Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পর্যটকে মুখর সুন্দরবন

আবু হেনা মুক্তি | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম | আপডেট : ১২:১৫ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

পর্যটন মৌসুমের শেষ সময়ে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন। চলতি মৌসুমের প্রথম দিকে জাতীয় নির্বাচন থাকায় সুন্দরবনে পর্যটকদের ভীড় ছিল না বললেই চলে। গত দুই সপ্তাহ ধরে ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড় বাড়ছে সুন্দরবনের পর্যটন স্পটগুলোতে। জানা গেছে, শীত বিদায় নিলেও বসন্তের শুরতে তার আমেজ রয়েছে। বর্তমানে সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলো দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। আর ভিড় সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে বন প্রহরীদের। সুন্দরবন বিভাগ জানিয়েছে, দেশ-বিদেশ থেকে আশা পযর্টকদের ভিড় আরো কিছু দিন থাকবে।
ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সুন্দরবন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি জীব-বৈচিত্রের আধার। সুন্দরবন শুধু দেশের নয়, বিশ্বের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রেটি দূরত্বের দিক দিয়ে লোকালয়ের সবচেয়ে কাছের ও দর্শনীয় হওয়াতে সাধারণত পর্যটকের ভিড় সারা বছর লেগেই থাকে। করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ফুট টেইলার, সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার, লবন পানির কুমির, মায়া ও চিত্রল হরিণ, বানর ও বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপ বাটারগুল বাচকাসহ বিভিন্ন পশু-পাখি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে দেখে আনন্দ উপভোগ করেন পর্যটকরা।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের কারণে প্রায় দুইমাসের ‘খরা’ কাটিয়ে প্রাণ ফিরেছে বিশ্বের একমাত্র ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমণে আসছেন। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে মার্চ পর্যন্ত এসব স্পটে পর্যটকদের আনাগোনা আরো বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
এছাড়া পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, হিরণ পয়েন্ট, দুবলারচর ও হাড়বাড়িয়াসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলো। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বল্প সংখ্যক বন বিভাগের কর্মচারীদের।
করমজল প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবীর বলেন, জাতীয় নির্বাচনের কারণে এবার প্রথম দিক থেকেই দর্শকদের উপস্থিতি ছিল কম। তবে এখন দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত সুন্দরবন। পর্যটকদের ভিড় হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় তাদের সার্বিক সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে তারা সাধ্য অনুযায়ী সেবা ও নিরাপত্তা দিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, সরকারি বরাদ্দের অভাবে করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের দর্শনার্থীদের চাহিদানুযায়ী দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না সুন্দরবন বিভাগের পক্ষ থেকে। ভ্রমন পিপাসুরা জানান, সুন্দরবন কেন্দ্রীক পর্যটন শিল্পের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত। ফলে আগ্রহ থাকা সত্তে¡ও অনেক পর্যটক আসছেন না। এ বিষয়ে সরকারের নজর দেয়া প্রয়োজন।
মংলা বন্দরের বাদাবন ইকো-কটেজের পরিচালক মো. লিটন জমাদ্দার বলেন, ঘরে বসে সুন্দরবনের পাক-পাখালির ডাক, পায়ে হেঁটে বনের অপার সৌন্দর্য উপভোগ, নিরাপত্তার সঙ্গে রাতযাপন, মানসম্পন্ন খাবার, স্বল্প খরচে লোকালয় থেকে খুব কাছে ভ্রমণ করেই বিশ্বের একমাত্র ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন উপভোগের সুযোগ থাকায় পর্যটকরা এখন অনেকে কটেজে রাতযাপন করেন।
সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও গোলাম রহমান বিটু বলেন, প্রতি বছরই সুন্দরবনে দেশি-বিদেশী পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য এই মুহূর্তে সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে আরো বেশি আকর্ষণীয় ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুন্দরবন

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
২৭ ডিসেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ