Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার জন্য অর্থের প্রস্তাব দেয়া হয়নি : চীন

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

মিয়ানমারের সেনাদের নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো অর্থ প্রস্তাব হয়নি বলে দাবি করছে চীন। ঢাকার চীনা দূতাবাসের পলিটিক্যাল ডেস্কের প্রধান ভেরা হু ইমেল বার্তায় এ দাবি করেছেন।
মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যেক পরিবারকে চীনের অর্থ সহায়তার প্রস্তাবের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর তিনি এ দাবি করেছেন।
২০১৭ সালের আগস্টে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রাখাইনে পূর্ব পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। পরে তাদেরকে ফেরাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার চুক্তি করলেও এখনও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।
গত রবিবার চীন সরকারের এশিয়া বিষয়ক দূত সুন গোজিয়াংয়ের নেতৃত্বে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ও অন্যান্যদের সাথে আলোচনা করেন। কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে ২৯ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সাথে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ৬ হাজার ডলার আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দেয় চীন। রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা একটি এনজিও সেই ভিডিও অনলাইনেও প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে ভেরা হু’র বুধবার এক ইমেইল বার্তায় তিনি চীনের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের টাকা দেওয়ার প্রস্তাব অস্বীকার করে বলেন, আমি ভিডিওটি দেখিনি এবং সেখানে ছিলামও না। তবে চীন কখনো রোহিঙ্গাদের অর্থ দেয়ার প্রস্তাব দিতে পারে না। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের রাখাইন ফিরে যাবার জন্য চীন কখনো টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করেনি।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের পক্ষ থেকে টাকা দেওয়া হবে কি না এই তথ্যের সপক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. উইন মিয়াত আয়ে এবং রাখাইন তদন্ত কমিশনের সদস্য ড. অং তুন থেটকে কয়েকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রেডিও ফ্রি এশিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ