Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ আহত ৫

আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন এক যুবলীগ কর্মীর

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

নগরীতে আধিপত্য বিস্তারের জেরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে এক যুবলীগ কর্মী আঙ্গুল হারাতে বসেছেন। বুধবার রাতে নগরীর ইপিজেড থানার নারিকেল তলা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু এবং সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আসলামের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘাতের ঘটনা ঘটে। দেবাশীষ পাল দেবু এবং মো. আসলাম নগরীর বন্দর-পতেঙ্গা এলাকার সংসদ সদস্য এম এ লতিফের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হুদা বলেন, আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ শুরুর খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ সময় আধা ঘণ্টার মতো সড়কে বিশৃঙ্খলা ছিল। সংঘর্ষে ২-৩ জন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইপিজেড মোড় থেকে নারিকেল তলা এলাকা পর্যন্ত ফুটপাতের ভাসমান দোকানীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ে আধিপত্য নিয়ে এই সংঘাতের সূত্রপাত। রাত সাড়ে ৮টার দিকে উভয়পক্ষ লাঠি, লোহার রড, রামদাসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এসময় গুরুত্বপূর্ণ এই বিমানবন্দর সড়কে যানবাহন চলাচল কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দেবাশীষের অনুসারী চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক জাকের আহমেদ খোকন বলেন, হামলায় গুরুতর আহত লোকমানকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার ডান হাতের বাম আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যায়। সেটিও আমরা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে অপারেশন সম্ভব নয় বলে জানালে আমরা একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চলে আসি। জাকের জানান, নগরীর ম্যাক্স হাসপাতালে প্রায় তিনঘন্টার অপারেশনে আঙ্গুলটি জোড়া লাগানোর চেষ্টা করা হয়। তবে চিকিৎসকেরা আঙ্গুল জোড়া লাগবার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন।
এদিকে সংঘর্ষের পর আসলামের অনুসারীরা এলাকায় দেবাশীষের অনুসারীদের বাড়ি খুঁজে খুঁজে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল থানায় যোগাযোগ করা হলে পুলিশ জানায়, সংঘর্ষের ব্যাপারে কোন পক্ষই থানায় মামলা করেনি। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতারও করেনি। উল্লেখ্য, নগরীর প্রায় প্রতিটি এলাকায় চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাসক দলের উপ-দলীয় কোন্দল লেগেই আছে। এর জের ধরে সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আ.লীগ

১২ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ