Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার নিজেই দুর্যোগে

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌর ৫ নং ওয়ার্ডে চর সেকান্দর এলাকায় স্থাপিত ১ম শ্রেনীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার (অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল পূর্বাভাস ও সতর্কীকরন কেন্দ্র) নিজেই দুর্যোগে আক্রান্ত।

অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে এ কেন্দ্রটিতে লোকবল নিয়োগ, নতুন ভবন নির্মাণ, এবং যন্ত্রপতি স্থাপন করা সম্পন্ন হয়েছে। অফিসে লোকবল পদায়ন রয়েছে আবহাওয়া সহকারী- ১জন, সিনিয়র অবজারভাইজার-১ জন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-২ জন, বেলুন মিকার-১ জন এবং গার্ড-৪ জনসহ মোট ৪টি পদে লোকবল ৮ জন থাকলেও কার্যত এই কেন্দ্রটিতে লোকবল নিয়োগ রয়েছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ১ জন এবং বেলুন মিকার-১ জনসহ গার্ড-২ জন। আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ১টি বহুতল বাসভবন ও ১টি যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ বহুতল অফিস ভবন থাকলেও কার্যত কর্মকর্তারা কেউ অফিস করেন না।
যন্ত্রপাতির স্থাপন করা হয়েছে বেলুনমিটার, উইন্ডরান, ডিজিটাল বেরোমিটার, অত্যাধুনিক কম্পিউটার, ড্রাই বাল্ব, ওয়েট বাল্ব, থার্মোমিটার ইন্ডিকেটর, আসবাবপত্র থাকলেও কর্মকর্তারা অফিস করেন না ফলে কার্যত কোন কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, এই কেন্দ্র থেকে জনগণ ও জেলেরা কোন ধরনের সেবা পাচ্ছে না। কর্মকর্তারা কেন্দ্রটি গত ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই চালু হওয়ার দাবি করলেও বাস্তবে মাঠ পর্যায়ে কোন লোক তাদের কাছ থেকে আবহাওয়ার কোন ধরনের তথ্যসেবা পাচ্ছে না। কেন্দ্রের ডিউটিতে যে দুজন আনসার সদস্য তারা ও স্থানীয় বখাটেরা মিলে রাতের বেলা এখানে নানান অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাগজে কলমে চালু হলেও বাস্তবে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। কর্মকর্তারা অফিস করেন না, কালে-ভদ্রে এসে হাজিরা খাতায় সই করে যান। কোটি টাকা ব্যয়ে আবাসিক ভবন নির্মিত হলেও কেউ থাকে না। যার ফলে অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভবনগুলো। আরো দেখা যায়, অফিসে ফজলু নামের এক আনসার সদস্য কর্মকর্তার টেবিলের উপর শুয়ে আছেন আর কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন ব্যক্তিগত কাজে লক্ষ্মীপুরে গেছেন।

এ বিষয়ে আবহাওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন আমাদের কার্যক্রম এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। প্রতিদিন লক্ষ্মীপুরের নাম করে অফিস ফাঁকি দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি সদুত্তর দিতে পারেন নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহ অফিসার মোহাম্মদ রফিকুল হক জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না তবে অভিযোগের বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ