Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খুলনায় খাল উদ্ধারে তৎপরতা শুরু

আবু হেনা মুক্তি | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর দু’পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর খুলনায় খাল উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, খুলনার ময়ূর নদের দু’পাড় থেকেই সরকারি-বেসরকারিভাবে দখলযজ্ঞ চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। ফলে বর্ষা মৌসুমে মহানগরীতে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
সূত্রমতে, খুলনায় ময়ূর নদী ও সংযুক্ত ২২টি খালের প্রায় ১৪ হাজার বর্গমিটার জায়গা বেদখল হয়ে গেছে। এর মধ্যে ময়ূর নদীর বেদখল হওয়া জমির পরিমাপ ১০৭৫ বর্গমিটার। নদীর আয়তন কমেছে চার দশমিক ১৭ শতাংশ। অবৈধ দখলের কারণে খালগুলো সংকীর্ণ হওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। ফলে প্রতি বর্ষা মৌসুমে শহরের বড় অংশ জুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে স্থায়ী পানিবদ্ধতা।
অবশেষে মহানগরীর পানিবদ্ধতা নিরসনে ময়ূর নদী পুনঃখনন, ২২টি খালের দখল উচ্ছেদ, ভরাট হয়ে যাওয়া ড্রেন সংস্কার, সরকারি-বেসরকারি পুকুর-জলাশয় সংরক্ষণ করে পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে পরিকল্পিতভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক মহানগরীর অভ্যন্তরীণ ও পার্শ্ববর্তী খালসমূহের বর্তমান অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
তিনটি পদক্ষেপের মাধ্যমে এ সকল দখলদারদের উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে টেকনিক্যাল ও উদ্ধার নামে দু’টি কমিটিও করা হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসক, খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি), পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি ও সেটেলমেন্ট অফিস যৌথভাবে দখলমুক্ত করার কাজ বাস্তবায়ন করবে।
নগরীতে খাল দখলদারদের উচ্ছেদে গতকাল মঙ্গলবার থেকেই কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুর ১২টার পর থেকে হরিণটানা, মিস্ত্রীপাড়া, লবণচরা ও টুটপাড়া এলাকায় অবস্থিত খালের আশেপাশের এলাকায় মাইকিং করা হয়। পর্যায়ক্রমে সকল খালের পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবৈধ দখলদারদের নিজ উদ্যোগে অপসারণ হওয়ার জন্য এক সপ্তাহ মাইকিং করা হবে। এর মাধ্যমে দখলদারদের উচ্ছেদের ১ম পদক্ষেপ শুরু হবে। এরপর দখলদাররা অপসারণ হলে তাদের তালিকা করা হবে এবং সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান অনুষ্ঠিত হবে।
অবৈধ খাল দখলদারদের উচ্ছেদের যৌথভাবে কাজ করবেন খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি), খুলনা জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি ও সেটেলমেন্ট অফিস। তিনটি পদক্ষেপের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে কাজগুলো সম্পন্ন হবে। উচ্ছেদ কার্যক্রম সফল করার জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট টেকনিক্যাল কমিটি এবং ২৫ সদস্য বিশিষ্ট উদ্ধার কমিটি গঠন করা হয়েছে।
টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে কেসিসি’র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাকে। এছাড়া উদ্ধার কমিটিতে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও কেসিসি’র সচিবকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধার কমিটির উপদেষ্টায় কেসিসি মেয়র, স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিভাগীয় কমিশনার, কেএমপি কমিশনার, ডিআইজি, কেডিএ’র চেয়ারম্যানসহ ৯ জনকে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল নদী ও খাল অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনরুদ্ধার করার দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। নির্দেশনার আলোকে খুলনা মহানগরীর অভ্যন্তরীণ খালসমূহও দখলমুক্ত করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নদী

২৬ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ