Inqilab Logo

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিজেপির গো-রক্ষা বুমেরাং

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

তীব্র শীতের রাত, তবু জেগে থেকে ফসল পাহারা দিতে হয় ভারতের উত্তর প্রদেশের হাজার হাজার কৃষককে। নইলে মালিকানাবিহীন ইতস্তত ঘুরে বেড়ানো গরুর পাল এসে তাদের ফসল নষ্ট করে দেবে। এসব কৃষকের সংকট কেবল একটি নয়, যে ফসল তারা এত পরিশ্রম করে গরুর হাত থেকে রক্ষা করছেন, তার দামও পড়তে শুরু করেছে। এ উভয় সংকটের জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের নীতিকে দায়ী করছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, ছাড়া গরুর সংখ্যা এতটাই বাড়ছে যে এগুলো এখন তাদের বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার পেছনে আসল কারণ গো-রক্ষা নীতি। গরু নিয়ে আগে কখনও এমন কট্টর নীতি ছিলো না, তাই ফসলের জন্য এভাবে রাতও জাগতে হয়নি তাদের। ভারতের উত্তরপ্রদেশে কসাইখানা ও দেশজুড়ে গরু পাচারের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান চালানো হয়েছে। গো-রক্ষাকারীদের হামলা বেড়ে গেছে গরু বহনকারী ট্রাকের ওপরও। এতে গরু ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক জন্ম নিয়েছে। ভয়-আতঙ্কে গরু তো ভালো, ষাঁড় ব্যবসায়ীরাও ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
দীপক চৌধুরী নামে একজন খামার মালিক বলেন, ‘গরুর কথা বাদ দেন, বিজেপির গোরক্ষকদের কারণে আমরা এখন আত্মীয় স্বজনদের কাছেও পশু বিক্রি করতে পারি না।’
সাইনি বাবুরাও নামে ৮০ বছর বয়সী এক প্রান্তিক কৃষক বলেন, ‘সামনের নির্বাচনে মোদিকে ভোট দেবো না। জীবনে কখনও এতবেশি ছাড়া গরু দেখিনি।’
ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে গো-হত্যা বেআইনি বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই নীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর গো-মাংসের বাণিজ্য বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই নীতির কারণে অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছেন হিন্দুরাও। একই সঙ্গে নোট বাতিলের ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ভারতীয় অর্থনীতি। কেবল নোট বাজেয়াপ্ত করার কারণেই চাকরি হারান দেশটির প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ। সূত্র: এনডিটিভি।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিজেপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ