নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে আগেই। সিলেট সিক্সার্সের কাছে ম্যাচটি তাই ছিল এক দিক থেকে গুরুত্বহীন। এমন কম গুরুত্বের ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসকে ২৯ রানে হারিয়ে আক্ষেপ বাড়িয়েছে সিলেট। আসরে তাদের নেট রান রেটটা মন্দ ছিল না। নামের পাশে আর একটি জয় থাকলেই শেষ চারের সম্ভবনা এখনও টিকে থাকত। জয়টা তাই সিলেটর কাছে বিদায়ের হতাশার উপর সান্ত¦নার প্রলেপের মতই। ৫ উইকেটে সিলেটের করা ১৬৫ রানের জবাবে ১৮.৩ ওভারে ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় চিটাগং।
চট্টগ্রামের অবশ্য শেষ চার নিশ্চিত হয়েছে আগেই। তাতে ম্যাচের গুরুত্ব কিছুটা কমলেও একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল না। তাদের লক্ষ্য ছিল কোনভাবে যদি সেরা দুইয়ে থেকে লিগ পর্ব শেষ করা যায়, সেক্ষেত্রে ফাইনালের পথে একটি ম্যাচ বেশি পাওয়া যাবে। ক্যাচ মিসের মহড়ার পরও সিলেটকে ১৬৫ রানে আটকেও ফেলেন মুশফিক বাহিনী। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় লক্ষ্যটা অনতিক্রম্যই রয়ে যায়।
দলীয় ৩ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভাইকিংস। এরপর ইয়াসির আলীকে নিয়ে সাবধানী ব্যাটিংয়ে ইনিংস মেরামতে মন দেন মুশফিকুর রহিম। সেটা ঠিক না হতেই ২৭ বলে ২৭ রান করে জেসন রয়কে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইয়াসির। মুশফিক-মোসাদ্দেকের ২৪ বলে ৩৫ রানের জুটিটাও ভালোমত দানা বাধতে পারেনি। ১৫ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে ২৫ রান করে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মোসাদ্দেক। সিকন্দার রাজা (৮ বলে ৬) এসেও কিছু করতে পারেননি। এরপরও চট্টগ্রাম আশা হারায়নি কারণ তখনও দানুশ শনাকাকে নিয়ে ক্রিজে ছিলেন মুশফিক। ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মুশফিকের রা আউট ভাইকিংসকে চরম হতাশায় ফেলে যায়। মুশফিকের প্রচেষ্টা থামে ৩২ বলে তিনটি করে ছক্কা-চারে ৪৮ রান করার পর রান অউটে।
অচেনা দক্ষিণ আফ্রিকান হার্ডাস ভিলোয়েন একটি করে ছক্কা-চার হাঁকিয়ে ভয় ধরিয়ে দেন সিলেটকে। কিন্তু তাকেও থামান এবাদত। তাকেও বলতে হচ্ছে কারণ বার বার যে চট্টগ্রাম পথ হারিয়েছে তা এবাদতের কারণেই। শনাকা, মোসাদ্দেক ও ওপেনার ডেলপোর্টের উইকেটও নেন এবাদত। তার ৪-০-১৭-৪ বোলিং ফিগারের কাছেই তো হার মানে ভাইকিংস।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটে নামে সিলেট। এবারের বিপিএলে প্রথমবারের মত উইকেটরক্ষকের গ্লাভস হাতে দেখা যায় মুশফিককে। তবে সিক্সার্সের ইনিংসে সবচেয়ে প্রভাব খাটাতে দেখা যায় দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে একটি টেস্ট খেলা হার্ডাস ভিলোয়েনকে। দুই স্পেলের বোলিংয়ে দ্রুত দুটি করে মোট ৪ উইকেট তুলে নিয়ে সিলেটকে বড় সংগ্রহের পথে সবচেয়ে বড় বাধটা দেন ৩১ বছর বয়সী ডানহাতি এই পেসার। আফিফ হোসেন ও জেসন রয়কে ফেরান পাওয়ার প্লের আগেই। তৃতীয় উইকেটে আন্দ্রে ফ্লেচার সাব্বির রহমানের ৬১ রানের জুটি যখন সিলেটকে শক্ত ভীতে দাঁড় করানোর পর্যায়ে ঠিক তখন এনে সাব্বিরকে ফেরান নাঈম হাসান। ২৫ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে ৩২ রান করা সাব্বিরের বিদায়ে জুটি বিচ্ছন্ন হয়। ফ্লেচার বেশ বুদ্ধিদীপ্ত ভঙ্গিমায় এগুতে থাকেন। শেষ দিকে আবার রাশ টেনে ধরেন ভিলোয়েন। টানা দুই বলে ফ্লেচার ও মোহাম্মদ নওয়াজকে ফেরান তিনি। ফ্লেচারের ৬৬ রানের ইনিংস আসে ৫৩ বলে, ৪ ছয় ও দুটি ছয়ে। ১৯ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৪ রান করেন নওয়াজ। বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে ২৯ রানে ৪ উইকেট নেন ভিলোয়েন। সিলেটের চ্যালেঞ্জিং স্কোরের পিছনে অবদান ছিল চট্টগ্রামের পিচ্ছিল হাতেরও। একের পর এক ক্যাচ হাতছাড়া করে ভাইকিংস। ফলাফলটাও তারা দিন শেষে পেয়ে যায় হাতেনাতে।
দুই দলেরই গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ। ১২ ম্যাচে ৭ জয় ও ৫ হারে পয়েন্ট তালিকার তিনে চট্টগ্রাম। সমান ম্যাচে ৫ জয় ও সাতটি হার সিলেটের। তালিকায় তাদের অবস্থান নলানীতে থাকা খুলনা টাইটান্সের ঠিক উপরে। আজ বাঁচা-মরার লড়াইয়ে খুলনার মুখোমুখি হবে ঢাকা ডায়নামাইটস। হারলেই বিদায় নেবে সাকিবের দল। সেক্ষেত্রে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, রংপুর রাইডার্স ও চট্টগ্রমের সঙ্গে পরের পর্বে যাবে রাঝশাহী কিংস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।