Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিদায়ী সংবর্ধনায় বিএসএমএমইউ ভিসি

অনুসরণীয়, অনুকরণীয় গুণী শিক্ষক ও চিকিৎসক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:৩৬ পিএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেছেন, প্রফেসর ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ হলেন এমন একজন গুণী শিক্ষক, চিকিৎসক, গবেষক, প্রশিক্ষক যাঁর মাধ্যমে কোনো কোনো জায়গায় প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত পরিচিতি লাভ করে। রোগীরা ডা. এ বিএম আব্দুল্লাহর নাম শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারণ করেন। তিনি হলেন তরুণ চিকিৎসকদের জন্য অনুসরণীয় অনুকরণীয় শিক্ষক ও চিকিৎসক। এই বিশ্ববিদ্যালয় সব সময়ই তার অভাব অনুভব করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যারয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের ক্লাসরুমে স্বনামধন্য চিকিৎসক ও শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডীন ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান, একুশে পদক প্রাপ্ত ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী প্রফেসর ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ’র বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভিসি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, জীবনের লক্ষ্য (টার্গেট) থাকতে হবে। কারো ক্ষতি করা নয়, ভালোকিছু করার প্রবণতা থাকতে হবে। মানুষের জীবনে কিছু করে যাওয়ার মতো সময় খুব অল্পই পাওয়া যায়। সংক্ষিপ্ত মানব জীবনের পরিভ্রমণের সেই আরো সংক্ষিপ্ত সময়ে ভালো কিছু অর্জন করে তা মানুষের মাঝেই বিতরণ করে যেতে হবে। জীবনে আশাহত হওয়া যাবে না। সমালোচনায় কান দেয়া যাবে না। সততা ও আন্তরিকতার সাথে বারবার এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যেতে হবে। তরুণ চিকিৎসকরা সকলেই ভালো মানুষ ও ভালো চিকিৎসক হবেন সেই প্রত্যাশা করছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে এটাই আমার কামনা।

ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ’র সহধর্মিনী প্রফেসর মাহমুদা বেগম বলেন, জীবনে সফল হওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাস, টার্গেট, সময়ানুবর্তিতা, স্বার্থহীনতা, একাগ্রতা, চেষ্টা ও আশাবাদী থাকাটা খুবই জরুরি। এসকল গুণসমূহ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ-এর মাঝে বিদ্যমান রয়েছে বলেই তিনি আজ এই পর্যায়ে পৌঁছেছেন।

অন্য বক্তারা বলেন, ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ হলেন আদর্শবান ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক ও চিকিৎসক। রোগীদের প্রতি কোনোরকম অবহেলা তিনি সহ্য করতে পারেন না। সহজ সরল এমন গুণী শিক্ষক ও চিকিৎসককে অনুসরণ করেই তরুণ চিকিৎসকদের আলোকিত মানুষ, আলোকিত চিকিৎসক হওয়া জরুরি। বণার্ঢ্য জীবনের অধিকারী ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে সবাইকে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার পরামর্শ দেন যা প্রত্যেক মানুষের জন্যই অত্যন্ত জরুরি। বক্তারা ডা. এবিএম আব্দুল্লাহকে মানবদরদী চিকিৎসক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, দেশের চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণায়সহ সামগ্রিক চিকিৎসা পেশার উন্নয়ন, মর্যাদা বৃদ্ধি ও সুনাম অক্ষুণœ রাখতে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং বর্তমানেও তা অব্যাহত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদায়ী সংবর্ধনায়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ