Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যশোরে বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মীর নামে নাশকতার মামলা

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৪:৫৫ পিএম

যশোর শহরের খড়কী শাহ আব্দুল করিম রোডে বোমা হামলা করে ‘নাশকতা চেষ্টার’ অভিযোগ এনেকোতয়ালী থানায় শুক্রবার রাতে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির সাত নেতাকর্মীকে আটক ছাড়াও সেখান থেকে বোমা উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।
থানার এসআই কামাল হোসেন মামলাটির বাদী। ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আঞ্জুরুল হক খোকনসহ ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে মামলাটিতে। জেলা বিএনপির নেতারা দাবি করছেন, জেলহাজতে পাঠানো সাতজনকে পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করে। আর সংশ্লিষ্ট এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের কোনো ঘটনা স্থানীয়রা জানেন না। বিএনপি নেতারা বলছেন, এটি একটি ‘গায়েবি মামলা’। ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে ভোটের মাঠে থাকায় নেতাকর্মীদের নামে মামলাটি করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, সদর উপজেলার আগ্রাইলের আনোয়ার হোসেন, মালঞ্চির মেহেদী আল মাসুদ লাল্টু ও আলমগীর হোসেন, জিরাটের শরিফুল ইসলাম, তালবাড়িয়া খালপাড়ের শামসুর রহমান, বিজয়নগরের সেলিম রেজা এবং হাশিমপুর বাজারপাড়ার ফখরুদ্দিন বিশ্বাস। পলাতক দেখানো হয়েছে, বাউলিয়ার রবিউল ইসলাম, বারিনগরের রবিউল ইসলাম, খিতিবদিয়ার আব্দুস সাত্তার, পাঁচবাড়িয়া মৌলভীবাড়ির শহিদুল ইসলাম মিলন, মনিরুল ইসলাম, লেবুতলার মের হাসান হাবিব, তেজরোলের হাসান, কোদালিয়ার আরিফুল ইসলাম টুকু, সোহাগ হোসেন মোল্লা, এনায়েতপুরের আব্দুর রব মোল্লা, দাউদ হোসেন, আরবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বালিয়া ভেকুটিয়ার সিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক কাজী আজম, খায়রুল ইসলাম, কাজী কাশেম, খোলাডাঙ্গার সোয়েব আলী, সুজলপুরের শামসুর রহমান, নেছার উদ্দিন, রাজাপুরের হাসান, হাশিমপুরের এবিএম আলতাফ বাদল, ইছালীর কামরুজ্জামান, জোতরহিমপুরের জাকির হোসেন, মাহিদিয়ার মোশারফ হোসেন, ভাতুড়িয়ার একরামুল, বালিয়াডাঙ্গার ইসারত আলী, ঝুমঝুমপুরের জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, রাজাপুরের ছবদুল, হাফিজুর রহমান হাফেজ, হামিদপুরের পারভেজ, ফতেপুরের নয়ন বিশ্বাস, কায়েম, হামিদপুরের তরিকুল ইসলাম, আব্দুল খলিল, ধানঘাটার শামসুল হক, জিরাটের মাসুদ পাভেজ রাসেল, গোলাম সরোয়ার, হাটবিলা জামতলার সেকেন্দার মির্জা লাল্টু, রূপদিয়ার খানপাড়ার পলাশ হোসেন খাঁ, শাখারীগাতির আকবর হোসেন, চিনেডাঙ্গা গ্রামের শামীম হোসেন, ঘুরুলিয়ার আনোয়ার হোসেন লাল্টু, ঘুরুলিয়ার সোহাগ হোসেন, গোলাম মোস্তফা, শেখহাটির শিমুল, তরফ নওয়াপাড়ার শাহীন, বিরামপুর ভাটপাড়ার আজাদ, বাহাদুরপুরের রুহুল আমিন, পাঁচবাড়িয়ার একরামুল হোসেন, সাহাপুর পশ্চিমপাড়ার কাওসার আলী, নওদাগ্রামের মফিজ মোল্লা, নিশ্চিন্তপুরের লিয়াকত, তীরেরহাটের খলিল, ছাতিয়ানতলার আবুল তালেব, তপন, আলম, বেলেডাঙ্গার হাফিজুর রহমান, এবং শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা মোড়ের লাল্টু।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে খড়কী শাহ আব্দুল করিম রোডের মাহফুজা করিমের চায়ের দোকানের সামনে একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক এবং নাশকতাকারী বোমা হামলা করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে আসামিরা তিনটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ধাওয়া করে সাতজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা পলাতক আসামিদের নাম ঠিকানা বলে। পরে ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত পাঁচটি বোমা, কিছু কাচের টুকরো, ১১টি জালের কাঠি (লোহার ছোট টুকরো), নয় টুকরো লাল রঙের স্কস টেপ, ১২টি বাঁশের লাঠি জব্দ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ