Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামের মহানুভবতা প্রকাশে কানাডায় অনন্য উদ্যোগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ৪:১৯ পিএম

কানাডার কুইবেক সিটির মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েক ডজন স্বেচ্ছাসেবক প্রতি শনিবার একটি ‘মানব লাইব্রেরি’ কর্মসূটিতে অংশ নিচ্ছেন। এই কর্মসূটির উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলাম নিয়ে মানুষের ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারকে দূর করা।
কুইবেকের ‘সেইন্টি-ফয়’ শহরে অবস্থিত ‘মনিক-কোরিভিউ’ লাইব্রেরিতে রাখা ‘জীবন্ত বইয়ে’ যে কেউ চাইলে প্রবেশ করতে পারে এবং সরাসরি কুইবেক শহরের বাসিন্দা কিংবা ইসলামে ধর্মান্তরিত মুসলমান ব্যক্তিদের কাহিনী শুনতে পারবে। ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারকে চ্যালেঞ্জ করার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে স্থানীয় বিভিন্ন সংস্থা এবং মসজিদসমূহের পাশাপাশি শহরের পাবলিক হেলথ এজেন্সি এই ইভেন্টটি আয়োজন করছে।
নায়লা খলিল নামে একজন স্বেচ্ছাসেবক নারী বলেন, ‘আমি কথা বলার আকাঙ্ক্ষা ও দায়িত্বশীলতার বিষয়টি অনুভব করি। বলতে গেলে, আমাদের ভিন্ন বিশ্বাস রয়েছে কিন্তু আমরা সবাই অন্যের মতো বাস করছি।’ তিনি তার নিজেকে একজন তিউনিসিয়ান, মুসলিম এবং কুইবেকোইস হিসেবে পরিচয় দেন।
ছয় বছর অপেক্ষা করার পর ২০১৬ সালে কানাডিয়ান ভিসা পাওয়ার বিষয়টি স্মরণ করে লায়লা বলেন, ‘আমি সবসময় এখানে আসার স্বপ্ন দেখতাম। ভিসা পাওয়ার বিষয়টি আমার জন্য সত্যিই একটি বিশেষ মুহূর্ত ছিল।’ দুই সন্তানের জননী নায়লা এখন কুইবেক সরকারের একজন কম্পিউটার অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন।
নায়লা জানায়, গত বছরের ২৯ জানুয়ারি কুইবেক সিটি মসজিদ হামলার পর সেখানে কিছু পরিবর্তন এসেছে। ওই হামলায় তার একজন বন্ধু ও একজন প্রতিবেশীসহ ৬ জন নিহত হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই আমাকে বিস্মিত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় জঘন্য সব মন্তব্য, সংবাদ দেখে আমি হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। এটা সত্যিই একটা কঠিন মুহূর্ত ছিল।’ নায়লা জানায়, মানুষ যেন ইসলামের অর্থকে ভুলভাবে উপস্থাপন করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে তিনি এখন মানব গ্রন্থাগারের মতো বিভিন্ন কমিউনিটি কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
খাদিজা জাহিদ নামে অন্য আরেকজন নারী জানান, ওই হামলার পর থেকে তিনিও তার দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন এনেছেন। তিনি বলেন, ‘মহিলাদের হিজাব বা পর্দার বিষয়টি জাতীয় পরিষদ, মিডিয়াসহ সবখানেই একটি আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বলা হচ্ছে, এটি কুইবেক সমাজের জন্য বিপজ্জনক এবং এটা আমাকে প্রভাবিত করে কারণ এটি সত্য নয়।’ খাদিজা জাহিদ ২০০৭ সালে মরোক্কো থেকে কুইবেকে অভিবাসী হন এবং কুইবেকের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মানব সম্পদ বিভাগে চাকরি লাভ করেন। তিনি ২০১১ সাল থেকে হিজাব পরা শুরু করেন। তিনি প্রস্তাব করেন যে আইনের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে বিভাজন তৈরির পরিবর্তে সরকারের উচিত হবে উপলব্ধিকে লালন করা এবং একীকরণের ভিত্তি স্থাপন করা। সূত্র: সিবিসি নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কানাডা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ