Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা

প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ২৮ মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে ২টি প্যানেল প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছে। একটি প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ। অপর প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রযোজক-পরিবেশক সাবেক নেতা খোরশেদ আলম খসরু। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্র অঙ্গন জমে উঠছে। প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যাওয়া শুরু করেছেন। ফিল্ম পাড়ার অফিসগুলোতে চলছে নির্বাচনী আলোচনা। তবে খসরু-শামসুল আলম প্যানেলের মধ্যে কিছুটা মতদ্বৈততা রয়েছে বলে জানা যায়। জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় এফডিসিস্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির স্টাডি রুমে এক নির্বাচনী সভা হয়। ওই সভায় চলচ্চিত্র প্রযোজক মো. ইকবাল ও মেহেদী হাসান সিদ্দিকী মনিরের মধ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কথা নিয়ে বাক বিতÐার সৃষ্টি হয়। প্যানেলে কার নাম আগে যাবে তা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। সূত্র জানায়, এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ইকবাল সভার বাইরে চলে যান। তিনি বাইরে গিয়ে মনিরের বিরুদ্ধে উত্তেজিত হয়ে কিছু কথাবার্তা বলেন। দুজনকে শান্ত করতে উপস্থিত সদস্যরা উদ্যোগ নেন। পরে সভা চলাকালীন হঠাৎ করে ২৫/৩০ জন যুবক মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে এফডিসিতে প্রবেশ করেন। এরা সবাই বহিরাগত ছিল বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সশস্ত্র ছিলো বলে উপস্থিতরা ধারণা করেন। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মেহেদী হাসান সিদ্দিকী মনিরের ওপর চড়াও হন। তারা নানা রকম অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন। এতে এফডিসির ভেতর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে কাজও বন্ধ করে দেন। উত্তেজিত পরিস্থিতিতে সভা মুলতবি ঘোষণা করা হয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও এ বিষয়ে প্রযোজক সমিতির কোনো নেতাই কথা বলতে রাজি হননি। মেহেদী হাসান সিদ্দিকী মনিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচনী বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এ ছাড়া তেমন কিছু হয়নি। মো. ইকবালকে তার মোবাইলে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। খোরশেদ আলম খসরু জানান, আমাদের নির্বাচনী সভায় দুজনের মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে কথাকাটি হয়েছে। এটা নিজেদের মধ্যে মিটমাট করেছি। উল্লেখ্য, নির্বাচনে ১৩৯ জন ভোটার রয়েছেন। ওই দিন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এফডিসিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। দুই প্যানেলে যারা প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন তারা হলেন। আবদুল আজিজ প্যানেলের সদস্যরা হলেন-কামাল মো. কিবরিয়া লিপু, মোহাম্মদ হোসেন, শামীম আহমদ খান, শামসুল আলম, আতিকুর রহমান লিটন, আরিফুর রহমান টিটু, জোবায়ের আলম, রওশন আরা নিপা, হায়দার আলী, গোলাম মাওলা কায়েস, শাহ আলম কিরন, আবুল কাশেম, নাদের চৌধুরী, আবু তারেক শাকের, কবির হোসেন, রাবিনা বৃষ্টি, জাহিদ হোসেন, কালাম কায়সার। সহযোগি সদস্যরা হলেন-আশিকুর রহমান নাদিম ও আজিজ আহমেদ পাপ্পু। খোরশেদ আলম খসরু ও শামসুল আলম প্যানেলের সদস্যরা হলেন- মনতাজুর রহমান আকবর, শরীফ উদ্দিন খান দিপু, কাজী হায়াৎ, আনোয়ার হোসেন মিন্টু, মেহেদী হাসান সিদ্দিকী মনির, রশিদুল আমিন হলি, এ জে রানা, আরশাদ আদনান, মো. ইকবাল, জাহাঙ্গীর আলম, কামাল হোসেন, খালিদ হোসেন সম্রাট, মোরশেদ খান হিমেল, কাজী মো. ইসলাম মিয়া, আবদুল মাবুদ কায়সার, এ এম এম ইস্পাহানী। সহযোগী সদস্যরা হলেন আশফাক আহমেদ ও খন্দকার আরিফুজ্জামান। অন্যদিকে স্বতন্ত্র সদস্য প্রার্থী হলেন- ড্যানি সিডাক এবং স্বতন্ত্র সহযোগী সদস্য হলেন হেদায়েত উল্লাহ খান আজাদ ও রবিউল হাসান প্রিন্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ