Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনে এত বড় জয় সম্ভব নয়

ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:১০ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয় এবং বিএনপির পরাজয় বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। গতকাল শনিবার সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে নির্বাচনের ফল নিয়ে ব্যাখ্যা দেন। দৈনিক ইনকিলাব পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, সাম্প্রতিক নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে বাংলাদেশের মানুষ পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তারা এখন তাদের বিদেশি প্রভুেেদর কাছে নালিশ করছে ও সাহায্য চাইছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যোগাযোগ ও লবিংয়ের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে চাইছে যে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, যা পরিসংখ্যান মোতাবেক একেবারেই অসম্ভব।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিএনপি থেকে প্রায় ৪ কোটি ৯০ লাখ বেশি ভোট পেয়েছে। এত বড় ব্যবধানের জয় কখনোই কারচুপির মাধ্যমে আদায় করা সম্ভব না। বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট বলছে ভয়ভীতির কথা। কিন্তু যদি আমরা ধরেও নিই, আওয়ামী লীগের বাইরের সব ভোট বিএনপি-জামায়াতের পক্ষেই যেত, তাহলেও ২ কোটি ২০ লাখ ভোটের ব্যবধান থাকত বিএনপি আর আওয়ামী লীগের মধ্যে। তারপরও আমাদের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা কেউ কেউ বিএনপির এই আন্তর্জাতিক লবিংয়ের সঙ্গে সমান তালে গলা মিলিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। তাদের অভিযোগগুলোর উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি আমি নিজেও কিছু কথা বলতে চাই।
বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, তাদের প্রথম অভিযোগ, ভোটারসংখ্যা ছিল অত্যধিক। তার মানে ভূয়া ভোট দেওয়া হয়েছে। এবার ভোট দেওয়ার হার ছিল ৮০ শতাংশ; যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ নয়। ২০০৮ সালের ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ অধীনে নির্বাচনে ভোট দেওয়ার হার ছিল ৮৭ শতাংশ; যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড। সেই নির্বাচনটিতেও আওয়ামী লীগ ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়ে ব্যাপক ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। ২০০১ সালে ভোট দেওয়ার হার ছিল ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ আর ১৯৯৬ সালে ছিল ৭৫ শতাংশ। ওই দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবার ভোট দেওয়ার হার সামান্য বেশি ছিল। কারণ এক দশকে এটাই ছিল প্রথম অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নাকি এবার ৯০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এই কথাটি পুরোপুরি মিথ্যা। আওয়ামী লীগ ভোট পেয়েছে ৭২ শতাংশ। মহাজোটের অন্য শরিকরা পেয়েছে ৫ শতাংশের কম ভোট। এই ৭২ শতাংশও আওয়ামী লীগের জন্য সর্বোচ্চ না। কারণ, ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৭৩ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। তখন যেমন স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ বিশাল বিজয় পেয়েছিল, এবারের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের ভোট বাড়ার পিছনে আছে দুটি সুনির্দিষ্ট কারণ।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় পাওয়ার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, প্রথম কারণটি খুবই পরিষ্কার। আওয়ামী লীগ আমলে মানুষের জীবনমানের উন্নতি হয়েছে যেকোনো সময়ের থেকে বেশি। আমরা নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হয়েছি, মাথাপিছু আয় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। দারিদ্র্যের হার অর্ধেক করা হয়েছে। মোটামুটি সবাই এখন শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা ও বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য যে উন্নয়ন আওয়ামী লীগ সরকার করেছে, তা এখন দৃশ্যমান।
সুশীল সমাজের কঠোর সমালোচনা করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমাদের সুশীল সমাজ সব সময়ই বলার চেষ্টা করে বাংলাদেশের ভোটাররা নাকি পরিবর্তন চায়। এসব ঢালাও কথাবার্তা, যার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এ থেকেই বোঝা যায় আসলে তারা কতটা জনসম্পৃক্ততাহীন। আপনি যদি একজন সাধারণ মানুষ হন, এমনকি ধনী ব্যবসায়ীও হন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার সুফল আপনিও পাচ্ছেন। কেউ কেন এমন একটি সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিতে চাইবে, যাদের আমলে তার জীবন বা ব্যবসার উন্নতি ঘটেছে? দ্বিতীয় কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনী প্রচার কিন্তু গত বছর শুরু হয়নি। আমরা ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে আমাদের প্রচারণা শুরু করে দিয়েছিলাম। জনগণের কাছে আমাদের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কোনো সুযোগই হাতছাড়া করিনি। আমরা তাদের বুঝিয়েছি, যা উন্নয়ন ও অগ্রগতি হচ্ছে, তা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণেই হচ্ছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক যত উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে, তার পেছনে আছে আমাদের দলের ভিশন, পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও পরিশ্রম। যার কৃতিত্ব আমাদের দলীয় মন্ত্রী, এমপি, কাউন্সিলরসহ সবার। যখন আমাদের বিরোধী পক্ষ ও সুশীল সমাজ ব্যস্ত ছিল সমস্যা ও নালিশ নিয়ে, আমরা ব্যস্ত ছিলাম জনগণকে সমস্যার সমাধান দিতে। তিনি আরও বলেন, সুশীল সমাজের একটি বড় অপপ্রচার হচ্ছে, নতুন ভোটাররা রাজনৈতিক দল নিয়ে মাথা ঘামায় না ও তাদের বেশির ভাগই নাকি পরিবর্তন চায়। তারা বুঝতে পারেনি যে এই নতুন ভোটাররা আমাদের আমলের উন্নয়নের মধ্যে বড় হয়েছে, যা তাদের জীবনকে করেছে আরও সহজ ও উন্নত। তারা কেন আমাদের ভোট দেবে না?
আওয়ামী লীগের জনমত জরিপের কথা তুলে ধরে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ২০১৩ সাল থেকেই আওয়ামী লীগের জন্য আমি জনমত জরিপ করাই। আপনারা হয়তো খেয়াল করেছেন যে এবার কিন্তু সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে কোনো জরিপ আসেনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে কিন্তু তারা ঠিকই একের পর এক জরিপ প্রকাশ করছিল, দেখানোর জন্য আওয়ামী লীগের অবস্থা কত খারাপ। আসলে বাংলাদেশে খুব কম ব্যক্তি বা সংগঠনই সঠিকভাবে জনমত জরিপ করতে পারে। হার্ভার্ডে থাকতে আমি জনমত জরিপের ওপর পড়াশোনা করি। জরিপ করতে আমরা যাদের ব্যবহার করি, তাদের বাছাই করার আগে আমি নিজে একাধিক গবেষণা সংগঠনের সঙ্গে বসে আলাপ করি। ভুয়া জরিপ করে নিজেদের জনপ্রিয়তা দেখানোর কাজ আমরা করি না। কারণ আমাদের জন্যই সঠিক তথ্যটি পাওয়া খুবই জরুরি। আমরা জানতে চেষ্টা করি, নির্বাচনী লড়াইয়ে আমাদের অবস্থান ও সক্ষমতা, তাই জরিপের ব্যাপারে আমরা খুবই সতর্ক থাকি।
নিজের করা জরিপ বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে আমাদের জরিপ থেকে আমরা জানতে পারি, আওয়ামী লীগ পাবে ৫৭ থেকে ৬৩ শতাংশ ভোট আর বিএনপি পাবে ১৯ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট। তাহলে আমরা ৭২ শতাংশ ভোট কীভাবে পেলাম? আমাদের জরিপের জন্য স্যাম্পল নেওয়া হয় ৩০০ আসন থেকে। অর্থাৎ ১০ কোটি ৪০ লাখ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে থেকে। কিন্তু ভোট দেওয়ার হার কখনোই ১০০ শতাংশ হয় না আর ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়েছিল ২৯৮টি আসনে। ২৯৮টি আসনে ১০ কোটি ৩৫ লাখ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ৮০ শতাংশ ভোট দিয়েছেন, অর্থাৎ ৮ কোটি ২৮ লাখ। আওয়ামী লীগ পেয়েছে প্রায় ৬ কোটি ভোট। ১০ কোটি ৩৫ লাখ ভোটারের মধ্যে ৬ কোটি মানে ৫৮ শতাংশ। অর্থাৎ আমাদের জরিপের সঙ্গে এই বিষয়টি মিলে যায়। তিনি আরো বলেন, কিন্তু বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট কেন এত কম ভোট পেল? কিছু যৌক্তিক কারণে। বিএনপির চেয়ারপারসন দুর্নীতির দায়ে দন্ডিত হয়ে জেলে আছেন। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনও দন্ডিত আসামি, আছেন দেশের বাইরে পালিয়ে। তাদের সংগঠনের অবস্থা করুন। তার থেকেও বড় আরেকটি কারণ আছে, যা আমাদের সুশীল সমাজ সহজে বলতে চায় না। যেই কারণটি বিএনপির জনপ্রিয়তায় ধসের পেছনে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর বলে আমি মনে করি।
বিএনপির জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, জনমত জরিপগুলো থেকে খেয়াল করেছি যে বিএনপি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত যে অগ্নিসন্ত্রাস চালায়, তারপর থেকেই তাদের জনপ্রিয়তা ব্যাপক ধস নামে। পেট্রলবোমা সন্ত্রাসের আগে জরিপগুলোয় বিএনপি আওয়ামী লীগ থেকে জনপ্রিয়তায় ১০ শতাংশ পিছিয়ে থাকত। কিন্তু রাজনীতির নামে সন্ত্রাসবাদের কারণে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ব্যবধান ৩০ শতাংশ হয়ে যায়। আর তারপর থেকেই বাড়তেই থাকে। তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া তাদের আত্মঘাতী নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়টিও আমাদের আমলে নিতে হবে। নির্বাচনী প্রচারণায় কমতি ছিল পরিষ্কারভাবেই। তার ওপর তারা তারেক রহমানের মাধ্যমে নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়। আর মানুষের মনে ভেসে ওঠে হাওয়া ভবন আমলের দুর্নীতি ও সহিংসতার দুঃসহ সব স্মৃতি। তারেক রহমান আবার মনোনয়ন দেন একাধিক চিহ্নিত অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীকে। এর মাধ্যমে কি তাদের জনপ্রিয়তা বাড়বে, না কমবে?
বিএনপির ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, নির্বাচনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের সমর্থকদের তারা ইঙ্গিত দেয় যে তারা নির্বাচন থেকে সরে আসবে। আপনি যদি মনে করেন আপনার দল নির্বাচনেই আসবে না, তাহলে কি আপনি ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হবেন? এই কারণে তাদের নিজেদের সমর্থকদেরও ভোট দেওয়ার হার কম ছিল, যার ফলশ্রুতিতে তারা ভোট পায়ও কম।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের বার্তাই ছিল আওয়ামী লীগ খারাপ। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সেই বার্তা গ্রহণ করেনি। কারণ, তারা নিজেরাই দেখেছে কীভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। ড. কামাল হোসেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতা কামাল হোসেন নিজে নির্বাচনই করেননি। কারণ, তিনি জানতেন, তিনি কোনো আসন থেকে জিততে পারবেন না। কিন্তু তাঁরা আমাদের কিছুটা অবাকও করেছেন। ভোটের লড়াইয়ে প্রথমবারের মতো কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম একটি নয়, দুটি আসন থেকে জয়লাভ করে। কারচুপি যদি হতোই, তাহলে যে দল আগে কোনো নির্বাচনেই কোনো আসন পায়নি, তারা কীভাবে দুটি আসনে জেতে?
সব শেষে জয় বলেন, সত্য আসলে বেশি জটিল না। বাংলাদেশের জনগণ, বিশেষ করে তরুণেরা, দেখছে কীভাবে শেখ হাসিনার মতো একজন ডাইনামিক নেত্রী দেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই বিরোধী পক্ষের শত অপবাদ, অপপ্রচার ও কাদা ছোড়াছুড়ি কোনো কাজে আসেনি। কারণ, দিন শেষে মানুষ তাকেই বেছে নেয়, যে তাকে উন্নত জীবন দিতে পারবে। #



 

Show all comments
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৩ এএম says : 0
    এত জনপ্রিয় দল কেন জনগনের মুখোমুখি হতে ভয় পায়। আওয়ামীলীগ বলতে এখন কিছু নাই সবই প্রশাসন লীগ।
    Total Reply(0) Reply
  • কবির হোসেন ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৩ এএম says : 0
    ২+২=৪ হয়, ২ × ২=৪ হয়, আবার ৪-১= ৩ হয় এমনকি ৪÷২=২ হয়, এটা সবাই জানে এ জন্য কারো কোন ব্যখ্যা লাগেনা। কিন্তু যদি ১+০০ সমান ১০০ হয় তখন ব্যখ্যা লাগে। আর যারা এদেশর নাগরিক তারা শুধুমাত্র একটা হিসাব নির্রধারনের জন্য পয়দা হয়েছে যে এই সংখ্যা অতিক্রম মানে অবিশ্বাস্য। তারা ও জানে কিভাবে কি হয়েছে শুধু লজ্জা আর কর্ম ব্যস্ততার জন্য কিছু বলবে না। তাদের অধিকার কতটুকু এবং তা কিভাবে আদায় হয়েছে এটা ঘরের বাহিরের লোক থেকে ঘরের ভিতরের লোক ও ভাল জানে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mahmudul ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
    পুরোটা সময় পড়তে পড়তে আমি ভেবেছি এরা যত ভালোভাবে মিথ্যা বলতে পারে আমরা অতটা ভালোভাবে সত্যিটাও বলতে পারিনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Mr.RupoM. ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
    ধন্যবাদ, খুবই তথ্যবহুল, বিস্তারিত পরিসংখ্যান ও যুক্তি সংগত বিশ্লেষণ আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে। বিএনপি জামাত জোটের পরাজয়ের কারন তারা নিজেরাই। তারা ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে ঘরে বসে মন্তব্য লিখে ভোট দানের কাজ সেরেছে তাই তাদের ফলাফল প্রায় শুন্য। জনগন বিএনপি জামাত জোটকে ভোটের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করেছে। এবার তারা নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমাক।
    Total Reply(0) Reply
  • Ali Hossain ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
    আওয়ামি লীগ হলো ডিজিটাল চোর, বিএনপি হলো ছেচরা চোর এই চোরদের থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    দেশের মানুষের আপনার ব্যাখ্যা শোনার কোনো প্রয়োজন নেই কারণ তারা নিজেদের চোখে দেখেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • NAhmed ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    বিএনপির হারার মূল কারণ ১/ আওয়ামী লীগ ২/স্বাধীনভাবে বিএনপিকে রাজনীতি করতে না দেওয়া ২/ পুলিশ ৩/গায়েবি মামলা ৪/নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন ৫/গায়েবি ভোট
    Total Reply(0) Reply
  • রিপন শেখ ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    এখন শুধু বিএনপি নয়, এই ইলেকশনের পর থেকে জনগণও এখন আওয়ামী লীগকে ভোটের প্রতিপক্ষ ভাবতে শুরু করেছে। কারণ জনগণের ভোটের অধিকার তারা হরণ করেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
    আমার কাছে একটা জিনিস মজা লাগতেছে তা হলো আ.লীগ এবার তাদের নির্বাচনে জিতার জন্য অনেক বেশি ব্যাখ্যা দিচ্ছে , কিন্তু আমরা সবাইর কাছে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার কিভাবে তারা জিতলো
    Total Reply(0) Reply
  • আলী আহমেদ ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
    এবারও দেশের প্রায় ৯৮% জনগণ ভোট দিতে পারেনি এই ব্যাখ্যা শুনে তারা কি হাসবে না কাঁদবে বুজতেছিনা!!!
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 0
    যুগান্তকারী প্রতারাণা ছিল বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচন বিশ্বে কলঙ্কজনক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে যা বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক।
    Total Reply(0) Reply
  • তাসলিমা বেগম ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 0
    জয়ের বক্তব্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতেই এমন মনগড়া কথা বলছেন। যারা জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয় আর যাইহোক তাদেরকে কোনভাবেই গণতান্ত্রিক বলা যাবে না এবং এদের দিয়ে ভাল কিছু হবে বলে আমরা মনে করি না। গত ১০ বছরে দেশের যে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে তার বিপরিতে বৈদেশিক মাথাপিছু ঋণের বোঝা ১০গুণ বেড়েছে সেটা সবাই বেমালুম চেপে যাচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • MNA BHUIYAN ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 0
    I been robbed on 30th December and still speechless.
    Total Reply(0) Reply
  • Zahedbabu ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৮ এএম says : 0
    It’s so sad for our nation when we see this sort of commitment from our next leader . It was wise for him to not comment about this sort jokes by the name of election.
    Total Reply(0) Reply
  • Wahid Miah ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৮ এএম says : 0
    অসাধারণ ব্যাখ্যা। খুব সহজভাবে উনি পরিসংখ্যান দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন কিভাবে একটি মিথ্যাকে জায়েজ করতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা যিনি ভাল করে বাংলা বলতে পারেন না তিনি কিভাবে এতো সুন্দর করে গুছিয়ে তথ্যগুলো খাটি বাংলায় উপস্থাপন করলেন। পশ্চিম বাংলার যে পরিসংখ্যানবিদ এটা লিখে দিয়েছেন উনাকে ধনূবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • Rahman mizan ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৯ এএম says : 0
    ক্ষমতায় থেকে পুর্ন প্রশাসন কে জামাই আদর দিয়ে ব্যবহার করে জনগনের অধিকার উপেক্ষা করে এক তরফা স্বনির্বাচিত হয়ে ফেসবুকে এমন হিসাব নিকাশ আর নসিয়ত দেওয়া সহজ. সুস্ট নিরেপক্ষ নির্বাচন দিয়ে রাজপথে প্রশাসনবিহীন নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে জনতার ভোট জিতে আসার চেষ্টা করেন অন্তত আপনাদের ইহজন্মে একবার ? নতুবা বাংলাদেশের ইতিহাস আপনাদের মৃত্যু উত্তর সময়ে ও আপনাদের অনৈতিক ভোট গায়েবের কলংকে কলংকিত করেই যাবে !
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৯ এএম says : 0
    কি পোড়া কপাল আমাদের... এসব কথা আমাদের গিলতে হচ্ছে !shame on us .nothing else . how a man can speak such false . ............ sorry for our nation he may be the next PM
    Total Reply(0) Reply
  • রিদওয়ান বিবেক ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৯ এএম says : 0
    আওয়ামী লীগ সেদিনই সুষ্ঠু নির্বাচন থেকে পিছু হটেছে যেদিন গাজীপুর সিটি নির্বাচনে তাদের পরাজয়ের ব্যবধান ৫:০ হয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • রহিম ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:৪২ এএম says : 0
    ভোট তো চুরি হয নাই দিনে দুপুরে ডাকাতি হযেছে
    Total Reply(0) Reply
  • আলী ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:৫৩ এএম says : 0
    তোমার মা যে ভোট.... ত্রই কথা তুমি জানও না যানলে তুমি আমিরিকা না জাপানে মহাআকাশে থাকতে
    Total Reply(0) Reply
  • Nannu chowhan ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ৮:৩৮ এএম says : 0
    Mr.Joy,it make me surprise when ever you talk like you have no respect trust to the Bangladeshi.Do you mean the majority people of Bangladesh is liar & blind,did you not listen or watch Bbc & other international news media they even focused,early morning full of ballot box in side polling center also police aowamilig worker didn't not allowe opposition pooling agents & voter's to enter in the pooling center's.Also it's make us to think,how come you have no respect of the people rights & democracy infact you are married & staying in one of the largest Democratic country!
    Total Reply(0) Reply
  • onicchuk ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১১:০৮ এএম says : 0
    Just wow
    Total Reply(0) Reply
  • Habib Rahman ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:১৫ পিএম says : 0
    Dark future begin the country
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ