Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ধামরাইয়ে সংরক্ষণাগার না থাকায় নষ্ট হচ্ছে সবজি!

ধামরাই (ঢাকা) থেকে মো. আনিস উর রহমান স্বপন | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ঢাকা জেলার মধ্যে ধামরাই উপজেলা কৃষিনির্ভর তা অনেকেই জানেন এবং সবজির উপজেলা হিসেবে পরিচিত রয়েছে। প্রায় সারাবছরই প্রচুর পরিমান সবজি উৎপাদিত হয়, এ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে; বিশেষ করে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি। শীতকালে নানা রকম পুষ্টি সমৃদ্ধ ও সবজি উৎপাদন ও বিক্রির ধুম। তবে প্রতিটি সবজির ভরা মৌসুমে সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ চাহিদার তুলনায় বেশি থাকায় দাম খুব কমে যায় এবং প্রচুর পরিমান সবজি অবিকৃত অবস্থায় নষ্ট হয়ে যায়। ফলে চাষিরা নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। এতে চাষিদের মোটা অংকের লোকসান গুণতে হয়।
ধামরাইয়ে এ অবস্থা চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। তাই বিভিন্ন এলাকার চাষিদের দীর্ঘ দিনের চাওয়া ‘সবজি সংরক্ষণাগার’। কদিন আগেও এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বিষয়ে আমিও একমত। সবজির অপচয় ও চাষিদের লোকসান ঠেকাতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি তুলে ধরা হবে।
ওদিকে সবজির পঁচন জনিত অপচয় ও চাষিদের লোকসান ঠেকাতে ইতোমধ্যে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপজেলার দুই অঞ্চলে (সবজি অধ্যুষিত এলাকায়) পরীক্ষামূলক ভাবে ‘সবজি সংরক্ষণাগার’ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। ইফাদ এবং পিকেএসএফ-এর সহযোগিতায় বেসরকারি সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা এসডিআই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বলে জানা যায়।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক সামছুল হক জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের বাসনায় সাটুরিয়া-বালিয়া রাস্তার পাশে এবং রোয়াইল ইউনিয়নের খড়ারচর এলাকায় দুইটি সংরক্ষণাগার স্থাপনের কাজ চলছে। এটি বাস্তবায়িত হলে উৎপাদিত সবজি সংরক্ষণাগারে রেখে দিলে দীর্ঘদিন টাটকা থাকবে ফলে নষ্ট হবে না। ফলে চাহিদা অনুযায়ী কৃষক তার উৎপাদিত সবজি বাজারে বিক্রি করতে পারবে। সেইসাথে কৃষকতার উৎপাদিত সবজির কাংখিত মূল্য পাবে। তিনি আরো বলেন কৃষকদের উৎপাদিত সবজি বাজারে ন্যায্য মূল্যে বিক্রির জন্য চাহিদানুযায়ী এ ধরনের সবজি সংরক্ষণাগার করতে কৃষকরাই উৎসাহিত হবে। যা পরবর্তীতে সারা দেশে হতে পারে। সংরক্ষণাগার দুইটির ধারণ ক্ষমতা হবে যথাক্রমে ৮ টন ও ৪টন। সংরক্ষণাগারগুলোর বৈশিষ্ট হলো- জাত ও প্রকার ভেদে ৩০-৪০ দিন পর্যন্ত সবজির গুণগত মান ও চেহারা অপরিবর্তীত বা সতেজ থাকে। গাজর এবং কাঁচা টমেটো ভাল থাকে ৬০-৭০ দিন পর্যন্ত। আম সংরক্ষণ করা যায় ২০-২৫ দিন পর্যন্ত। সংরক্ষণের জন্য কোন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। বিশেষ প্রযুক্তিতে নির্মিত এ সংরক্ষণাগারের তাপমাত্রা ৪০সে পর্যন্ত নামিয়ে আনা সম্ভব। ব্যয় তুলনামূলক ভাবে কম। গুণগত মান ঠিক রাখতে প্রি-কুলিং চেম্বারে ৩-৬ ঘন্টা রেখে সবজি গুলোকে মূল চেম্বারে ঢুকাতে হয়। আবার সংরক্ষিত সবজি বের করার আগে পোস্ট কুলিং চেম্বারে ৩-৬ ঘন্টা রেখে স্বাভাবিক পরিবেশে বের করতে বা বাজারজাত করতে হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নষ্ট হচ্ছে সবজি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ