Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কাশ্মীর নীতি নিয়ে ভারত সরকারে উদ্বেগ

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

জম্মু ও কাশ্মীরে চলতি বছরে জঙ্গিদমন অভিযান বাড়ার ফলে প্রায় ২৫৫ জন নিহত হলেও কাশ্মীরি তরুণদের মধ্যে জঙ্গিবাদে দীক্ষাও বেড়েছে। ফলে ভারত সরকারের কাশ্মীর নীতি নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবশ্য ২০১৮ সালে কত জন জঙ্গিদলে যোগ দিয়েছে, তার সংখ্যা দেয়নি। তবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে প্রায় ২০০ তরুণ চলতি বছর বিভিন্ন জঙ্গি দলে যোগ দিয়েছে। অর্থাৎ সরকার জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযান জোরদার করা সত্তে¡ও চলতি বছরই গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক তরুণ জঙ্গিবাদে যোগ দিয়েছে। কাশ্মীরে জঙ্গি দমন কার্যক্রমের সাথে জড়িত এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছর এ পর্যন্ত ২৫০ জনের বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে জঙ্গি গ্রুপের নেতাও রয়েছে। কিন্তু অস্বীকার করার উপায় নেই যে চলতি বছর জঙ্গি দলে যোগদানও বেড়েছে। এই সংখ্যা গত বছরের চেয়ে নিঃসন্দেহে বেশি। গত বছর যোগ দিয়েছিল ১২৬ জনের মতো। ওই কর্মকর্তা বলেন, কাশ্মীর পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীগুলো এখন তথ্য সংগ্রহ করছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছর জঙ্গিদলে যোগদানের সংখ্যা হবে প্রায় ২০০। সংখ্যাটি জম্মু ও কাশ্মীরের এক পুলিশ কর্মকর্তাও সমর্থন করেছেন। তবে তিনি বলেন, গত দুই তিন মাসে জঙ্গি দলে যোগদান বেশ কমেছে। তার মতে, গত অক্টোবর থেকে জঙ্গি দলে যোগদানের সংখ্যা এক ডজনও হবে না। কাশ্মীরে গত ৫ বছর ধরে জঙ্গি দলে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছেই। ২০১৩ সালে যেখানে ছিল একক সংখ্যা, সেখানে ২০১৪ সালে হয় ৫৩ জনে। ২০১৭ সালে তা হয়ে যায় ১২৬ জনে। এতে করে কেন্দ্রীয় সরকারের জঙ্গি দমন নীতি নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। আবার সরকারি অভিযানে জঙ্গি নিহত হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। ২০১৭ সালে যেখানে নিহত হয়েছিল ২১৩ জন, সেখানে চলতি বছর তা হয়েছে ২৫০ জনের মতো। ২০০৮ সালে ৩৩৯ জন নিহত হয়েছিল। ২০০৯ সালে নিহত হয় ২৩৯ জন। দি ওয়্যারের প্রাপ্ত সরকারি তথ্যে দেখা যায়, কাশ্মীর উপত্যকায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ২৫০ জনের মতো। নভেম্বর ছিল সবচেয়ে রক্তাক্ত মাস। এ মাসে ৩৮ জন জঙ্গি নিহত হয়েছিল। এর পর রয়েছে সেপ্টেম্বর মাস। এ সময় নিহত হয় ৩৬ জন। অক্টোবরে নিহত হয় ২৮ জন। সিনিয়র পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এই প্রতিবেদককে জানান, জঙ্গিদলে ভর্তি হওয়া হ্রাস করার জন্যই এবারের জঙ্গিবিরোধী কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছিল। বিশেষ করে সিনিয়র জঙ্গি কমান্ডারদের টার্গেট করা হয়েছিল। আশা করা হয়েছিল, তাদের হত্যা করা হলে তাদের নেটওয়ার্ক ধ্বংস হয়ে যাবে। চলতি বছর আলতাফ দারসহ কয়েকজন কমান্ডার নিহত হলেও ওই কৌশল কাজে লাগেনি। সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

Show all comments
  • Mohammed Kowaj Ali khan ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:৩৬ পিএম says : 0
    ভারতকে বিশ্ব বলা দরকারছিলো যে ভারত আসামে অসভ্য কায্যকলাপ করিতেছে এবং ভারত কাশ্মীর হইতে সরে আসার জন্য
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত সরকারে উদ্বেগ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ