মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিজেপির সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) পাড়ায় পাড়ায় মিছিল করছে। তাদের স্লোগান ‘শান্তি নয়, বদলা চাই’। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্নে এক সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা হুঁশিয়ার করে বলেছেন, দেশপ্রেমের নামে রাজ্যে কোনো অশান্তি বরদাশত করা হবে না। শক্ত হাতে দমন করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আত্মঘাতী হামলায় আধা সামরিক বাহিনীর ৪০ জনের বেশি সদস্য নিহত হন। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, সঙ্কটের মুহূর্তে বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে কিছুই বলছে না। কিন্তু বিজেপি রাজনীতি বন্ধ করছে না বলেই তার অভিযোগ। মমতা বলেন, ‘আসামের মিটিংয়ে অমিত শাহ কী বলেছেন? পুরো রাজনৈতিক ভাষণ! নরেন্দ্র মোদীও রাজনৈতিক ভাষণ দিয়েছেন! এত বড় ঘটনা ঘটার পর দায়িত্ব মাথায় নিয়ে পদত্যাগ না করে, দায়িত্ব পালন না করে রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান!’ এ দিন কেন্দ্রে নিজের কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘এত জন জওয়ানকে মেরে দেওয়া হয়েছে, তার পিছনে দুর্বলতা, গাফিলতি, অবহেলা রয়েছে। কেন আড়াই হাজার জওয়ানকে ৭৮টা কনভয়ে এক সঙ্গে যেতে দেওয়া হল? যখন সরকারের কাছে খবর ছিল হামলা হতে পারে! কেন বিমানে বা রেলে নিয়ে যাওয়া হল না? এত টাকা এত দিকে খরচ হয়, প্রচার করতে কত টাকা খরচ করা হয়? আমি কেন্দ্রে কাজ করে এসেছি। সবটাই জানি।’
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কাশ্মীরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে গোলমাল বাধানোর চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। মমতা বলেন, ‘দেশের সকল নাগরিককে অনুরোধ করব, যে কোনও প্রান্তে, যে কোনও রাজ্যে যে কোনও নাগরিকের থাকার অধিকার রয়েছে। দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। এটা একটা গেমপ্ল্যান। এই অপপ্রচারে যেন পা না দিই।’
মমতা বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি শান্তিপ্রিয় রাজ্য। এখানের মানুষ দেশপ্রেমের আদর্শে গড়া। এখানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ এক হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে পাথেয় করেছে। তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দূর অতীত থেকে এখানে বাস করে আসছেন। সেখানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস ও বিজেপি এক হয়ে জম্মু-কাশ্মীরের ঘটনাকে অস্ত্র করেছে। তারা দেশপ্রেমের ধুয়া তুলে রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে। যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।