Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খালেদা জিয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে ‘ব্যাকুল’ হানিফ

প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : যুদ্ধাপরাধের অপরাধে জামায়াত নেতাদের ফাঁসির রায় কার্যকরের পর দলীয়ভাবে বিএনপি কখনও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় না। বরাবর এ ইস্যুতে দলটি নীরবতা পালন করে এসেছে। কিন্তু জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকরের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছেন বলে জানালেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকালে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মহানগর আওয়ামী লীগের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নিজের আকুলতা প্রকাশ করেন।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে হানিফ বলেন, ‘শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হওয়ার পর প্রত্যেকবার বিএনপি নেত্রী চুপ থাকেন। এবারও তিনি চুপ আছেন। কিন্তু আমি ব্যাকুল হয়ে অপেক্ষা করছি, নিজামীর ফাঁসি নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানার। কারণ এবারতো তার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মিত্রের ফাঁসি হয়েছে। যে শীর্ষ রাজাকারকে তিনি মন্ত্রী বানিয়েছিলেন, ত্রিশ লক্ষ শহীদের সঙ্গে বেঈমানী করে গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন।’
কামরাঙ্গীরচরে আল-হেরা কমিউনিটি সেন্টারে নবগঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। কামরাঙ্গীর চর আওয়ামী লীগ এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
হানিফ বলেন, আপনারা গণমাধ্যমে দেখেছেন, জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি হওয়ার প্রতিবাদ ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের অপকর্মের সহযোগী ছিলো নিজামীদের মতো নরপিশাচ দোসররা। এই দেশটি (পাকিস্তান) সবসময়ই বাইরের বিষয়ে নাক গলিয়েছে। আর সবসময়ই নির্লজ্জ মিথ্যাচারে লিপ্ত। কারণ এই ব্যর্থ রাষ্ট্রের জন্মই মিথ্যাচার দিয়ে। তাদের এই ধৃষ্টতার তীব্র ধিক্কার জানাই। ফের যদি তারা এই ধরনের দু:সাহস দেখায় তবে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আমরা রাখবো কিনা তা বাংলার জনগণ ভেবে দেখবে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের যদি এতই দরদ, তবে তাদের দোসর প্রিয় ব্যক্তিদের বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গিয়ে তাদের দেশের নাগরিকত্ব দিক। আমরা এই দেশে কোনো যুদ্ধাপরাধী ও পাকিস্তানের প্রেতাত্মা দেখতে চাই না।
হানিফ আরও বলেন, জামায়াত যে ধর্মের নামে রাজনীতি করে এটা ধর্ম সমর্থন করে না। এই দলটি পাকিস্তানের এজেন্ট। এটা আমরা বহুবার বলেছি। দলটির শীর্ষ নেতা যারা স্বাধীনতা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলো তার বিচার হচ্ছে। এখন সময় এসেছে জামায়াতের রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, এই (ঢাকা-২) এলাকায় কিছুই ছিলো না। এখন এই এলাকায় সিটি করপোরেশনের তিনটি ওয়ার্ড, বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। এই যে উন্নয়নের ছোঁয়া ও আধুনিকতা তা বর্তমান সরকারের সফলতা ও অর্জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশেও এ রকম উন্নয়ন হচ্ছে।
অপর বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, কামরাঙ্গীরচরসহ সারাদেশে বর্তমান সরকার যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে তা জনগণ আনন্দের সঙ্গে ভোগ করছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও জনগণের মাঝে যে পরিমাণ উচ্ছ¡াস আমি দেখছি, সরকারের ওপর যে আস্থা তাদের তৈরি হয়েছে তাতে পাকিস্তান ও তাদের দোসরদের সকল চক্রান্ত ব্যর্থ হতে বাধ্য।
কামরাঙ্গীরচর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরে আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসানত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, কামরাঙ্গীরচর সভাপতি মো. আবু হোসেন সরকার প্রমুখ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে ‘ব্যাকুল’ হানিফ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ