী আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সউদী জোটের অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক নারী-শিশুও রয়েছে। অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুল কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর এই যুদ্ধের সমালোচনা তীব্র হতে থাকে। ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে মানবিক সহায়তার জন্য ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
গত বুধবার ইয়েমেনে সউদী আরব ও তাদের মিত্রদের সামরিক সহায়তা বন্ধে চাপ জোরালো করার পক্ষে ভোট দেয় মার্কিন সিনেট। অপরদিকে জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় সুইডেনে শান্তি আলোচনায় বসেন হুথি বিদ্রোহী এবং সউদী জোটের প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার ওই আলোচনার শেষে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, বন্দর শহর হোদায়দাহ ছাড়াও এই যুদ্ধবিরতির আওতায় থাকবে সীমান্তবর্তী প্রদেশ। তিনি বলেন, উপত্যকা ও শহর থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে বিদ্রোহীরা। আর জাতিসংঘ সমর্থিত ইয়েমেন সরকারের স্থানীয় বাহিনী হোদায়দাহ শহরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
গুতেরেস বলেন, বন্দরে ভূমিকা রাখবে জাতিসংঘ আর বেসামরিক মানুষের ত্রাণ ও খাবার সরবরাহের প্রবাহ ঠিক রাখতে সহায়তা করবে। হোদায়দাহ বন্দরে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় উভয় পক্ষকেই ধন্যবাদ জানান জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, সঙ্ঘাত বন্ধের পথে এটা সত্যিকার অগ্রগতি। তবে এখনও রাজনৈতিক ফ্রেমওয়ার্ক বা বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সানা বিমানবন্দর খুলে দেওয়ার বিষয়ে কোনও চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি বিবদমান পক্ষগুলো। এসব বিষয়ে ২০১৯ সালের শুরুতেই আলোচনা করা হবে।
ইয়েমেনে যুদ্ধরত সউদী জোটের অন্যতম মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গার্গিস এই অগ্রগতিকে উৎসাহব্যঞ্জক বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, হোদায়দাহর মর্যাদার বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে। টুইটারে তিনি লিখেছেন, লোহিত সাগর ও হোদায়দাহ ঘিরে হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক চাপ অব্যাহত রাখার কারণেই এই কূটনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ