Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘ভুঁইফোড়’ অনলাইন মোকাবিলা করা হবে

গণমাধ্যমকে সাথে চাই : ড. হাছান মাহমুদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ মহান কাজে দেশের সকল গণমাধ্যমকে সাথে চাই। ‘ভুঁইফোড়’ অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলো সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করা হবে। দেশে গণমাধ্যমের বিকাশ ঘটেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার এক দিন পর গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ের নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমের বিকাশ হওয়ার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে, অনেকগুলো ভুঁইফোড় অনলাইন সংবাদমাধ্যম তৈরি হয়েছে। তারা অনেক সময় ভুল সংবাদ পরিবেশন করে, অনেকের চরিত্র হননের ঘটনাও ঘটে। এগুলো আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করব। আপনাদের সহযোগিতায় এগুলো মোকাবিলা করব। কাজের চ্যালেঞ্জসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের বিকাশ ঘটেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। চ্যালেঞ্জ না থাকলে সেই কাজ করার মধ্যে কোনো আনন্দ নেই। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক বন্ধুদের অনেক অভাব-অভিযোগ আছে। সেগুলো আগে থেকেই কিছুটা জানি। এখন সবিস্তারে আপনাদের কাছ থেকে শুনব, সেগুলো সমাধানের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কীভাবে সহায়তা করা যায়, সেই কাজটি করব।
গণমাধ্যমের সঙ্গে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের সমঝোতা ও সহমর্মিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তথ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্প অর্পণ ও সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে অমর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মিলিত হন নবনিযুক্ত তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাস্ট্রের আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের পরই চতুর্থ স্তম্ভটি হলো গণমাধ্যম। নির্বাহী বিভাগের সাথে গণমাধ্যমের সহযোগিতার বন্ধনে রাষ্ট্র উপকৃত হয়, দেশ এগিয়ে যায়। গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। সমাজকে নির্মাণ ও সঠিকখাতে প্রবাহিত করতে গণমাধ্যমের কোনো বিকল্প নেই। তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রথম চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী শেখ হাসিনা তাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। দীর্ঘ ছয় বছর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর তাকে রাষ্ট্রের তথ্যের যে দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, তা সফলভাবে পালনের জন্য গণমাধ্যমের সহায়তা কামনা করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের উন্নতির জন্য যেমন স্বপ্ন প্রয়োজন, দেশের উন্নতির জন্যও তাই। এজন্যই জাতিকে স্বপ্ন দেখতে হয়। যে দেশে পঞ্চাশের দশক থেকেই খাদ্য ঘাটতি, মানুষের ঘনত্ব সর্বোচ্চ, মাথাপিছু কৃষি জমির পরিমাণ সর্বনিম্ন, সে দেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্নই দেখাননি, বিশ্বের দরিদ্রতম দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন। ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে জাতিকে আমরা যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলাম, তা যেমন বাস্তবায়ন করেছি, ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেখানো স্বপ্নও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বাস্তবায়ন করবো’ অঙ্গীকার করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ স্বপ্ন পুরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ।
দেশের উন্নতির জন্য মেধা, মনন ও দেশাত্মবোধের সমন্বয়ের বিকল্প নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমের একটি ছোট্ট সংবাদ যেমন সমাজে অনেক তুলকালাম ঘটিয়ে দিতে পারে, একইসাথে নতুন প্রজন্মের মনন তৈরিতে, প্রতিটি হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করতে এবং মানুষের মাঝে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে গণমাধ্যম। আমার বিশ্বাস, গণমাধ্যম তা করবে। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমবান্ধব সরকার। দেশে গণমাধ্যমের বিকাশ, অনলাইন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রসারও শেখ হাসিনার আন্তরিকতারই প্রতিফলন। গণমাধ্যমের ক্রমবিকাশ ও অভাব-অভিযোগের প্রতিকারের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের পরামর্শ এ মন্ত্রণালয় সবসময় স্বাগত জানাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তথ্যসচিব আবদুল মালেক, প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত সচিব মোঃ আজহারুল হক ও মিজান উল আলম।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য এবং সংগঠনদ্বয়ের সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে শাবান মাহমুদ ও সোহেল হায়দার চৌধুরী তথ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। তথ্যমন্ত্রী দেশের কাজে তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রখ্যাত অভিনেতা হাসান ইমামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চিত্রপরিচালক সালাউদ্দিন লাভলুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডিরেক্টরস গিল্ড, রুহুল আমিন আকন্দের নেতৃত্বে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারি ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী বন্ধন, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রফিকুল আলম ও চলচ্চিত্র অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যম সংগঠন তথ্যমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ