Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফের পরমাণু যুদ্ধের দামামায় রুশ-মার্কিন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম


রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি নিজ অঞ্চলের নৌসীমার কাছে সাবমেরিন কিংবা রণতরীতে শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ গতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে, তবে কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পরিস্থিতির জন্য রাশিয়া সামরিকভাবে প্রস্তুত আছে। ১৯৬২ সালের দিকে কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের শুরু হয়েছিল। তখন তুরস্কে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে কিউবায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছিল রাশিয়া। ফ্লোরিডা থেকে মাত্র ৯০ মাইল দূরের দেশে সোভিয়েত ক্ষেপণাস্ত্র তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন কেনেডি ও তার প্রশাসনকে আতঙ্কিত করে তোলে। পরিস্থিতির মোকাবেলায় কিউবায় সামরিক হস্তক্ষেপেরও হুমকি দেন তিনি। এতে পারমাণবিক যুদ্ধের কিনারে গিয়ে ঠেকেছিল দুই পরাশক্তি। এর পর পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পর দেশ দুটির মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বাড়ছে। রাশিয়ার ভয়, ইউরোপে মাঝারি পাল্লার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ ঠাÐা যুদ্ধকালীন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে দুই দেশই ইতিমধ্যে আলাদা হয়ে গেছে। বুধবার রুশ গণমাধ্যমে পুতিনের এ মন্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি করে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ওয়াশিংটন যদি রাশিয়ার কাছে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের উদ্যোগ নেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও একই ধরনের কিংবা তার চেয়েও দ্রæতগতির ক্ষেপণাস্ত্র বসাবে রাশিয়া। প্রথমবারের মতো হুশিয়ারিতে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দিতে ইউরোপে মাঝারি পাল্লার পরমাণু অস্ত্র বসায়, তবে রণতরী কিংবা সাবমেরিনে শব্দের চেয়েও দ্রæতগতির ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে পারে রাশিয়া, যা মার্কিন ভূখÐের জলসীমার কাছে ওঁৎ পেতে থাকবে। তিনি বলেন, আমরা নৌ সরবরাহ পরিবহন নিয়ে আলাপ করেছি। সেটি সাবমেরিন কিংবা পানিতে ভাসমান রণতরী হতে পারে। আমরা তাতে ক্ষেপণাস্ত্র বসাব। সেগুলো বসে থাকবে না, তারা গতিশীল থাকবে এবং নিজের লক্ষ্যবস্তুকে খুঁজে নেবে। ‘আপনারা এগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন। ম্যাচ নাইন (শব্দের চেয়ে ৯ গুণ), যার আওতা হবে হাজার কিলোমিটার।’ পুতিনের এ আগাম হুশিয়ারিকে প্রপাগান্ডা বলে উড়িয়ে দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, মস্কোর বিরুদ্ধে ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ) চুক্তি লঙ্ঘনের যে অভিযোগ ওয়াশিংটন করছে, তা থেকে অন্যদিকে মনোযোগ নিয়ে যেতে চাওয়া হচ্ছে। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি কোনো অস্ত্র প্রতিযোগিতা চাচ্ছেন না। কিন্তু ইউরোপে যদি নতুন কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ওয়াশিংটন বসায়, তবে তার কিছু করার থাকবে না। কারণ ওই ক্ষেপণাস্ত্র মাত্র ১০ কিংবা ১২ মিনিটের মধ্যে রাশিয়ায় আঘাত হানতে পারবে। এ রকম কোনো মার্কিন উদ্যোগের জবাবে রাশিয়াও এমন নৌব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রে একই সময় কিংবা তার চেয়েও দ্রæতগতিতে হামলা চালাতে পারে। ইউরোপে ক্ষেপণাস্ত্র বসালে রাশিয়ায় খুব কম সময়ে হামলা চালাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। রুশ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এমন জায়গায় মোতায়েন করা হবে, যেখান থেকে সহজে এবং দ্রæততম সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এএফপি, রয়টার্স।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ