Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সবাই যে আমাকে দিঘীর বাবা বলে এটাই আমার প্রাপ্তি -সুব্রত

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

চলচ্চিত্র পাড়ায় অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন চলে আসছে যে দিঘী নায়িকা হয়ে ফিরছেন। এ বিষয়ে দিঘীর বাবা চলচ্চিত্র অভিনেতা সুব্রত বড়–য়া বলেন, এটা অনেকেই বলে আসছেন এমনটাই শুনছি অনেকদিন থেকে। কিন্তু আমার মেয়ে এখন পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত, আগামী মাস থেকেই তার এসএসসি ফাইনাল পরীক্ষা। এখনই এসব নিয়ে ভাবছি না। পড়াশোনা টা একটু শেষ করুক ভালো করে এরপর হয়তো সে আবারও সিনেমায় আসবে। আর নায়িকা হয়ে সিনেমায় আসার জন্য একটা প্রস্তুতির দরকার আছে। সে নিজেকে ওইভাবে প্রস্তুত করেই তবে আসবে কিন্তু তার আগে পড়াশোনাটা দরকার খুব। অভিনয়ের প্রতি দিঘীর আগ্রহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি আর দিঘীর মা দুজনেই চলচ্চিত্রের মানুষ। দিঘির মা গত হয়েছেন ৭ বছরেরও বেশি সময় হয়ে গেল। আর দিঘী তো শিশু শিল্পী হিসেবে অনেকগুলো ছবিতেই অভিনয় করেছে। আমি জানি, ওর ভিতরে অভিনয়ের তেজটা কত। ও সেটা ভেতরে লালন করে। নিজেকে আরও প্রস্তুত করুক তারপর হয়তো একটা কিছু হবে। সুব্রত বলেন, গø্যামার জগতটা মানুষকে খুব আকৃষ্ট করে। নায়িকা মানেই তো গø্যামার। একটা সময় যখন ভিতরে স্টার ভাবটা চলে আসে তখন কিন্তু সাধারণ হতে অনেক কষ্ট হয়। দিঘী এমন একটা জায়গায় ছিল তার অভিনয় দিয়ে তার এতটুকুন বয়সে সেটা সত্যিই অনেক গর্বের। এখন তো আর কেউ আমাকে আমার নামে চেনেন না, সবাই চেনেন দিঘীর বাবা হিসেবে। আমি রাস্তাঘাটে বের হলে সবাই বলে দিঘীর বাবা। অথচ আমি আরও ৩০ বছর আগে নায়ক ছিলাম কিংবা এখনও অভিনয় করে যাচ্ছি সেটা অনেকেই এখন ভুলে গিয়েছে। আমার নামটা হারিয়ে গিয়েছে আমার মেয়ের মাঝে। আর যে জায়গাটায় দিঘি তার অভিনয় শেষ করেছিল সেটা যেনো আরও অতিক্রম করতে পারে সেজন্য তাকে কিন্তু তৈরি করতে হবে। লেখাপড়াটা ঠিক মত শেষ করতে পারলে সে নিজেকে ঠিকমত তৈরি করতে পারবে। আমি শুধু দেখিয়ে দিতে পারবো এটা ভালো রাস্তা, এটা খারাপ রাস্তা। সে নিজে যখন জানতে পারবে ভালো রাস্তা দিয়ে যাওয়া ভালো, খারাপ রাস্তা দিয়ে যাওয়া ভালো না তখন সেই নির্ধারণ করে নিবে সে কোন পথে যাবে, আমার বলতে হবে না। এই রাস্তাটা যদি তৈরি করে দিতে না পারি তাহলে সে কিছুই করতে পারবে না। এজন্য আপাতত বন্ধ করে রেখেছি, আগে সে বুঝুক নিজের জন্য কোনটা ভালো কোনটা মন্দ। তারপর সে নিজেই নিজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। তিনি বলেন, সবাই যে আমাকে এখন দিঘীর বাবা বলে এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি যখন অভিনয় শুরু করেছিলাম সে সময়কার দর্শক তো এখন আর নেই। তখন তারা আমাকে আমার নামেই চিনতো। এরপর যখন শাবনূরের বাবা, মান্নার বাবা এ রকম চরিত্র করা শুরু করি তখন আমাকে সবাই ওভাবেই চিনতো। আর দিঘী তো তখন দিঘী ছিল না। সুব্রতের মেয়ে, দোয়েলের মেয়ে এভাবেই তাকে চিনতো। কিন্তু একটা সময় যখন দিঘী আমাদের অভিনয়কেও ছাড়িয়ে গেল তখন তার নিজের একটা পরিচয় হলো। তখন সবাই আমাকে দিঘীর বাবা বলে চিনতে শুরু করে। আমি মনে করি এটাই আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।

 



 

Show all comments

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ