Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ক্ষয়ে যাচ্ছে শনির গ্ল্যামার বলয়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:৪২ পিএম

জন্মের সময় ছিল আর ৮টার মতোই সাদামাটা! মাঝবয়সে এসে বলয় যোগ হয়ে বেড়ে গিয়েছিল শনির গ্ল্যামার। কিন্তু এই ‘রূপ’ আর থাকবে না বেশি দিন। দ্রুত গ্ল্যামার হারাচ্ছে আমাদের সৌরমণ্ডলের ৬ষ্ঠ গ্রহ- শনি। তাকে ঘিরে থাকা অবাক করা একের পর এক বলয় (রিং) খুব দ্রুত ক্ষয়ে যাচ্ছে। বলয়ে জমে থাকা বরফ অত্যন্ত দ্রুত হারে ঝরে পড়ছে। আমাদের সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে ‘হ্যান্ডসাম’ গ্রহ শনি এই ভাবেই তার যাবতীয় সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলছে।
‘ক্যাসিনি’ মহাকাশযানের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে এ কথা জানতে পেরেছে মেরিল্যান্ডে নাসার গর্ডার্ড স্পেস সেন্টারের জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেমস ও’দোনাঘুর নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক গবেষকদল। যে গবেষকদলে রয়েছেন দুই অনাবাসী ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী এস আর রামানুজন ও অশ্বিন মলহোত্রও। তাদের গবেষণাপত্রটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘ইকারুস’-এ প্রকাশিত হয়েছে সোমবার।
গবেষকরা ক্যাসিনি মহাকাশযানের পাঠানো তথ্য খতিয়ে দেখে জানতে পেরেছেন, আর বড়জোর ১০ কোটি বছর। তার পর আর একটিও বলয় থাকবে না শনির। তা হয়ে পড়বে একেবারেই গ্ল্যামারহীন!
গবেষকদলের অন্যতম সদস্য প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস আর রামানুজন জানিয়েছেন, আমাদের সৌরমণ্ডল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পথে এক দশক আগেই শনির গা ঘেঁষে যাওয়ার সময় নাসার দু’টি মহাকাশযান ‘ভয়েজার-১’ ও ‘ভয়েজার-২’-এ ধরা পড়েছিল ব্যাপারটি। কিন্তু তারা ভাবতেও পারেনি সেটি এত তাড়াতাড়ি ঘটবে। ভয়েজার-১ এবং ভয়েজার-২ জানিয়েছিল, শনির বলয় ক্ষয়ে যাচ্ছে। তবে ৩০ কোটি বছর আগে তা উদ্বেগজনক ভাবে ক্ষয়ে যাবে না।
রামানুজন বলেছেন, ‘ক্যাসিনি মহাকাশযান শনির বিষূব রেখার উপরে যে ভাবে তার একের পর এক বলয় থেকে জমা বরফ ছিটকে বেরিয়ে আসতে দেখেছে, তাকে এক রকম বরফের বৃষ্টিই (রিং রেইন) বলা যায়। আর সেই বৃষ্টি এতটাই যেভাবে ঝড়ে পড়ে চলেছে, তাতে মনে হচ্ছে, আর বড়জোর ১০ কোটি বছর। তার পর আর কোনও বলয়ই থাকবে না শনির। তার আগেও পুরোপুরি গ্ল্যামারহীন হয়ে পড়তে পারে শনি।’
গবেষকদলের আর এক সদস্য কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অশ্বিন মলহোত্র বলছেন, ‘শনির বলয়গুলির বয়স খুব বেশি হলে ১০ কোটি বছর। বলয় ছাড়া শনিকে দেখা এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি মানবসভ্যতার।’ সূত্র: ডেইলি মেইল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ