Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইভিনিং ইসলামিক স্কুল : একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোলজার আহমদ হেলাল

সিলেটে এই প্রথম শিশুদের আন্তর্জাতিকমানের বিশেষায়িত ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘ইভিনিং ইসলামিক স্কুল’ এর যাত্রা শুরু হয়েছে। ব্যতিক্রমধর্মী এ প্রতিষ্ঠানে অত্যন্ত যুগোপযোগী সিলেবাস ও পাঠদানের মাধ্যমে শিশুদের আল-কোরআন ও ইসলামের মৌলিক শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।
আমরা জানি, দেশপ্রেমিক আদর্শ নাগরিক তৈরির জন্য অন্যান্য শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা বা নৈতিক শিক্ষাই আসল পাথেয়। চীনা একটি প্রবাদ আছে যদি আপনি শত বছরের পরিকল্পনা করেন তাহলে একটি গাছ লাগান। আর যদি হাজার বছরের পরিকল্পনা করেন তাহলে মানুষ তৈরি কর। দার্শনিক পাংকেল মানুষকে চারিত্রিক শিক্ষার দিকে উৎসাহিত করেছেন। কারণ চারিত্রিক শক্তিই মানবসম্পদের মূল চালিকা শক্তি। ইংরেজীতে একটি কথা আছে, ডযবহ সড়হবু রং ষড়ংঃ, হড়ঃযরহম রং ষড়ংঃ, ডযবহ যবধষঃয রং ষড়ংঃ, ঝড়সবঃযরহম রং ষড়ংঃ, ইঁঃ যিবহ ঈযধৎধপঃবৎ রং ষড়ংঃ, বাবৎুঃযরহম রং ষড়ংঃ.
অর্থাৎ আপনার টাকা হারিয়ে গেছে কিছুই না, স্বাস্থ্য নষ্ট হলে কিছু হারিয়ে গেল, কিন্তু চরিত্র নষ্ট হয়ে গেলে সবকিছুই হারিয়ে গেল। বস্তুবাদী সভ্যতার অন্যতম দার্শনিক ঝঃধহষু ঐধষষ বলেছেন, ওভ ুড়ঁ ঃবধপয ুড়ঁৎ পযরষফৎবহ ঃযৎবব জ’ঝ জবধফরহম, ৎিরঃঃরহম ্ ধৎরঃযসবঃরপ ধহফ ুড়ঁ রিষষ ষবধাব ঃযব ৪ঃয জ ৎবষরমরড়হ, ঃযবহ ুড়ঁ রিষষ মবঃ ৫ঃয জ ৎধংশধষরঃু. অর্থাৎ যদি আপনি আপনার শিশুকে তিনটি জ শিক্ষা দেন পড়া, লেখা এবং অংক কিন্তু চতুর্থ জ রিলিজিয়ন বাদ দিয়ে দেন তাহলে আপনি পাবেন ৫ম একটি জ রাসকেলিটি বা উশৃঙ্খলতা। অর্থাৎ ধর্মহীনতা। সুতরাং জবষরমরড়হ. ধর্মশিক্ষা বা নৈতিক শিক্ষা খুবই জরুরি।
আল-কোরআনের সূরা আহযাবে আল্লাহ বলেছেন ‘লাকাদ ক্বানা লাকুম ফি রাসূলিল্লাহি উসওয়াতুন হাসানা’ অর্থাৎ তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের জীবনই সর্বোত্তম আদর্শ। অর্থাৎ আল কুরআন ও ইসলামের শিক্ষাই নৈতিক শিক্ষা। এর বিকল্প কোন কিছুই নাই। বর্তমান সামাজিক অবক্ষয়ের মূল কারণ হলো নৈতিক শিক্ষার অভাব।
আজ তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে রকেটের গতিতে। আর মানবীয় চরিত্র আর ভালবাসার পতন ঘটছে উল্কার গতিতে। আজ আকাশছোঁয়া অট্টালিকা হচ্ছে কিন্তু কোন ঘরে মানসিক প্রশান্তি নেই। মঙ্গলগ্রহের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে কিন্তু নিজের প্রতিবেশী এমনকি নিজের স্বজনদের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। তাই যেমন প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে ব্যাপকভাবে ঠিক তেমনি পাল্লা দিয়ে হাতাশা আর অশান্তি, হত্যা, আত্মহত্যারও হার বাড়ছে। এর কারণ একটি বর্তমান পৃথিবীর শাসকরা বস্তুগত ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের প্রতি নজর দিলেও মন ও আত্মার উন্নয়নের দিকে তারা নজর দেয়নি। তাই অনেকে আক্ষেপ করে বলেন বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ। আসলে দোষটা বিজ্ঞানের নয়। বরং যারা বিজ্ঞানচর্চা করছে তাদের কারণ তারা বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের যোগ করতে পারেনি অথবা দোষটা আমাদের যারা ধর্ম পেয়েছি কিন্তু এর সাথে বিজ্ঞানকে যুক্ত করিনি। সুতরাং আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে যাদের হাতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী আদর্শ ইসলাম আছে তারা ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের সমন্বয় ও এর প্রয়োগে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
সম্প্রতি পরিচালিত এক জরীপে দেখা যায়, সারা বিশ্বের ৯০% অনারব মুসলিম কুরআন পড়তে জানে না। আমাদের দেশের শতকরা ৮-৯ জন মুসলমান কোরআন পড়তে জানে। আবার অধিকাংশের তেলাওয়াত সহীহ্ (শুদ্ধ) হয় না। সাধারণত আমাদের দেশের শিশু-কিশোরেরা সকালে মসজিদ-মক্তবে গিয়ে কোরআন পড়া শিখে। বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়মের কারণে এ সুযোগ আর নেই। এখন শিশুরা সকালে থাকে স্কুলের পাঠে, বিকালে থাকে খেলার মাঠে। তাই শিশুদেরকে আনন্দ ও বিনোদনের মাধ্যমে অর্থাৎ খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রাণবন্ত উপায়ে কুরআন পড়া ও আরবী ভাষা শিখানো অতীব প্রয়োজন। কারণ একটি শিশুর শৈশব জীবনের শিক্ষা-দীক্ষা ও ধ্যান-ধারণা তার সারা জীবনের উপর প্রভাব ফেলে থাকে। তাই শিশু জীবনকে যুগোপযোগী তথ্য-প্রযুক্তির জ্ঞানে সমৃদ্ধ, বিজ্ঞানমনস্ক ও ইসলামের আলোকে বিকশিত করার লক্ষ্যে সিলেটে ইভিনিং ইসলামিক স্কুলের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মূলত শিশু-কিশোরদের সহীহ্ কোরআন তেলাওয়াত শিক্ষা (সহীহ্ শুদ্ধভাবে কোরআন শেখানো), মৌলিক ইসলামী শিক্ষা প্রদান, স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ইসলামী আদব-কায়দাশিক্ষা দেয়া ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতির জ্ঞান-প্রদান সহ আরবী ও ইংরেজী বর্ণমালা ও শব্দের সাথে পরিচয় করানোর পাশাপাশি শিশু প্রতিভা বিকাশে প্রয়োজনীয় সাধারণ জ্ঞান ও প্রাথমিক অংক শিক্ষার ধারণা প্রদানই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। নির্ধারিত কোর্স ও সুনির্ধারিত বিষয়ের উপর সেমিস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষাদান ও গ্রেডিং পদ্ধতিতে মূল্যায়নের মাধ্যমে দক্ষ ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। আজ অমুসলিমরাও একথা ভাবতে শুরু করেছে, ধর্মীয় শিক্ষা না থাকায় বর্তমান সমাজ বিপর্যস্ত ও বাধাগ্রস্ত। পৌরাণিক আগ্রাসনে এ সমাজ নানাভাবে বিধ্বস্ত। তাই তারা বিভিন্ন জায়গায় বৈদিক স্কুল ও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করছে।
কোরআনের তেলাওয়াত, শোনা ও শোনানো, শেখা ও শেখানো, প্রচার ও প্রসার করা এসবই মানুষের ইহকাল ও পরকালের মহা কল্যাণ। মানুষের উপর কোরআন মজিদের যে কয়েকটি হক আছে তন্মধ্যে কোরআন মজিদ তারতীলের সঙ্গে তেলাওয়াত করা অন্যতম। শুধু তাই নয় সঠিকভাবে বিশুদ্ধ উচ্চারণে তেলাওয়াত করা ফরজ। আর কোরআন তিলাওয়াত নফল ইবাদাতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদাত। কোরআন মজিদই একমাত্র আসমানি গ্রন্থ যা তিলাওয়াত করলে ছওয়াব মিলে। এর প্রতিটি হরফ উচ্চারণে দশটি নেকি মিলে। আর আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় হল তারই নির্দেশিত পন্থায় রাসূলের (সা.) শেখানো পদ্ধতিতে তিলাওয়াত। সুতরাং মুসলমানদের জন্য সহীহ্ শুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াত অবশ্যই কর্তব্য। এর জন্য উৎকৃষ্ট সময় শিশু কাল।
জানা যায় ১৯৯২ সালে শ্রীলঙ্কায় ‘দি ইসলামিক মডেল স্কুল’ (আই এম এস) নামে এ ধরনের বৈকালিক প্রতিষ্ঠান প্রথমে চালু হয়। প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা সেখানকার দাতব্য প্রতিষ্ঠান ঞযব ঈবহঃৎব ভড়ৎ রংষধসরপ মঁরফধহপব (ঈওএ). ঈড়সসরঃবফ ভড়ৎ ঝড়পরড়-বফঁপধঃরড়হধষ রসঢ়ৎড়াসবহঃ ধহফ ংঢ়ৎরঃরঃঁধষ মঁরফধহপব (ঈওএ) এর আওতায় ২৫জন ছাত্র ও ৩জন শিক্ষক নিয়ে বিভিন্ন সরকারি স্কুলের ভবনে তারা শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি ঐরভুঁষ ছঁৎধহ ঝপযড়ড়ষ (ঐড়ষু ছঁৎধহ গবসড়ৎরুধঃরড়হ ংপযড়ড়ষ) ঈওএ-এর মসজিদে শুরু করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে শিশুদের কোরআন শিক্ষার লক্ষ্যে ইভিনিং স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। যেমন- লন্ডনে চ্যারিটি সংস্থা ঃযব রংষধসরপ মঁরফধহপব ঈবহঃৎব (ওএঈ)-এর উদ্যোগে ঊাবহরহম গধফৎধংধয, ঊাবহরহম ্ ডববশবহফ রংষধসরপ ংপযড়ড়ষ, ধফঁষঃ রংষধসরপ ংপযড়ড়ষ, ঊধংঃ খড়হফড়হ সড়ংয়ঁব ্ খড়হফড়হ সঁংষরস পবহঃৎব (খগঈ)-এর উদ্যোগে বাবহরহম সধফৎধংধয ষরনৎধৎু ্ ড়ঃযবৎং ধপঃরারঃরবং, ঃযব ঈড়ঁহপর ড়ভ রংষধসরপ মঁরফধহপব, অষ-ওযংধহ অপধফবসু-এর উদ্যোগে ঊাবহরহম রংষধসরপ ংপযড়ড়ষ, কানাডায় ওংষধসরপ ঋড়ঁহফধঃরড়হ ড়ভ ঞড়ৎড়হঃড়-এর উদ্যোগে জবষরমরড়ঁং ঝপযড়ড়ষ-ঊাবহরহম গধফৎধংধয , ঋৎরফধু ঝপযড়ড়ষ, ঝঁসসবৎ ঝপযড়ড়ষ, ঝঁহফধু ঝপযড়ড়ষ, ইকরা ইসলামিক স্কুল, ওঝঘঅ ঊষবসবহঃধৎু ঝপযড়ড়ষ, ঃযব রংষধসরপ ংপযড়ড়ষ ড়ভ গরধসর, ঝড়ঁঃয ঋষড়ৎরফধ’ু ঈবহঃৎব ভড়ৎ রংষধসরপ মঁরফধহপব, মধ্যপ্রাচ্যে কাতার ফাউন্ডেশন, আমেরিকায় ওহঃ’ রংষধসরপ বফঁপধঃরড়হ (ওওঊ) ধহফ ওহঃ. রহং. ড়ভ রংষধসরপ ঃযড়ঁমযঃং (ওওওঞ) ওয়াসিংটন ডিসি এর উদ্যোগে এধরনের স্কুল পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে বেশ কয়েকবছর পূর্বে সৌদি আরব ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ডঅগণ (গবসনবৎ ড়ভ টঘ ঘএঙ’ঝ)-এর উদ্যোগে তাদের উধধিয ্ ঊফঁপধঃরড়হ উবঢ়ঃ. এর অধীন ঈযরষফৎবহ চৎড়মৎধসসব এর চৎড়লবপঃ হিসেবে ঢাকার উত্তরায় ঊাবহরহম রংষধসরপ ঝপযড়ড়ষ প্রতিষ্ঠিত হয়।
শিশুদের কোরআন শিক্ষা ও নৈতিকতার বিকাশ সাধনে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সিলেটের অভিজাত এলাকা শাহজালাল উপশহরে ঊাবহরহম ওংষধসরপ ঝপযড়ড়ষ, ঝুষযবঃ (ধহ রহরঃরধঃরাব ড়ভ ধভভরহরঃু মৎড়ঁঢ়) প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ইহা অভভরহরঃু এৎড়ঁঢ় এর শিক্ষা বিভাগের অধীন জবষরমরড়ঁং ঝপযড়ড়ষ চৎড়মৎধসসব-এর একটি প্রকল্প। মনে রাখা প্রয়োজন, ইসলামের প্রথম শিক্ষাঙ্গন বা মাদ্রাসা হচ্ছে মক্কার নূর পর্বতের চূড়ায়। জাবালে নূর, জ্যোতির্ময় পর্বতের চূড়ায়, হেরা গুহায়। দ্বিতীয় শিক্ষাঙ্গন হচ্ছে হারাম শরীফের সীমানায় সাহাবী আরকাম ইবনুল আরাকামের বাড়ি। তৃতীয় শিক্ষাঙ্গন হচ্ছে মসজিদে নববী। এরপর ইসলাম প্রচারের সাথে সাথে বিভিন্ন জায়গায় মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকা, বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠে। মুসলমানরা এভাবে সমাজে ইসলাম ও কুরআন শিক্ষার বিস্তার করে। সে এক ইতিহাস। উল্লেখ্য সিলেটে কোরআন শিক্ষার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রচলিত আছে। তবে পূর্ণাঙ্গ একাডেমিক ঝঃধঃঁং এ সুস্পষ্ট সিলেবাস ও সু-নির্ধারিত বিষয়ভিত্তিক শিশুদের কুরআন ও ইসলাম শিক্ষার আন্তর্জাতিক মানের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইভিনিং ইসলামিক স্কুলই- সিলেটে প্রথম। আশা করা যায়, সমাজের ইসলাম প্রেমিক ও মুসলমান জনগণের সন্তানদের মৌলিক ইসলামী শিক্ষার অভাব পূরণে ইহা ভূমিকা রাখবে।
লেখক : প্রিন্সিপাল, ইভিনিং ইসলামিক স্কুল, সিলেট। স্থানীয় প্রতিনিধি (দায়ী)ডঅগণ ইধহমষধফবংয ড়ভভরপব, উযধশধ.



 

Show all comments
  • nasar ahmad ১৭ মে, ২০১৬, ৯:২৪ পিএম says : 0
    bangla lakha pora jachena tikmoto.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইভিনিং ইসলামিক স্কুল : একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ