Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এগুলো কিসের আলামত?- রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:৩১ পিএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডিএমপি কমিশনার, ডিআইজি ও কাউন্টার টেরিরিজমের প্রধান, এডিশনাল কমিশনার, ডিসি-রমনা, সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার নজরুল ইসলামসহ অনেক অফিসার সুধা সদনে বৈঠক করেছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন এগুলো কিসের আলামত? মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আবহ সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই পুলিশের প্রত্যক্ষ ভক্ষকের ভূমিকা এবং ম্যাজিস্ট্রেটের তাতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সমর্থন দিয়ে আসার ভয়ঙ্কর পরিণতি দেখতে পাচ্ছেন। আসন্ন নির্বাচনের প্রাক্কালে এতো সহিংস সন্ত্রাসের প্রকোপে জনজীবন নিঃশঙ্ক হতে পারছে না। গত ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে পুলিশের ছত্রছায়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দের গাড়ী ভাংচুর ও তাদের সাথে থাকা কর্মী-সমর্থকদেরকে রক্তাক্ত জখম করেছে। নোয়াখালীতে আমাদের একজন প্রার্থী ওসি’র গুলীতে গুরুতর আহত হওয়াসহ অসংখ্য অপরাধজনক কর্মকান্ড- সংঘটিত হচ্ছে, হয় সরাসরি পুলিশের দ্বারা অথবা পুলিশের প্রত্যক্ষ মদদে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, গণবিচ্ছিন্ন এই সরকার তাদের নিয়োগকৃত দলীয় মনোভাবাপন্ন কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে এই নির্বাচনকে ঘিরে নানা ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ড করছে বা পরিকল্পনা করে রাখছে। তবে কুচক্রী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংখ্যা দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রমনা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তুলনায় এতটাই কম যে, একান্ত নিজ লোক ভেবে যাদেরকে নিয়ে তারা সেই সকল ষড়যন্ত্রমূলক সভাগুলো অনুষ্ঠান করছে তারাই আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমির ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় এনে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস করে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।

বিপথগামীদের সঠিক পথে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিপথগামী সেই সকল মুষ্টিমেয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও বলতে চাইÑযা ভুল হওয়ার হয়ে গেছে। তবে এখনো সময় আছে। আসুন, সেই ভুলটাকে শোধরে নিয়ে আবারো স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাসহ সার্বিক উন্নয়নে আত্মনিবেদন করি। অন্যথায় ভবিষ্যৎই হয়ত বলে দিবে পরিস্থিতি কি হবে।

তিনি বলেন, একদিকে পুলিশ অন্যায়ভাবে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে বেআইনীভাবে মারধর অথবা গ্রেফতার করছে। অন্যদিকে এই ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা যখন প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে হতাহত হচ্ছেন অথবা তাদের দলীয় কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে তখন পুলিশ কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিরত থাকছে। অথচ পুলিশ বা ম্যাজিস্ট্রেট এমন আচরণ করতে পারেন না। কেননা এটি শুধু অন্যায়ই নয, বরং তা ফৌজদারী অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। পুলিশের প্রশ্রয়ে সরকারি দলের ক্যাডারদের নিরবচ্ছিন্ন সন্ত্রাসের প্রসারে দেশজুড়ে নীরব আতঙ্কে মানুষ দিশেহারা।

৭ দিন আগে ব্যালট পেপার ও বাক্স সারাদেশে পাঠানোকে দূরভীসন্ধিমূলক অভিযোগ করে রিজভী বলেন, পূর্বের দৃষ্টান্ত হচ্ছে-নির্বাচনের আগের দিন এগুলো পাঠানো হতো। ভোট জালিয়াতির আয়োজন করার জন্যই এবার ৭ দিন আগে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে।



 

Show all comments
  • রিপন ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৮:৪৩ পিএম says : 0
    কোন্ বিষাক্ত সুধা ঢালিছে সাকী?
    Total Reply(0) Reply
  • abid ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৫:০০ এএম says : 0
    this is the sign of last day of justice
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ