Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জুভেন্টাসকে উড়িয়ে দিল অ্যাটলেটিকো

মাদ্রিদে ফেরাটা সুখকর হলো না রোনালদোর

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:১৯ এএম

জমাট রক্ষণভাগে জুভেন্টাসের সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে খোলসে বন্দী করে রাখলেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ডিফেন্ডাররা। খোলসে বন্দী পাওলো দিবালা, মারিও মানজুকিচরাও। অথচ শেষ দিকে এসে পার্থক্য গড়ে দিলেন সেই ডিফেন্ডাররাই! হোসে মারিয়া হিমেনেস ও দিয়েগো গদিন- উরুগুয়ের এই দুই রক্ষণ সেনানীর গোলেই ইতালিয়ান ক্লাবটির বিপক্ষে দারুণ জয় পেয়েছে দিয়াগো সিমিওনির দল। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ২-০ গোলের এই জয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেলে মাদ্রিদের দলটি।

তবে ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটনে গোল করার মতো প্রথম সুযোগটি এদিন পেয়েছিল জুভেন্টাসই। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে ৩০ গজ দূরে ফ্রিকিক থেকে জোরালো এক শট নিয়েছিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। তবে দারুণ দক্ষতায় সে শট কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দেন অ্যাতলেটিকো গোলরক্ষক জন ওলবেক। চার মিনিট পর কর্নার থেকে ভালো হেড দিয়েছিলেন বানুচ্চি। কিন্তু বারপোস্টের সামান্য উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

১৫তম মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন থমাস পার্টি। সে শট লুফে নেন জুভেন্টাস গোলরক্ষক বোয়েচেক চেজনি। ২৭তম মিনিটে কস্তাকে ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল অ্যাটলেটিকো। তবে ভিএআরে দেখা যায় তাকে ডিবক্সের বাইরে থেকে বাধা দেওয়া হয়। ফলে ফ্রিকিক পায় দলটি। সে ফ্রিকিক থেকেও অবশ্য দুর্দান্ত এক শট নিয়েছিলেন গ্রিজম্যান। দারুণ দক্ষতায় সে শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক চেজনি।

দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে দিনের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি পেয়েছিলেন কস্তা। মাঝ মাঠ থেকে গ্রিজম্যানের বাড়ানো বলে ফাঁকায় বল পেয়ে যান তিনি। তবে গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যে শট নিতে না পারলে হতাশা বাড়ে দলটির। তিন মিনিট পর বড় বাঁচা বেঁচে যায় জুভেন্টাস। গ্রিজম্যানের ভলি চেজনির গ্লাভসে ছুঁয়ে বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে।

৭০ মিনিটে বল জালে জড়াতে পেরেছিল অ্যাতলেটিকো। তবে ভিএআরে বাতিল হয় সে গোল। এর ক্রসে হেড নেওয়ার আগে বানুচ্চিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ায় ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি। তবে আট মিনিট পরই কাঙ্ক্ষিত গোল পায় স্বাগতিকরা। কর্নার থেকে নেওয়া মোরাতার হেড ডিফেন্ডার ঠিকভাবে ফেরাতে না পারলে ছোট ডিবক্সে বল পেয়ে যান হোসে গিমেনেজ। তার শট আর ফেরাতে না পারলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

৮৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে অ্যাতলেটিকো। গ্রিজম্যানের ফ্রিকিক থেকে দিয়াগো গডিনের হেড ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল গডিনের কোণাকোণি শট রোনালদোর গায়ে লেগে বল জালে জড়ায়। ৮৯ মিনিটে রোনালদোর ফ্রিকিক থেকে ফেড্রিকো বের্নাদেচির শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক ওলবেক। ম্যাচের যোগ করা সময়ে ব্যবধান সহজ সুযোগ মিস করেন রোনালদো। ফাঁকায় হেড নিয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। ফলে ২-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় অতিথিদের।

এই ম্যাচ খেলতেই বহুদিন পর পুরনো শহর মাদ্রিদে ফিরেছিলেন রোনালদো। তবে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকার এই ফেরাটা সুখের হলো না।

হারের ধাক্কা কাটিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার আশায় আগামী ১২ মার্চ ফিরতি পর্বে ঘরের মাঠে খেলতে নামবে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।

শেষ ষোলোর প্রথম পর্বে একই সময়ে শুরু হওয়া আরেক ম্যাচে জার্মান ক্লাব শালকের মাঠে ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ