Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিষিদ্ধ সারের দ্বিগুণ মূল্য

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

সরকারীভাবে বিক্রির অনুমতি না থাকার অজুহাতে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলাতে দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে বাংলা ডিএপি সার। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকের। সারের বাজারে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ডিলাররা তাদের ইচ্ছা মতো মুল্যে বিক্রি করছে সার।

কৃষক মাসুদ রানা জানান, বালিয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড বাজারে বাংলা ডিএপি সার ডিলারের ঘরে ক্রয় করতে যাই। প্রথমে বলে সার নেই। সার প্রয়োজনের কথা বলার পর প্রকাশ করে ৫ বস্তা আছে, আপনাকে এক বস্তা দিতে পারবো। টাকা লাগবে ২হাজার টাকা। উপায় না পেয়ে সাড়ে ১২শ’ টাকার সার ২হাজার টাকায় নেই। ইউরিয়া সার এক বস্তা চাইলে ৮শত টাকার পরিবর্তে নেয় সাড়ে ৮শ’ টাকা। সার দরকার হওয়ার কারণে বেশি দাম নিলেও কিছু করার নেই। আমার মতো সব কৃষকই বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে একজন সার ডিলার জানান, ডিএপি সারের আমদানী অনুমতি না থাকায় বালিয়াকান্দিতে আনা হয় না। তবে কৃষকদের কাছে চাহিদা থাকার কারণে কিছু সার আনা হয়। একটু বেশি দামে আনার কারণে বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়।
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন জানান, এ উপজেলাতে বাংলা ডিএপি সার বিক্রির কোন অনুমোদন নেই। কেউ কেউ চাহিদা থাকার কারণে বাইরে থেকে এনে বিক্রি করে। তবে ডিএপি সরকারি মুল্যে সাড়ে ১২’শ টাকা বস্তা, ইউরিয়া ৮শ’ টাকা বস্তা। যদি কেউ বেশি দামে বিক্রি করে, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম রেজা জানান, অতিরিক্ত মুল্যে সার বিক্রির বিষয়টি কেউ অভিযোগ করেনি। তবে ইতিপুর্বে অতিরিক্ত মুল্যে সার বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমানা করা হয়। এখন যখন জানতে পারলাম অতিরিক্ত মুল্যে সার বিক্রি হচ্ছে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিষিদ্ধ সারের দ্বিগুণ মূল্য
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ