Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধ : এক সেনাসহ নিহত ৮

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামীদের বন্দুকযুদ্ধে এক সেনাসহ ৮ জন নিহত হয়েছে। নিহত ৭ জন বেসামরিক লোক। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল শনিবার ভোরে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পুলওয়ামা জেলায় একটি ফলের বাগানে তিন বিছিন্নতাবাদী লুকিয়ে আছে- এই খবর পাওয়ার পর শনিবার ভোরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশ জানায়, যৌথভাবে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সিআরপিএফ এর সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে বিছিন্নতাবাদীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
বন্দুযুদ্ধে হতাহতের এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। হতাহত বেসামরিক কাশ্মীরীদের সমর্থনে রাস্তায় নেমে আসেন কয়েকশ’ জনতা। মিছিলে ভারতীয় শাসনের অবসানের দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পাথর ছুড়ে মারেন বিক্ষোভকারীরা। জবাবে পুলিশ তাজা-ছররা গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছুড়ে। এতে ছয়জন বেসামরিক নিহত ও অন্তত ২২ জন আহত হন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে। নাম প্রকাশে অনিছুক দুই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ভারতবিরোধী বিক্ষোভের সময় বেসামরিক নাগরিকেরা নিহত হয়েছেন। উবায়েদ আহমেদ নামের স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সংঘর্ষের স্থান থেকে কিছুটা দূরে সাঁজোয়া যান থেকে সেনারা একদল মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। রাস্তা অবরোধ করায় এক ব্যক্তিকে গুলি করে তারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানায়, ছয় বেসামরিক নাগরিকের নিহতের ঘটনায় পুলওয়ামার একাধিক অঞ্চলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তাবাহিনী বিক্ষোভ দমনে টিয়ার গ্যাস, ছররা গুলি ও তাজা গুলি ব্যবহার করছে। এসব সংঘর্ষে আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কার পুলওয়ামা অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কাশ্মিরে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর কেউ কেউ সরাসরি স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনরত। কেউ কেউ আবার কাশ্মিরকে পাকিস্তানের অঙ্গীভূত করার পক্ষে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মিরের জাতিমুক্তি আন্দোলনকে বিভিন্ন জঙ্গিবাদী তৎপরতার থেকে আলাদা করে শনাক্ত করে না। সন্দেহভাজন জঙ্গি নাম দিয়ে বহু বিদ্রোহীর পাশাপাশি বেসামরিকদের হত্যার অভিযোগ রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।
স¤প্রতি কাশ্মিরে বিদ্রোহীদের প্রতি তরুণদের সমর্থন বাড়ছে। প্রায়ই বিদ্রোহীদের সমর্থনে রাজপথে নামছে সেখানকার তরুণরা। একই সময়ে সেখানে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযান জোরদার হয়েছে। ২০১৮ সালে এখন পর্যন্ত ২৩৮ জন বিদ্রোহী, সরকারিবাহিনীর ১৫০ জন ও ১৫০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ২০০৯ সালের পর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে হতাহতের সংখ্যা এটাই সর্বোচ। সূত্র : এবিসি নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ