Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সুরঞ্জিতের ক্ষমা চাওয়া উচিত -বিএনপিপন্থী আইনজীবী

প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপিপন্থী আইনজীবী বক্তারা বলেছেন, দেশের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কোনো ধরনের কটূক্তি করবেন না। প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগের প্রধান ব্যক্তি। আইনজীবী সমাজ প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে সঙ্গে একমত। তারা আরো বলেন, সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত প্রধান বিচারপতিকে ধমকের সুরে কথা বলেছেন, যা ঠিক নয়। এজন্য প্রধান বিচারপতির কাছে তার লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়া উচিত। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির চত্বরে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদার জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা ও সমন জারি প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা এ বিক্ষোভ মিছিল শেষে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, প্রধান বিচারপতিকে ধমক দিচ্ছন মানে সমগ্র বিচারঙ্গনকে ধমক দিচ্ছেন। তাই সুরঞ্জিতের এই বক্তব্যর জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তিনি আরো বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা কোনটি তা ভালোভাবে বুঝতেন তা হলে তিনি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার অনুমতি দিতেন না। বিচার বিভাগ যদি আইনমন্ত্রী নিয়ন্ত্রণ না করতেন তা হলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি হতো না। বিচার বিভাগ স্বাধীন বলা হলেও বাস্তবে স্বাধীন নয়। তিনি আরো বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বক্তব্যে কোনোভাবেই রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হতে পারে না। তারা অবিলম্বে রাষ্ট্রদ্রোহের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় আইনজীবীরা জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম করতে বাধ্য হবে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে কোনো কটূক্তি করা হলে আইনজীবী সমাজ তা মেনে নেবে না। এ সময় তিনি সরকারের মন্ত্রীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে কোনো কটূক্তি করবেন না। প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের সঙ্গে আইনজীবীরা একমত। তিনি আরো বলেন, বিচারপতি খায়রুল হক দেশ ধ্বংস করেছেন। দেশে যত মানুষ পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন, গুম হয়েছেন সকল কিছুর দায় তার (সাবেক প্রধান বিচারপতি) উপর বর্তায়। আর এখন বিচার বিভাগ ধ্বংসে লিপ্ত রয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। যিনি একদিকে টিভি টকশোতে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখছেন আবার তিনি রায়ও লিখছেন। এটা অনৈতিক যা প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে সুস্পষ্ট। কর্মসূচি শেষে আগামী ২৮ জানুয়ারি প্রতিবাদ সমাবেশ ও দেশের সকল বারে (৬৪ জেলায়) বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট সমিতির ভবনে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলে বিএনপিপন্থী শতাধিক আইনজীবী অংশ নেন। এ সময় তারা সরকার বিরাধেী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার এতে সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া, অ্যাডভোকেট গোলাম মো. চৌধুরী আলাল, আবেদ রাজা, মোহাম্মদ আলী, মির্জা আল মাহমুদ, শরীফ ইউ আহমেদ, আনিসুর রহমান ভুঁইয়া প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুরঞ্জিতের ক্ষমা চাওয়া উচিত -বিএনপিপন্থী আইনজীবী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ