কুমিল্লায় মাদক ব্যবসায়ীদের বিজিবির বন্দুক যোদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ী আহত হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবা উদ্বার করা হয়েছে।
বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ ইকবাল হোসেন জানান , গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আনুামানিক পৌনে তিনটায় বড়জ্বালা বিওপি’র টহলদল কুমিল্লা আদর্শ সদর থানার বামইল পোষ্ট অফিস এর পূর্ব কোটেশ্বর নামক স্থান হতে -কুমিল্লার গ্রাম-আমড়াতলী গ্রামের মৃত মোহনের ছেলে মোঃ হারুন (৩৫)কে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় আটক করা হয়। আটককৃত আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় যে, বিপুল পরিমানে ইয়াবা ট্যাবলেট ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন ছয়গ্রাম পোষ্টঅফিস এর জামতলা আদর্শগ্রাম (পাঁচ পিলার) নামক এলাকার সীমান্ত মেইন পিলার-২০৬৬/৭-এস এর নিকট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে বড়জ্বালা বিওপির’র সুবেদার মোঃ জহুরুল ইসলাম এবং খারেরা বিওপি’র হাবিলদার মোঃ খলিলুর রহমান এর নেতৃত্বে যৌথ টহলদল ধৃত আসামীকে নিয়ে উল্ল্যেখিত এলাকায় অবস্থান নিয়েওঁত পেতে থাকে। পরে ভোর রাতে জামতলা আদর্শগ্রাম (পাঁচ পিলার) এলাকায় একদল ব্যক্তিকে দেখে যৌথ টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। যৌথ টহল দলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই চোরাকারবারীদের দলীয় লোকজন টহলদলের উপর অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ করে। এই সুযোগে আটককৃত মোঃ হারুন টহলদল হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে চোরাকারবারীদের সাথে যোগ দেয়। তাদের সংঘবদ্ধ আক্রমণ প্রতিহত এবং সরকারী জান/মাল রক্ষার্থে বিজিবি টহল দলের ফায়ারে বিজিবি এর নিকট হতে পলায়নকৃত মোঃ হারুন (৩৫) আক্রমনরত অবস্থায় তার ডান পায়ের হাঁটুর নীচে গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় টহলদল তাকে আবারও আটক করে। পুনরায় আটকের সাথে সাথে তাকে অত্র ব্যাটালিয়নের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় ঘটনাস্থল হতে ২২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
বর্তমানে সে পুলিশের তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আটককৃত ব্যক্তির নামে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে বুড়িচং থানায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।