Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুমিল্লার সহজ জয়

লো স্কোরিং ম্যাচে শুরু সিলেট পর্ব

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

শর্টভার্সন ক্রিকেটের জনপ্রিয় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)’র সিলেট পর্ব শুরু হয়েছে লো-স্কোরিং দিয়ে। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইটান্স ৯ উইকেটে ১২৮ রান তুললে রাজশাহী কিংস থেমে যায় ১০৩ রানে। প্রথম জয় পায় খুলনা। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচের চিত্র আরো খারাপ। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্থানীয় বোলার মেহেদী হাসান, পাকিস্তানী ওয়াহাব রিয়াজ ও ইংল্যান্ডের লিয়াম ডাসন তাÐবে ১৪.৫ ওভারে মাত্র ৬৮ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিক সিলেট সিক্সার্স। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কুমিল্লা মাত্র ১০ রানে দুই ওপেনারকে হারালেও ১১.১ ওভারে ২ উইকেটে ৬৯ রান করে ৮ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয়।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে স্বাগতিক দলকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় কুমিল্লা। ব্যাটিংয়ে নেমে সিলেট সিক্সার্সের ব্যাটসম্যানরা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেন। ম্যাচের এক পর্যায়ে মনে হয়েছে স্বাগতিক দল যেন সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড গড়বে। একমাত্র অলক কাপালী ছাড়া তাদের অন্য কোনো ব্যাটসম্যান দুই অংকের রান তুলতে পারেননি। মাত্র ৪৭ রানে সিলেটের ৯টি উইকেট পড়ে গেলে কাপালীর দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত পঞ্চাশের ঘরে পেরুতে সক্ষম হয় সিলেট। শেষ পর্যন্ত কাপালী ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন। কুমিল্লার মেহেদী হাসান ২২ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন। ওয়াহাব ১৫ রানে ৩ ও ডাওসন ৪ রানে দু’টি উইকেট পান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কুমিল্লা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সও শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে। শূণ্য রানে তারা হারায় ওপেনার এনামুল হককে। দলীয় স্কোর ২.৪ ওভারে যখন ১০ রান তখন ফিরে যান আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল। এই ম্যাচেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে ফেরেন শূণ্য রানে। অবশ্য ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান ও অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয় কুমিল্লা। এবং শেষ পর্যন্ত সহজ জয়ও তুলে নেয়। শামসুর ৩৭ বলে ৩৪ রান ও কায়েস ২২ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। সিলেটের সোহেল তানভীর ১০ রান খরচায় পান একটি উইকেট।


কোহলির শতকে সমতায় ভারত
স্পোর্টস ডেস্ক
হারলেই সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যাবেÑ এমন পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি ইনিংস খেললেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। অপরাজিত ফিফটিতে আবারো ফিনিশারের ভুমিকায় দেখা দিলেন সাবেক অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি। ব্যাটসম্যানদের দৃড়তায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতও।
গতকাল অ্যাডিলেড ওভালে ভারতকে ২৯৯ রানে বড় লক্ষ্যই দিয়েছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু অজি বোলারদের সামলে ৪ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে সফরকারীরা। ৩ ম্যাচ সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
লক্ষ্য বড় হলেও কখনোই মনে হয়নি ভারত পথ হারাবে। ধাওয়ান-রোহিতের প্রথম জুটি থেকেই এসেছে সবচেয়ে কম রান, ৪৭। এরপর প্রতি জুটি থেকেই এসেছে কমপক্ষে ৫০ রান। চতুর্থ উইকেটে ধোনি-কোহলি মিলে যোগ করেন সর্বোচ্চ ৮২ রান। ৩৯তম ওভানডে শতক তুলে নেয়ার খানিক বাদেই রিচার্ডসনের বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কোহলি। ১০৮ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছানো ভারত দলপতি আউট হন ১১২ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ১০৪ রান করে। জয়ের জন্য তার দলের তখন দরকার ৩৮ বলে ৫৭ রান। দিনেশ কার্তিককে নিয়ে ৪ বল হাতে রেখেই দরকারটা মিটিয়ে নেন ধোনি। ১৪ বলে ২৫ রানের অপরাজিত ক্যামিং ইনিংস আসে কার্তিকের ব্যাট থেকে। ধোনির অপরাজিত ৫৪ বলে ৫৫ রানের দায়ীত্বশীল ব্যাটিংয়ে বাউন্ডারি নেই একটিও, তবে ছক্কা আছে দুটি। শেষ ওভারের প্রথম বলে জেসন বেহরেনডর্ফকে গ্যালারীতে পাঠিয়ে স্কোরবোর্ডে সমতা আনেন ধোনি। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিনিশারের দায়ীত্ব সারেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
অথচ দিনটা হতে পারত শন মার্শেরও। তার সপ্তম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে শতকেই তো তিন’শ ছুঁই ছুঁই সংগ্রহ দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া। ২৬ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারানোর পর বাকিদের ছোট কিন্তু কার্যকরী সহযোগিতা কাজে লাগান মার্শ। ষষ্ঠ উইকেটে গেøন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে যোগ করেন সর্বোচ্চ ৯৪ রান। ৩৭ বলে ৪৮ রান করে ম্যাক্সওয়েল বিদায় নেয়ার এক বল পরে বিদায় নেন মার্শও। ১২৩ বলে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৩১ রান করে আউট হন মার্শ। ৩২০ রানের মত সংগ্রহের আভাস দেওয়া অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত তিনশও পেরুতে পারেনি তাদের বিদায়ে। শেষ তিন ওভারে চার উইকেটের বিনিময়ে তারা তুলতে পারে মাত্র ১৫ রান। শুরু আর শেষে দারুণ বোলিং করেন ভুবনেশ্বর কুমার ও মোহাম্মদ শামি। ৪৫ রানে ৪ উইকেট নেন কুমার, ৫৮ রানে ৩টি নেন শামি। ৯ উইকেটে অজিরা করে ২৯৮ রান।
আগামী শুক্রবার মেলবোর্নে হবে সিরিজ নির্ধরণী ম্যাচ।

অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ২৯৮/৯ (কারি ১৮, ফিঞ্চ ৬, খাজা ২১, মার্শ ১৩১, হ্যান্ডসকম্ব ২০, স্টয়নিস ২৯, ম্যাক্সওয়েল ৪৮, রিচার্ডসন ২, লায়ন ১২*, সিডল ০, বেহরেনডর্ফ ১*; ভুবনেশ্বর ৪/৪৫, শামি ৩/৫৮, সিরাজ ০/৭৬, কুলদীপ ০/৬৬, জাদেজা ১/৪৯)। ভারত: ৪৯.২ ওভারে ২৯৯/৪ রোহিত ৪৩, ধাওয়ান ৩২, কোহলি ১০৪, রাইডু ২৪, ধোনি ৫৫*, কার্তিক ২৫*; বেহরেনডর্ফ ১/৫২, রিচার্ডসন ১/৫৯, সিডল ০/৫৮, লায়ন ০/৫৯, স্টয়নিস ১/৪৬, ম্যাক্সওয়েল ১/১৬)। ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: বিরাট কোহলি। সিরিজ : ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জয়

১৮ ডিসেম্বর, ২০২২
১৭ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ