Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জিয়া জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুন

সংবাদ সম্মেলন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

চট্টগ্রামে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। একই সাথে জাদুঘরের নামফলক থেকে মুছে দেয়া জিয়ার নাম পুনরায় স্থাপনের দাবিও করেছেন দলের নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নাসিমন ভবনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান তারা।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাদুঘরের নামফলক আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া না হলে পরদিন পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি ও ২৬ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতিক, নগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বদরুল আনোয়ারসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংসগঠনের নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি থেকে দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের পাশে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব তোলা হয়। প্রস্তাব তোলার পর দিনই ‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছাত্র ফোরামের’ নামে কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী জিয়া জাদুঘরের নামফলক থেকে প্রকাশ্যে মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়ার নাম মুছে ফেলে।
সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে এভাবে দিনের বেলায় নামফলক মুছে ফেলার সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। পরদিন পুলিশের উপস্থিতিতে জাদুঘরের সামনে শহীদ জিয়ার মুর‌্যাল কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। সরকারের মদদেই এই কাজ হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন। তিনি জানান, ঘটনার পরদিন তারা জাদুঘরের দায়িত্বে থাকা মতিউর রহমানের সাথে দেখা করে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা আগের রূপে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চট্টগ্রামের জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পাল্টে ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর’ করার প্রস্তাব করেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ওই প্রস্তাবের পরদিন জাদুঘরের নামফলকে জিয়াউর রহমানের নাম কালো কালি দিয়ে মুছে দেয় ছাত্র ফোরাম নামে একটি সংগঠন। সংগঠনটির সভাপতি পদে রয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক কার্যকরী সদস্য আব্দুর রহিম শামীম। আর নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক রাহুল দাশ সাধারণ সম্পাদক
জিয়ার নাম মুছে জাদুঘর এলাকায় উপমন্ত্রী নওফেলের ছবি টাঙিয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত বলেন, তিনি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার কাছ থেকে আমরা অনেক ভালো কিছু আশা করেছিলাম। জিয়ার নাম মুছে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান একজন সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভ‚ষিত করেছেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা মুখে মুক্তিযুদ্ধে চেতনার কথা বলেন, কিন্তু তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন না। সেজন্য একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডারের নামে প্রতিষ্ঠিত জিয়া জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ও নামফলক মুছে ফেলার মতো ধৃষ্টতা দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে অপমানিত করেছেন। তাদের এ উচ্ছৃঙ্খল কর্মকান্ড বাংলাদেশের রাজনীতিকে বিপদজনক যুগে নিয়ে যাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ