Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সরকারের রূপরেখায় সহাবস্থানের প্রস্তাব তালেবানের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ৪:১৭ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চলমান আলোচনায় ভবিষ্যৎ আফগান সরকারের রূপরেখা দিল তালেবানরা। প্রশাসনে ক্ষমতায় একাধিপত্য চাচ্ছে না বরং বর্তমান প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একটা সহাবস্থান চাচ্ছেন তারা। বুধবার এ যাবতকালের সবচেয়ে ইতিবাচক বিবৃতিতে তারা এই রূপরেখার প্রস্তাব দিয়েছে।
দীর্ঘদিনের আফগানিস্তান যুদ্ধের ইতি টানার জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টা যখন জোরদার হয়েছে, এমন সময়েই এই বিবৃতি দিলো তালেবানরা। মার্কিন দূত জালমাই খলিলজাদ এ সপ্তাহে জানিয়েছেন যে, শান্তি চুক্তির ‘ফ্রেমওয়ার্কের’ ব্যাপারে একমত হয়েছে তালেবানরা। এ মুহূর্তে আফগানিস্তানের প্রায় অর্ধেক অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে তালেবানরা।
কাতারে রাজনৈতিক অফিস রয়েছে তালেবানদের। সেখানে কাতারভিত্তিক মুখপাত্র সুহাইল শাহীন বলেছেন, ‘মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান থেকে সরে গেলে তালেবানরা আর দশজন আফগানের মতোই বাস করতে চায়, একে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল ভাই ভাই হিসেবে বাস করতে চায় তারা।’ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের কাছে দেয়া এক্সক্লুসিভ অডিও বার্তায় এই বিবৃতি দেন শাহীন। শাহীন বলেন, ‘দখলদারিত্ব শেষ হলে, আফগানদের উচিত হবে অতীত ভুলে একে অন্যের সাথে ভাই ভাই হিসেবে বাস করা। সেনা প্রত্যাহারের পর একতরফাভাবে ক্ষমতায় থাকার কথা ভাবছি না আমরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক আফগানের কথা বিশ্বাস করি, যেখানে সমস্ত আফগান নিজ নিজ অস্তিত্ব খুঁজে পাবে।’ তিনি আরও বলেন যে, ‘তালেবানরা একটা পুনর্গঠিত পুলিশ বাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশ গড়ার কথা ভাবছে যদিও এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাননি তিনি। আফগানিস্তানের স্থানীয় পুলিশ বাহিনী দুর্নীতির জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়ে আসছে এবং স্থানীয় জনগণকে তারা হয়রানি করে থাকে।’
দোহাতে ২৫ ফেব্রুয়ারি খলিলজাদের সাথে আবারও আলোচনা হবে বলেও জানান শাহীন। কাতারে গত সপ্তাহে তালেবানদের সাথে ছয় দিন ধরে আলোচনা করেছেন খলিলজাদ। তিনি কাবুলে সোমবার বলেন যে, এখনও অনেক কিছু করা বাকি, তবে তালেবানদের সাথে আলোচনার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
অন্যদিকে, আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি আফগানদের আশ্বস্ত করেছেন যে, কাবুল সরকারের অগোচরে এবং তাদের অংশগ্রহণ ছাড়া কোন চুক্তি হবে না। ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হামলার জবাবে ২০০১ সালের নভেম্বরে মার্কিন সেনারা তালেবান সরকারকে উৎখাত করে, যারা আল কায়েদা এবং সংগঠনটির নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছিল। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান শাসন করেছিল তালেবানরা। এ সময় কঠোর ইসলামিক আইন চালু করে তারা।
শাহীন আরও বলেন যে, ভবিষ্যতে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার এবং আফগানিস্তানে যাতে আল কায়েদার মতো সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো আবার ঘাঁটি গাড়তে না পারে সে ব্যাপারে বিস্তারিত পরিকল্পনার জন্য যৌথ টেকনিক্যাল টিম গঠন করবে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানরা।
গত সেপ্টেম্বরে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে খলিলজাদ আফগানিস্তানে সমঝোতার জন্য তৎপরতা বাড়িয়েছেন, যে প্রক্রিয়ায় এক পর্যায়ে দীর্ঘ যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: ডন।



 

Show all comments
  • Unknown ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ৫:৩২ পিএম says : 0
    May Allah help Taliban to get their right back.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তালেবান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ