Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাতেই প্রশাসনের সহযোগিতায় দেড়শতাধিক আসনে নৌকায় সিল মেরে ব্যালটবাক্স ভর্তি করা হয়েছে

২২১ আসনে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে : ইসিতে বিএনপির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:৫৪ পিএম

দেড়শতাধিক আসনে প্রশাসনের সহযোগিতায় ২৯ ডিসেম্বর ভোটের্ আগের দিন রাতেই
নৌকায় সিল মেরে ব্যালটবাক্স ভর্তি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি
স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির
চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান। প্রায় ২৫০টি আসনে ধানের শীষ প্রতীকের
এজেন্টদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে দাবি করে তিনি সুষ্ঠু ভোট
গ্রহনের লক্ষ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বেলা সোয়া দুইটার দিকে তার স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ পত্র নিয়ে নির্বাচন
কমিশনে আসেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি অভিযোগ
জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আলাল বলেন, ‌‌'আমরা আগেই বলেছিলাম দলীয় সরকারের অধীনে
কোনও নিবাচন সুষ্ঠু হয় না এবারের নিবাচন সেটাই প্রমাণ করলো। ২২১টি আসনের
প্রতিটি কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে।
অনেক জায়গাতে পোলিং এজেন্টকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।

ইসিকে দেওয়া নজরুল ইসলাম খান লিখিত অভিযোগে বলেন, ২৯ ডিসেম্বর দিবাগত
রাতে সংসদীয় ২৯৯টি আসনের মধ্যে দেড় শতাধিক আসনে প্রতিটি কেন্দ্রে আইন
শৃংখলা বাহিনী ও ভোট গ্রহন কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের সহযোগিতায় ৪০০ থেকে ৫০০
ব্যালট পেপার নৌকা মার্কায় সিল মেরে ব্যালটবক্স ভর্তি করা হয়। অদ্য
নির্বাচন শুরুর আগে প্রায় ২৫০টি সংসদীয় আসনের ধানের শীষ প্রতীকের
এজেন্টদের ভোট কেন্দ্রের গেইটে বাধা প্রদান করা হচ্ছে। তাদেরকে ভোট
কেন্দ্রের ভেতরে যেতে দেয়া হচ্ছে না। অনেক ভোট কেন্দ্রে বিএনপি
ঐক্যফ্রন্টের নেতা কর্মীদের নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করতে দেয়া হয়নি।
তারপরও যারা ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে পারছে নৌকা প্রতীকের এজেন্টরা তাদের
নিকট থেকে ব্যালট পেপার জোরপূর্বক কেড়ে নিচ্ছে। সেগুলোতে তারা (নৌকা
প্রতীকের এজেন্টরা) নৌকা প্রতীকে সিল মারছে এবং ভোটারদের ভয়ভীতি
দেখাচ্ছে, কেন্দ্র থেকে বের করে দিচ্ছে। কোন কোন কেন্দ্র থেকে ভোটারও
এজেন্টদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। অনেক কেন্দ্রে আমাদের প্রার্থীদের
নির্বাচনী এজেন্টদের দৈহিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন
কিংবা পুলিশের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।

এমতাবস্থায় সুষ্ঠু ভোট গ্রহনের লক্ষ্যে আপনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ