Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এরদোগান-ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা

সিরিয়ায় ২শ’ মার্কিন সেনা থাকছে, আসাদ বাহিনীর হামলায় নিহত ৩৮

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সাথে সিরিয়া ইস্যুতে ফোনে আলোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মধ্যে এ আলোচনা হয়। ফোনে দুই প্রেসিডেন্ট সিরিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য যৌথ বাহিনী গঠন এবং সঙ্ঘাত নিরসনে রাজনৈতিক সমাধানে সহায়তা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় এরদোগান ও ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। গত বছরের ডিসেম্বরের ট্রাম্প এক ঘোষণায় সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ পরাজিত হয়েছে দাবি করে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এর কিছুদিন পর এরদোগান জানান, সিরিয়ায় রয়ে যাওয়া অবশিষ্ট সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে তার দেশ। এ সময় সেখানে ওয়াইপিজের শাখা পিকেকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দেয়। তুরস্কের এ সিদ্ধান্তে অস্থিরতা শুরু হয় ওয়াশিংটনে। কারণ সিরিয়ায় তারা লড়াইয়ের সময় সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এর সহায়তা নিয়েছিল। এই এসডিএফের সিংহভাগেই রয়েছে ওয়াইপিজি। তুরস্কে যারা একটি সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত। তুরস্ক দাবি করে, এই দলটি তুরস্কে যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে তাতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ফলে এ বিষয়টি নিয়ে আঙ্কারা ও ওয়াশিংটনের উত্তেজনা দেখা দেয়। ওয়াশিংটনের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় পিকেকের নাম থাকলেও দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় তাদের সাহায্যই নিয়েছিল মার্কিন সেনাবাহিনী। এতে তারা ন্যাটোর সহযোগী দেশগুলোর সতর্কবার্তাও উপেক্ষা করে। অপর এক খবরে বলা হয়, সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও ২শ জন সেনা সেখানে অবস্থান করবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এক বিবৃতিতে এক মুখপাত্র জানান, কিছু সময়ের জন্য ২০০ সদস্যের একটি শান্তিরক্ষী বাহিনী সিরিয়ায় অবস্থান করবে। ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর ট্রাম্প ঘোষণা দেন সিরিয়া থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের। ২০১৬ সালে আইএসের কাছ থেকে মানবিজ দখল করে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)। এই জোটে রয়েছে মার্কিন সমর্থিত কুর্দিশ ওয়াইপিজি। তুরস্ক ওয়াইপিজিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) শাখা সংগঠন মনে করে। পিকেকে কয়েক দশক ধরে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তার সহযোগী সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামও এর সমালোচনা করেন। তবে সা¤প্রতিক সিদ্ধান্তে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক সেনাদের জন্য সেফজোন তৈরি করাই আইএস দমনসহ শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উত্তম সিদ্ধান্ত। তবে ওই ২০০ সেনা কোথায় অবস্থান করবে তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস। মার্কিন সংবাদমাধ্যম-এর এক সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০ সেনা ইরাক-জর্ডান সীমান্তের আট-তানফ এলাকা ও সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করবে। অপরদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার হামায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৩৮ জন বেসামরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হেলমেটস নামে খ্যাত সিভিল ডিফেন্স। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। ডেইলি সাবাহ, সিএনএন, আনাদোলু।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এরদোগান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ