Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শেখ রাসেলের ফেরা না বসুন্ধরার চমক

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

ঘরোয়া ফুটবলে এবারের মৌসুমের দ্বিতীয় টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের শিরোপায় চোখ নবাগত বসুন্ধরা কিংস ও ২০১২-১৩ মৌসুমের ট্রেবল জয়ী শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের। টুর্নামেন্টের ফাইনালে আজ মুখোমুখী হচ্ছে এ দুই দল। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে চারটায় শুরু হবে ম্যাচটি। বাংলাদেশ টেলিভিশন খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
ঘরোয়া আসরে পরীক্ষিত শক্তি শেখ রাসেল। এক মৌসুমে ট্রেবল জিতে আলোচনায় আসে দলটি। ২০১২-১৩ মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, ফেডারেশন কাপ এবং স্বাধীনতা কাপ- তিনটি শিরোপার স্বাদই নিয়েছিল তারা। কোচ মারুফুল হকের তত্বাবধানে ওই বছরেই সুপার কাপে রানার্সআপ হয় শেখ রাসেল। অন্যদিকে হাল আমলের তারকা সমৃদ্ধ দল বসুন্ধরা কিংস। বলা চলে দেশের ফুটবলে নতুন শক্তি তারা। অভিষেকেই চমক দেখিয়েছে দলটি। মৌসুম সূচক টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপের ফাইনাল খেলে ব্যাক টু ব্যাক ফাইনাল খেলছে স্বাধীনতা কাপেও।
ট্রেবল জয়ের স্বর্ণালী মৌসুম বেশ ক’বছর আগে পার করলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শেখ রাসেল ছিলো অনেকটাই অনুজ্জ্বল। তবে এই মৌসুমে ফের জেগে উঠেছে দলটি। কোচ সাইফুল বারী টিটুর তত্বাবধানে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে খেললেও এই বসুন্ধরার কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল শেখ রাসেল। স্বাধীনতা কাপের শুরুটাও ছিলো তাদের ম্যাড় ম্যাড়ে। তবে শেষ পর্যন্ত ফাইনাল খেলছে টিটুর দল। টুর্নামেন্টের গ্রæপ পর্বে বসুন্ধরা কিংস ও শেখ জামালের বিপক্ষে গোলশূণ্য ড্র করে মাত্র দু’পয়েন্ট নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা পায় রাসেল। শেষ আটে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে দলটি। আর ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে ব্রাদার্সকে হারায় একই ব্যবধানে। তাই শুরু থেকে ফাইনাল পর্যন্ত উঠে আসার কৃতিত্বটা ফুটবলারদেরই দিলেন কোচ টিটু। ফাইনালে আগে গতকাল তিনি বলেন, ‘শুরুটা খুবই কঠিন ছিল। এখন ফাইনালে খেলছি। পুরো কৃতিত্বটাই ফুটবলারদের।’ টিটু আরো বলেন, ‘দলের ফুটবলার সোহেল রানার পরিবারে একটি ট্র্যাজেডি ঘটে গেছে। মাত্র দু’দিন আগেই সোহেল দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। তার মানসিক অবস্থাটাও আমাদের শক্তি যোগাবে।’
ফেডারেশন কাপে বসুন্ধরার কাছে হারের প্রতিশোধ নিতে চান কিনা জানতে চাইলে টিটুর উত্তর, ‘এটা ফাইনাল ম্যাচ। যে কেউ জিততে পারে। প্রতিশোধে বিশ্বাসী নই আমি। তবে শিরোপা জিততে চাই। যদিও কলিন্দ্রেসের উপরেই আমাদের ফোকাসটা বেশি থাকবে। তাকে কোন সুযোগ দেয়া যাবে না।’ অধিনায়ক আশরাফুল ইসলাম রানা বলেন, ‘আগে যে গোল করবে, সেই এগিয়ে থাকবে ম্যাচে। কাজটি করে আমরাই এগিয়ে থাকতে চাই।’
তবে সাম্প্রতিক ইতিহাসে শেখ রাসেলের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে বসুন্ধরা কিংস। অনুশীলন ম্যাচ এবং ফেডারেশন কাপে- দু’বার রাসেলকে হারিয়েছে তারা। তবে স্বাধীনতা কাপে ড্র করেছে। তাই ফাইনালে আত্মবিশ্বাসী কোচ অস্কার ব্রæজন। তিনি বলেন,‘ট্রফি জিতেই ক্রিসমাস পালন করতে চাই। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে চাই।’ টানা দু’টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলছে বসুন্ধরা। এতে কতটা চাপে আছে দলটি? অস্কারের উত্তর ‘আমি জানি স্বাধীনতা কাপে শেখ রাসেল এখন পর্যন্ত গোল হজম করেনি। খুবই শক্তিশালী রক্ষণভাগ তাদের। তার উপর আমাদের দলে কিছু ইনজুরি সমস্যা রয়েছে। স্প্যানিশ ডিফেন্ডার জর্জ গোতোর বøাস ইনজুরিতে রয়েছে। ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ নিষিদ্ধ অবস্থায়। একটু চাপেতো থাকবোই। তারপরও দেখা যাক কি হয়।’ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ অস্কার, ‘দু’টি ম্যাচ আমাদেরকে জিতিয়েছে জিকু। অসাধারণ খেলছে। ফাইনালে সেভাবে খেলতে পারলেই আশাকরি আমরা শিরোপা জিততে পারবো।’ অধিনায়ক ইমন বাবুর কথা,‘আমরা মন জয় করে খেলতে চাই। কোচ টিটু ভাইয়ের অধীনে খেলার সুবাদে উনার অনেক কিছুই জানা আছে আমাদের। দেখা যাক ম্যাচে কি হয়। তবে আমাদের চোখ রয়েছে শিরোপায়। জয় পেয়ে প্রথম শিরোপা ঘরে তুলতে চাই আমরা।’

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবল

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ