Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মানবতার জন্য ভয়াবহ ও লজ্জাজনক : তুরস্ক

উইঘুর শিল্পীর মৃত্যু, চীনের বন্দিশিবিরগুলো বন্ধের আহ্বান

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

চীনের জিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরে উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের একজন বিখ্যাত সংগীতশিল্পীর মৃত্যুর ঘটনার পর ‘নির্যাতন-কেন্দ্র’ হিসেবে পরিচিত শিবিরগুলো বন্ধ করে দেয়ার জন্য চীনের প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। আবদুর রহিম হায়াত নামের ওই শিল্পী জিংজিয়ান বন্দিশিবিরে আট বছরের সাজা ভোগ করছিলেন। সম্প্রতি তিনি মারা যান। এর পর পরই তুরস্কের কাছ থেকে এ ধরনের বিবৃতি এলো। দীর্ঘদিন ধরেই জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে উইঘুরসহ অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের আটকের খবর সামনে আসছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলোও জাতিসংঘের কাছে এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দিয়েছে। এসব প্রতিবেদনে উইঘুর মুসলিমদের গণহারে আটকের অভিযোগ তোলা হয় চীনের বিরুদ্ধে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উইঘুরদের বন্দিশিবির হিসেবে ব্যবহৃত চীনের এসব বন্দিশিবির মানবতার জন্য ভয়াবহ মাত্রায় লজ্জাজনক। গত শনিবার তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামি আকসয় বলেন, চীনের এসব বন্দিশিবিরে ১০ লক্ষাধিক উইঘুরকে আটকে রাখার বিষয়টি এখন আর গোপন কিছু নয়। তিনি বলেন, চীনের পশ্চিমাঞ্চলে তুর্কি মুসলমানরাও এখন এসব চাপের মুখে পড়ে পড়ছে। চীনের সাথে তুরস্কের সব ক্ষেত্রে সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে আকসয় বলেন, মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে চীনা কর্তৃপক্ষকে এসব বন্দিশিবির বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে আঙ্কারা। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানও ইতোপূর্বে উইঘুর মুসলিমদের ওপর ‘গণহত্যা’র জন্য চীনকে অভিযুক্ত করেছিলেন। ২০০৯ সালে দাঙ্গার পর থেকে চীন উইঘুর মুসলমানদের ওপর বেশ কড়াকড়ি আরোপ করতে থাকে। তখন নির্যাতন থেকে বাঁচতে দলে দলে তারা তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে চলে যায়। এদিকে ১০ লাখের বেশি উইঘুর সদস্যকে জিনজিয়াং কর্তৃপক্ষ সেখানকার বিভিন্ন বন্দিশিবিরে আটক করে রাখে। এসব বন্দিশিবিরে তাদেরকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হতো। নিজেদের বিশ্বাস ও ধর্মের বিরুদ্ধে তাদেরকে মগজ ধোলাই করা হতো। আন্তর্জাতিক বিশ্ব এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে প্রথমে চীনা কর্তৃপক্ষ এসব বন্দিশিবিরের অস্তিত্বই অস্বীকার করে। কিন্তু জাতিসঙ্ঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও দেশের ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে চীন এসব ক্যাম্পের কথা স্বীকার করে নেয়। তবে তারা দাবি করে, এসব মূলত বন্দিশিবির নয়, বরং এগুলো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। উইঘুর মুসলিমদের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যোগ্য করে তোলার জন্য তাদেরকে এসব ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। অবশ্য এসব ক্যাম্প থেকে মুক্তি পাওয়া বা পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের বর্ণনা চীনা কর্তৃপক্ষের এসব সাফাইয়ের পক্ষে কোনো সহায়ক হয়নি। বিবিসি বলছে, সাংবিধানিকভাবে চীনে ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকলেও কার্যত ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ইতোপূর্বে দেশটির খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের চার্চের ছাদের ওপর থেকে ক্রস চিহ্ন জোর করে নামিয়ে ফেলার মতো ঘটনা ঘটেছে। সেক্ষেত্রেও সরকারের তরফে বলা হয়েছিল ওই প্রতীকটি নীতিমালা অনুযায়ী হয়নি। আল-জাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি, টিআরটি ওয়ার্ল্ড।



 

Show all comments
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪২ এএম says : 0
    Let,s not buy nothing from brutal china ! There is no human rights, no democracy, no peace, all are in jail ! Shocking country !!
    Total Reply(0) Reply
  • তাসলিমা বেগম ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪২ এএম says : 0
    গনতন্ত্রহীনতা আর বর্বতার অনন্য উদাহরণ এখন চীন। মানুষের যদি স্বাধীনতাই না থাকে তবে উন্নত দেশ দিয়ে হবেটা কি?
    Total Reply(0) Reply
  • Noor Ul Islam Islam ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৩ এএম says : 0
    এই আহ্বানকে একযোগে সকল মুসলমানের সমর্থন অপরিহার্য।
    Total Reply(0) Reply
  • Nur Hossain ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৩ এএম says : 0
    Close the 'Wighur Torture Shibir'.
    Total Reply(0) Reply
  • আকবর আলী ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৩ এএম says : 0
    তুরষ্কের জ্ঞান শোনার সময় নাই চীনের
    Total Reply(0) Reply
  • Abul Kasam ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
    ইহুদী খৃস্টান মারলে সারা বিশ্ব লাফাই। এমনকি তারা নিজেরামেরেও মুসলমানদের দোষী করে প্রচার করে মুসলমানকে মারে।আর মুসলমান মারলেও সবায় চুপ মুসলমান শাসকরতো নামেমুসলমান খমতানিয়া বসেআচে নিজের দেশের মুসলিমকে ই আন্দোলন কে দমন পীরনকরে।
    Total Reply(0) Reply
  • Adnan Iqbal ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
    এরদোগান ই একমাত্র মুসলিম যিনি মুসলমানের অত্যাচার দেখে নিজে ঝাঁপিয়ে পড়েন... ধন্যবাদ এরদোগান এগিয়ে যাও বিশ্বের সব মুসলিম আপনার সাথে আছে..
    Total Reply(0) Reply
  • MD Ariful Islam ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    ফিলিপাইনের মিন্দানাওয়ের মুসলিমরা আজ স্বাধীনতা উপভোগ করছে। চীনের উইঘুর মুসলিমরা ও একদিন স্বাধীনতা উপভোগ করবে ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • L.H. Mollik ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    এটাকে বললে, হাস্যকর হবে। এরদোয়ান রহীঙ্গাদেরই কিছু করতে পরলোনা, আর চীনকে?
    Total Reply(0) Reply
  • Md Shohel Rana Sumon ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    এরদোগানের ন্যায় মুসলিম বিশ্বের সব নেতাদের মুখ খোলা উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Mdabulrazzak Mdabdulrazzak ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
    এক জনে আর কত করবে তার পরে ও ইনশাআল্লাহ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী তে ও যাবে আল্লাহ ভরসা। দোয়া ও শুভেচ্ছা শুভকামনা জানায়
    Total Reply(0) Reply
  • Mohid Howlader ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
    মুসলিমদের প্রিয় বন্ধু তুরস্কের এই নেতাকে শত কোটি ছালাম, তিনি মুসলিম জাহানের বিপদের সময় জেগে উঠে এবং পাশে থাকার চেস্টা করে ।
    Total Reply(1) Reply
    • md ismail ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৩:০২ পিএম says : 4
      The world should come forward

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মানবতার জন্য ভয়াবহ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ