Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লক্ষ্মীপুরে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট চালকরা, শ্রমিকদের বিক্ষোভ, চাঁদাবাজি বন্ধে মাঠে নেমেছে পুলিশ

লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক অফিস | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৪:৫২ পিএম

সিএনজি অটোরিক্সায় বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট চালক ও মালিকরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে ঝুমুর সিনেমা হল,কালীবাজার সড়ক,দক্ষিন তেমহুনীসহ বিভিন্ন স্থানে যানবাহন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা।
সেলিম উদ্দিন,কালা মিয়া,সালাউদ্দিন,মোসলেম মিয়াসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক জানায়, লক্ষ্মীপুর- চন্দ্রগঞ্জ,রামগতি,রায়পুর ও রামগঞ্জ সড়কে সিএনজি অটোরিক্সা চলতে হলে প্রতিদিন প্রতি সিএনজি ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত কয়েকটি স্পটে চাঁদা দিতে হয়। এছাড়াও পুলিশের নামে মাসোহারা ২শ থেকে ৩শ টাকা আদায় করে। চাঁদা দিতে দেরি হলে গাড়ি আটক ও চালকদের মারধর করে। বিশেষ করে এসব চাঁদা আদায়ের নেতৃত্বে রয়েছে উত্তর তেমুহানীর চৌধুরী মিয়া প্রকাশ লেভার চৌধুরী,দক্ষিন তেমহনী মিজান,ঝুমুর সিনেমা হল এলাকায় বেলাল হোসেন ও জকসিন বাজার এলাকায় ইউুসফও চরুরহিতার লেয়াকতসহ বেশ কয়েকজন চাঁদাবাজ। চাাঁদা ও গাড়ি মালিকের জমা টাকা দেয়ার পর আর কিছুই থাকেনা তাদের। এতে করে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তবে ট্রাফিক পুলিশকে দিতে হয় চাঁদা। এসব চাঁদাবাজি বন্ধে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসুচির হুমকি দেন তারা।
অপরদিকে গাড়ির মালিকরা অভিযোগ করে বলেন, বিআরটিএর গাফিলতির কারনে সিএনজি রেজিষ্ট্রশন করতে দিনের পর দিন মাসের পর এবং বছরও চলে যায়। কিন্তু রেজিষ্ট্রশন পাওয়া যাচ্ছেনা। পাশাপাশি ড্রাইভিং লাইসন্সের বেলায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে সড়কে নতুন গাড়ি নামানোর আগে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকায় চৌধুরী মিয়া প্রকাশ লেভার চৌধুরীর কাছে ভর্তি করাতে হয়। এতে করে সড়কে গেলে পুলিশ গাড়ি আটকিয়ে মামলা ও জরিমানা আদায় করছে। অন্যদিকে চাঁদাবাজতে অত্যচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছি। দ্রুত এসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সামনে আরো বড় ধরনের ক্ষতির সম্মখিুন হতে হবে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের।
লক্ষ্মীপুর বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বিআরটিএর হয়রানীর কথা অস্বীকার বলেন এ জেলায় প্রায় ১০ হাজারেও বেশি সিএনজি অটোরিক্্রা চলাচল করে। এর মধ্যে ৭ হাজার ২শ সিএনজির রেজিষ্ট্রশন রয়েছে। বাকী যেসব সিএনজি সড়কে চলাচল করে,তাদের কোনটিরও রেজিস্ট্রশন নেই বলে দাবী করেন তিনি। এসব চালকদের মধ্যে গুটি কয়েক চালক ছাড়া বাকীদের কোন লাইসন্সে নেই।
পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন সোমবার সকালে ঝুমুর সিনেমা হল এলাকায় গেলে চালকরা অভিযোগ করে বলেন, লেভার চৌধুরী,বেলাল হোসেন,ইউসুফসহ বেশ কয়েকজন চাঁদাবাজ পুলিশের কথা বলে প্রতিদিন ২শ থেকে আড়াইশ টাকা ও প্রতিমাসে ৩শ টাকা হারে তাদের চাঁদা আদায় করে। চাঁদা না দিলে মারধর করা হয় নানা হয়রানীরম মধ্যে পড়তে হয় তাদের। এ সময় চাঁদার টোকেনও দেখানো হয় পুলিশ সুপারকে। পরে পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন চাঁদা না দেয়ার নিদের্শ দেন এবং পরিবহন খাতে কোন চাঁদাবাজি চলবে বলে হুশিয়ারী দেন তিনি। এসব বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ