Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নতুন একাডেমি পাচ্ছে ফুটবল

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম


এবার নতুন ফুটবল একাডেমি চালুর ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। রাজধানীর বাড্ডাস্থ বেরাইদ এলাকায় ফর্টিস গ্রুপের যে মাঠটি একাডেমি তৈরীর জন্য পেয়েছে বাফুফে সেখানেই আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে ফুটবলারদের নিয়ে আবাসিক ক্যাম্প শুরু হবে। গতকাল বাফুফে নতুন ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রথম সভা শেষে এমন ঘোষণা দেন কাজী সালাউদ্দিন। যিনি নিজেই ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান। এর আগে দীর্ঘদিন এই কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি বাদল রায়। কিন্তু প্রায় এক বছর আগে তিনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ার পর ডেভেলপমেন্ট কমিটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এর মধ্যেই গত বছরের জুন মাসে বাফুফে হঠাৎ করেই বিলুপ্ত দেয় স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলো। শুধু কমিটির চেয়ারম্যানরা বহাল ছিলেন। তবে গত ১০ নভেম্বর বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভায় ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায়কে সরিয়ে দায়িত্ব নেন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। দু’মাস আগে নতুনভাবে ডেভেলপমেন্ট কমিটি গঠন হলেও কালই অনুষ্ঠিত হয় প্রথম সভা। এ সভায় একাডেমি চালু নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভা শেষে সালাউদ্দিন মিডিয়ার মুখোমুখী হয়ে বলেন,‘আগে ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন বাদল রায়। বছরখানেক আগে তার শরীর খারাপ হওয়ার পর কমিটি নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে। এটা গুরুত্বপূর্ণ এক কমিটি বলে আমি নিজেই দায়িত্ব নেই। সাবেক ফুটবলারদের প্রাধান্য দিয়েই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। সঙ্গে ক’জন সংগঠকও আছেন। আজকের (গতকালের) সভায় ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
অর্থ সংকটের কারণে বন্ধ করে দিতে হয়েছে সিলেট বিকেএসপিস্থ ফুটবল একাডেমি। বিকেএসপি’র সিলেট শাখা একাডেমির জন্য বরাদ্দ নিয়ে সেখানে আবাসিক ক্যাম্প চালু করেছিল বাফুফে। কিন্তু কিছুদিন পর দারুণ অর্থ সংকটে পড়ে তারা। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও এই একাডেমি চালু রাখতে পারেনি বাফুফে। এরপর থেকেই একাডেমির বৗাপার অনীহা সৃষ্টি হয় তাদের। তবে এবার বেশ আগ্রহ নিয়েই সেই একাডেমিতেই ফিরছে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি।
এ প্রসঙ্গে সালাউদ্দিনের কথা,‘ফর্টিস গ্রুপের মাঠটি আমরা নিয়েছি একাডেমি তৈরীর লক্ষ্যেই। তাদের একটি ভালো বিল্ডিংও আছে। ইতোমধ্যে সেখানে সংস্কার কাজও শুরু হয়েছে। আশা করছি ২৫/৩০ দিনের মধ্যে তা শেষ হবে। কিছু আসবাবপত্রও লাগবে। সব ঠিকঠাক করে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে আমরা সেখানে ফুটবলারদের আবাসন ব্যবস্থা করে আবাসিক ক্যাম্প শুরু করতে পারবো। একমাস পর আমরা আবার সভা করবো।’ নতুন একডেমিতে কারা থাকছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের একটা বয়সভিত্তিক দল আছে। তাদের মধ্যে যারা সেরা তাদের একাডেমিতে রাখা হবে। বাইরে থেকেও প্রতিভা খুঁজে ক্যাম্পে ওঠানো হবে। খেলোয়াড়দের কোনো সংখ্যা নির্ধারণ করছি না। যত প্রতিভা পাওয়া যাবে ততো খেলোয়াড়ই একাডেমিতে তোলা হবে।’ বাফুফে সভাপতি জানান, ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে একাডেমির জন্য খেলোয়ার বাছাই চূড়ান্ত হবে। সালাউদ্দিন আরো বলেন, ‘১০ দিন পর নতুন একাডেমির আঙ্গিনায় সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে এটা বলা যায়, দেশি-বিদেশির মিশেলে একটি কোচিং স্টাফ থাকবে যাদের দিয়ে পরিচালনা হবে নতুন এই ফুটবল একাডেমি।’
সিলেট একাডেমির জন্য ফিফার কাছ থেকে অর্থ বরাদ্দ পেয়েও বাফুফে কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারেনি। এ নিয়ে বাফুফে সভাপতির ব্যাখ্যা, ‘ফিফার স্পেশাল ফান্ড থেকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সেপব্লোটার একটা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। যে অর্থের বড় একটা অংশ ভবন ও মাঠ সংস্কার এবং আববাবপত্র কিনতে খরচ হয়েছিল। তারপর প্রায় দেড় বছর একাডেমির কার্যক্রম চলেছে। ফিফার নির্দিষ্ট বরাদ্দে তো যুগযুগ কার্যক্রম চলবে না, তাই না?’ কিন্তু নতুন একাডেমি চালানোর অর্থ কোথা থেকে আসবে? এর উত্তরে সালাউদ্দিন বলেন,‘একাডেমি চালাতে শুরুর দিকে আড়াই কোটি লাগবে। এই টাকা আমি এবং আমার বন্ধু-বান্ধব মিলে ব্যবস্থা করবো। যতদিন অর্থের সংকুলান না হবে ততদিন আমিই দায়িত্ব নিয়ে চালাবো একাডেমি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: একাডেমি পাচ্ছে ফুটবল

১৪ জানুয়ারি, ২০১৯
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ