Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাবার খোঁজে মর্গে যমজ শিশু

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪২ এএম

চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কাওসার আহমেদ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্র নিহত হয়েছেন। নিহত কাওসার আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৩-২০১৪ সেশনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। মেধাবী কাওসার আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ১৭তম হয়েছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় বলে জানা গেছে। তিনি বিবাহিত এবং তার দুটি ফুটফুটে যমজ ছেলে মেয়ে রয়েছে। কাওসারের সহপাঠীদের সূত্রে জানা যায়, কুরআনে হাফেজ কাওসার পড়ালেখার পাশাপাশি চকবাজার এলাকায় পার্টনারশিপে মদিনা মেডিকেল হল ক্লিনিক নামে একটি ফার্মেসি দিয়েছিলেন।
ঘটনার রাতে কাওসার ফার্মেসিতেই অবস্থান করছিলেন। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ছুটে আসেন কাওসারের পরিবারের সদস্যরা। তারা সবাই চকবাজারেই থাকতেন। তার স্ত্রীর নাম মুক্তা। তাদের কোলে কাওসারের যমজ দুই ছেলে-মেয়েকে দেখা যায়। তারা কাওসারের যমজ ছেলে-মেয়ে আবদুল্লাহ ও মেহজাবীন। স্বজনেরা ওদের মুখের দিকে তাকাতে পারছেন না। অবিরাম চোখ বেয়ে ঝরছে পানি। বিলাপ করছেন তাদের মা মুক্তাও। তার জানা নেই সন্তানদের সান্তনা দেয়ার ভাষা।
পেশায় দাঁতের চিকিৎসক কাওসারের ভাই ইলিয়াস বলেন, আমি, ইয়ামীন, ফয়সাল, কাওসার আমরা চার ভাই। কাওসার মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। অগ্নিকান্ডের সময় ক্লিনিকের ভবনের গেট বন্ধ ছিল। তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিনে রাতে কাওসারের সঙ্গে ছিলেন তিন দাঁতের চিকিৎসক ও এক রোগী। এর মধ্যে ইমতিয়াজ ও আশরাফুল নামের দুই চিকিৎসক অন্য চিকিৎসকের অধীনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে শোক নেমে আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবারে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে কাওসার আহমেদের মৃতদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তার জানাজায় সহপাঠিরা অংশ নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহ মুসলিম হল বাঁধনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিশির আহমেদ বলেন, গত বছর আমরা বাঁধনের পক্ষ থেকে তার ফার্মেসিতে বøাড গ্রæপিং এর আয়োজন করেছিলাম। আজ সেই ফার্মেসিতেই তার পোডা লাশ। এটা মেনে নিতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিশু

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ