Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মেসির নাগালে আরেক রেকর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ৭:৩৬ পিএম

আরো একটি লা লিগা ম্যাচ, যথারীতি লিওনেল মেসির গোল এবং বার্সেলোনার জয়। নগর প্রতিদ্বন্দ্বী জিরোনাকে তাদেরই মাঠে ২-০ গোলে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আগের রাতে লেভান্তের বিপক্ষে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ জয় পাওয়ায় পয়েন্ট টেবিলে পার্থক্যটা আগের মতই রয়ে গেছে। ৫ পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষে বার্সা, দুইয়ে অ্যাটলেটিকো। এস্পানিওলের মাঠে ৪-২ গোলের জয়ে চিরপ্রতিদ্বন্ধীদের সঙ্গে ১০ পয়েন্টের ব্যবধান ধরে রেখেছে তিন নম্বর দল রিয়াল মাদ্রিদও।
মেসির এদিনের জয়টি ছিল মহত্ত্বমাখা। এই জয় দিয়েই লা লিগায় জয়ের সংখ্যায় রিয়ালের ‘ঘরের ছেলে’ খ্যাত রাউল গঞ্জালেসকে টপকে গেলেন মেসি। ২০১০ সালে শালকেতে যোগ দেয়ার আগে রিয়ালের হয়ে ৫৫০ লিগ ম্যাচে ৩২৭ জয়ের মুখ দেখেছিলেন রাউল। মেসি বার্সার হয়ে পরশু তুলে নিলেন ৩২৮তম জয়। কিংবদন্তি স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের চেয়ে ১১৩ ম্যাচ কম খেলেই তাকে টপকে গেলেন আর্জেন্টাইন জাদুকর (৪৩৭ ম্যাচ)। এখন তার সামনে কেবল স্পেনের দুই কিংবদন্তি গোলরক্ষক আন্দোনি জুবিজারেতা ও ইকার ক্যাসিয়াস।
স্পেনের হয়ে এক সময় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়া জুবিজারেতা লা লিগায় অ্যাথলেটিক বিলবাও, বার্সেলোনা ও ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে ৬২২ ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেছেন ৩৩৩ বার। আর ২০১৫ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে পোর্তোয় পাড়ি দেওয়া ক্যাসিয়াস ৫১০ ম্যাচে জয় পেয়েছেন ৩৩৪ বার। তার মানে আর মাত্র ৭টি জয় পেলেই লা লিগায় আরেকটি রেকর্ড নিজের করে নেবেন মেসি।
চলতি লিগে ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের দৌড়েও সবার আগে মেসি। জর্ডি আলবার পাস থেকে দ্বিতীয়ার্ধে এদিন মেসি যে দৃষ্টিনন্দন গোলটি করেন সেটি ছিল লিগের তার ১৯তম, আর সব প্রতিয়োগিতা মিলে ২৬তম গোল। লিগে ১৭ গোল নিয়ে তার পরে রয়েছেন লিগ ওয়ানের দল পিএসজির ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে। ১৬ গোল নিয়ে তিনে সেরি আর ক্লাব সাম্পদরিয়ার ফরোয়ার্ড ফ্যাবিও কোয়াগলিয়ারেল্লা।
নেলসন সেমেদোর গোলে এদিন প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার ৬ মিনিটের মাথায় বার্নেন্দো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশজনের দলে পরিণত হয় জিরোনা। এরপর আক্রমণের বান বইয়ে দেয় বার্সা। কিন্তু একটিমাত্র গোল নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। গোলের সহজ সব সুযোগ গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে হাতছাড়া করেন মেসি, সুয়ারেজ, আর্থার, রাকিটিচ, কুতিহোরা। নইলে ব্যবধান আরো বড় নিয়ে ফিরতে পারত ভালভার্দের দল। গোলের সুযোগ ছিল জিরোনার সামনেও। কিন্তু গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন এক স্তুয়ানিকেই গোলবঞ্চিত করেন তিনবার।
ওদিকে এস্পানিওলের মাঠে রিয়ালের হয়ে জোড়া গোল করেন করিম বেনজেমা। রামোস এই ম্যাচেও পেয়েছেন গোলের দেখা। চোট কাটিয়ে দলে ফিরে গোল পেয়েছেন গ্যারেথ বেলও। ৭২ মিনিটে ভারানে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।
বার্সার জন্যে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে আগামীকাল। কোপা দেল রে’তে টিকে থাকতে হলে ঘরের মাঠে সেভিয়ার বিপক্ষে ২ গোলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। প্রথম লেগে সেভিয়ার মাঠ থেকে ২-০ গোলে হেরে আসে মেসিবিহীন আর্নেস্তো ভালভার্দের দল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেসি

৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ