Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ আইসিবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

পুঁজিবাজারের উন্নয়ন এবং তারল্য প্রবাহ স্থিতিশীল রাখতে ২০১৮-২০১৯ হিসাব বছরে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে কর্মসম্পাদন চুক্তি হয়। কিন্তু এই হিসাব বছরের প্রথম অর্ধে চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি আইসিবি।
স¤প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট দফতরের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের কর্মসম্পাদন চুক্তির ১ম অর্ধবার্ষিকী মূল্যায়ন প্রতিবেদন পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।
কার্যবিবরণীতে বলা হয়, আইসিবি’র মূল্যায়ন প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, স্টক এক্সচেঞ্জগুলোয় আইসিবির লেনদেনের পরিমাণ, মার্কেট পার্টিসিপেন্ট, মার্চেন্ট ব্যাংকিং, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ব্যবস্থাপনা, শ্রেণিকৃত ঋত আদায়, অবলোপনকৃত ঋত আদায়, ইক্যুইটি হিসেবে বিনিয়োগকৃত অর্থ আদায়, অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি কার্যক্রমের উন্নয়ন, শুন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ প্রদান প্রভৃতি কার্যক্রমে আইসিবি নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি।
আইসিবির এমন পরিস্থিতিতে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, যেসব সূচকে অর্জন সন্তোষজনক নয় সেসব ক্ষেত্রে অর্থবছরের বাকি সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।
জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ হিসাব বছরের কর্মসম্পাদন চুক্তিমতে পুঁজিবাজারে নতুন করে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগ, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সেকেন্ডারি মার্কেটে ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন, ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা মার্জিন ঋণ এবং ৩৫০ কোটি টাকা প্রকল্প ঋণ ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড সার্টিফিকেটের বিপরীতে অগ্রিম বিতরণ, আইপিও-তে ১০টি কোম্পানির ইস্যু ম্যানেজমেন্ট এবং আটটি কোম্পানির আন্ডারাইটিং এবং সঞ্চয় সংগ্রহ ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র স¤প্রসারণের লক্ষ্যে চলতি অর্থবছরে ২ হাজার ৫০০ সংখ্যক মার্কেট পার্টিসিপেন্ট সৃষ্টি এবং ৭০ কোটি টাকার মিউচ্যুয়াল ফান্ড সার্টিফিকেট বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
এদিকে আইসিবির ব্যবসায় ব্যাপক ধস নেমেছে। চলতি হিসাব বছরের প্রথম অর্ধে তাদের মুনাফা আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। এর জন্য তারা শেয়ারবাজারের মন্দাভাবকে দায়ী করেছে। আর তারল্য সঙ্কটের কারণে তারা কর্মসম্পাদন চুক্তি মতে লক্ষ্য অর্জনের পথে এগুতে পারছে না।
২০১৮-২০১৯ হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে শূণ্য দশমিক ২২ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ দশমিক ৪৫ টাকা। ইপিএস কমেছে ৮৫ শতাংশ। এদিকে ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’১৮) শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে শূণ্য দশমিক ৬৩ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩ দশমিক ২৩ টাকা। ইপিএস কমেছে ৮০ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমেছে। এছাড়া শেয়ার প্রতি সমন্বিত নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪ দশমিক ৩৮ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪৬ দশমিক ২৪ টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ