Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আবাহনীকে পাত্তাই দিলো না বসুন্ধরা

মুক্তিযোদ্ধায় বিধ্বস্ত শেখ জামাল

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১২:০৯ এএম, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯

‘ভারে নয়, ধারেই কেটেছে’- কথাটির সত্যতা আবারো প্রমাণ হলো ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের দ্বিতীয় পর্বে। এই পর্বের উদ্বোধনী দিনই হোঁচট খেয়েছে লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ঢাকা আবাহনী লিমিটেড এবং শেখ জামাল ধানমÐি ক্লাব।
গতকাল নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নবাগত বসুন্ধরা কিংস ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে। বিজয়ী দলের হয়ে ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া ও কোস্টারিকার বিশ্বকাপ খেলা ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিনড্রেস সোলেরা একটি করে গোল করেন। অন্যদিকে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে লিগের আরেক ম্যাচে মাঝারি মানের দল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র তাদের আইভরি কোস্টের ফরোয়ার্ড বাল্লো ফামোসার হ্যাটট্রিকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বর্তমান রানার্সআপ শেখ জামালকে।
কাল নীলফামারীতে আবাহনী-বসুন্ধরা ম্যাচকে কেন্দ্র করে যেন ফুটবল উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছিল। ছোট হলেও শেখ কামাল স্টেডিয়ামটি ছিলো দর্শকে পরিপূর্ণ। দুই চ্যাম্পিয়নের প্রায় এক তরফা লড়াই মনভরে উপভোগ করেন দর্শকরা। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে সেরা হয়ে প্রিমিয়ারে উঠে বসুন্ধরা কিংসের আক্রমণাতœক ফুটবল আনন্দ দিয়েছে সমর্থকদের। পুরো ম্যাচে তারা দারুণ খেলেছে। বালা যায় তাদের আক্রমণাতœক ফুটবলের সামনে পাত্তাই পায়নি আবাহনী।
আগের ম্যাচে বর্তমান রানার্সআপ ও ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালকে হারিয়ে এবারের লিগ শুরু করে বসুন্ধরা। দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামে দলটি। ম্যাচের শুরু থেকেই তারা গোলের জন্য মরিয়া ছিল। তবে উল্লেখ করার মতো প্রথম সুযোগটি বসুন্ধরা পায় ম্যাচের ২১ মিনিটে। এসময় সতীর্থের ফ্লিকের পর ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মার্কোস দি সিলভা ঠিকঠাক শট নেয়ার আগেই আবাহনীর গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল দ্রæত বল নিজ গ্রিপে নেন। ২৭ মিনিটে বসুন্ধরার আরেকটি সুযোগ নষ্ট হয় পোস্টে লেগে। বিরতির আগে ৪২ মিনিটে আবাহনীর সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন তাদের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা। তিনি পেনাল্টি শট বাইরে মারলে হতাশ হন সমর্থকরা। প্রথমার্ধের যোগকরা সময়ে (৪৫+২ মিনিট) বসুন্ধরার ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধুরী গোল করে দলকে এগিয়ে নেন (১-০)। ৬০ মিনিটে মার্কোসের বাড়ানো বল ধরে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা মতিন মিয়া নিখুঁত শটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন (২-০)।
নয় মিনিট পর রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা বসুন্ধরার কোস্টারিকার ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিনড্রেস সোলেরা গোল করেন ব্যবধান বাড়ান। তিনি কিরগিজস্তানের মিডফিল্ডার বখতিয়ার দুইশবেকভের পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের চমৎকার শটে গোল করেন (৩-০)। ম্যাচের বাকি সময় খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রাখে বসুন্ধরা। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে নবাগতরা।
এদিকে হার দিয়ে এবারের লিগ শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে মুক্তিযোদ্ধা। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে বাল্লো ফামোসার হ্যাটট্রিকে তারা ৩-০ গোলে হারায় শক্তিশালী শেখ জামালকে। ফামোসা ম্যাচের ৪৪, ৬৭ ও ৮৯ মিনিটে গোল তিনটি করেন। গত শনিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা ১-০ গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে হেরেছিল।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ