Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খালেদা জিয়ার মুক্তির দুটি পথ দেখালেন তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়াসহ যেকোনো সাজাৎুাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দেয়ার এখতিয়ার হচ্ছে আদালতেরএ বিএনপি বারবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে একই আহ্বান জানিয়ে প্রকৃতপক্ষে আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা জানাচ্ছে, আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছে, যেটি সমীচীন নয়। বিএনপি’র কথায় মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বও পালন করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এদিন সকালে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি’র প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন। স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামী আর বিএনপির সঙ্গে জোটে থাকছে না বলে যে খবর একটি সংবাদপত্রে এসেছে, তা সমাজে বাধাপ্রাপ্ত প্রেমিক-প্রেমিকার কৌশল কি না- সেই প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আলাদা হয়ে যাচ্ছে পত্রিকায় এই খবর বেরিয়েছে। ভেতরের খবর দেখতে পেলাম জামায়াত প্রকৃতপক্ষে বিএনপিকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে, অর্থাৎ বিএনপি ছাড়তে চায় না ওদেরকে, জামায়াত ছেড়ে চলে যাচ্ছে। একপি প্রত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিকূল পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএনপির সঙ্গে আর জোটে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তবে এই সিদ্ধান্তের কথা দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে না। বিএনপির সঙ্গ ছাড়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে তারা ২০-দলীয় জোটের কার্যক্রম থেকে নিক্রিয় থাকবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রেম যখন খুব গভীর হয়, সমাজ থেকে যখন বাধাপ্রাপ্ত হয়, তখন প্রেমিক- প্রেমিকা নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে, এটাও তাদের মধ্যে সে ধরনের কোনো কৌশল কি না আমি জানি না। তিনি বলেন, বিএনপি যদি জামায়াতকে ত্যাগ করত, যুদ্ধাপরাধী দলের সাথে এতদিন যে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন, আন্দোলন, ২০ বছর ধরে যুদ্ধাপরাধী দলের সঙ্গে যে সংসার আমরা ভুল করেছি, আমাদের এখন উপলব্ধি হয়েছে যুদ্ধাপরাধী দলের সঙ্গে থাকব না- এমন ঘোষণা দিয়ে যদি বিএনপি তাদের জোট থেকে জামায়াতকে বের করে দেয়, তবেই তাদের সাধুবাদ জানাব।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন, তা ‘সমীচীন হয়নি’ বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বা কোনো বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নেই। এ এখতিয়ার আদালতের। রিজভী বারবার একই আহ্বান জানিয়ে প্রকৃতপক্ষে আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, আইন আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙগুলি প্রদর্শন করছেন, যা সমীচীন নয়। যা দেশের আইনের শাসনকে,আইন-আদালতকে প্রকৃতপক্ষে আন্ডারমাইন করা হচ্ছে। তার কথায় মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বও পালন করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো বন্দি যদি তার দোষ স্বীকার করে প্রেসিডেন্টের কাছে মার্জনা চান, তাহলে প্রেসিডেন্ট মর্জানা করে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। বিএনপি যদি খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়, তাহলে আদালতের আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের এগোতে হবে। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে না গিয়ে তারা যদি অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি চান, সেটি সম্ভবপর নয়। খালেদা জিয়া তার দোষ স্বীকার করে প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। প্রেসিডেন্ট চাইলে ক্ষমা করতে পারেন, তার মুক্তির ব্যবস্থা করতে পারেন, এর বাইরে অন্য কোনো সুযোগ নেই।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:২০ পিএম says : 0
    তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ খালেদা জিয়ার মুক্তির উপর যে উপদেশ দিয়েছেন সেটাই খুবই যুক্তি সম্পন্ন সঠিক উপদেশ। এখন বিএনপিকে আইনের মাধ্যমে যা করার করতে হবে নয়ত অপরাধ মেনে নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এই দুই পথের একপথে যেতে হবে এরবাইরে আর কোন সুযোগ নেই এটাই সত্য। মন্ত্রী বিএনপি জামাত নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তার সাথে আমি একমত। কারন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার সাথে জামাতের আঁতাত ’৭৫ সাল থেকেই। তখন ছিল পর্দার অন্তরালে তারপর বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর বাস্তবে চলে আসে। কাজেই ৪৩ বছর পর তাদের মধ্যে ছাড়া ছাড়ি হবার কথাই আসেনা। তারপরও যখন কথা উঠেছে তখন অবশ্যই এটা গবেষনার বিষয়। সেদিক থেকে মন্ত্রী প্রেমের সাথে তুলনা করেছেন যেটা সময় উপযোগী তুলনা হয়েছে। এখানে আমি একটা কথা বলতে চাই সেটা হচ্ছে আল্লাহ্‌ আমাদেরকে ’৭১ সালে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু আমরা সেটা রক্ষা করতে পারিনি তাই ’৭৫ সালে আবার পাকিস্তান/ভারত/আমেরিকা/চীনের (ভারত ছাড়া বাকীরা ’৭১ প্রকাশ্যে আমাদের স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল) নিয়ন্ত্রণে চলে যায় দেশ। এরপর একই কায়দায় মানে ’৭০ এর নির্বাচনের মতই এবারও আমরা বিজয়ী হয়েছি। কাজেই আল্লাহ্‌ আমাদেরকে আরো একটা সুযোগ এতবছর কষ্টের পর দিয়েছেন সেই সুযোগ এখন কাজে লাগিয়ে স্বাধীনতার মূল মন্ত্র মানে বাঙালী জাতীয়তা বাদ এবং পাকিদের দোসরদেরকে প্রতিহত করা। এই বাংলা ভাষি পাকিদের দোসরদেরকে এখন বিভিন্ন উপায়ে প্রতিহত করার সুযোগ পেয়েছি। কাজেই এখন কোন ভাবেই সময় নষ্ট করা চলবে না বাংলাদেশের চিত্র থেকে পাকিদের দোসরদের নাম ও নিশানা মিটিয়ে ফেলতে হবে এটাই সত্য। সময় এখন সমস্ত সমস্যার সমাধান করে দিবে এটাই সত্য। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে আল্লাহ্‌র হেকমত জানার, বুঝার ও সেইভাবে নিজেদেরকে পরিচালনা করার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ