Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কাঠগড়ায় ইঁদুর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বিহারের ইঁদুরের এমনিতেই অনেক বদনাম! এ বার ইঁদুর অভিযুক্ত হীরা চুরির অভিযোগ। পুলিশ এফআইআরে লেখা হল ইঁদুরের কথাই। এবার পাটনার বোরিং রোডের একটি নামী গহনার দোকানে হীরার গয়না চুরিতে অভিযুক্ত ইঁদুর। এবং তার প্রমাণ মিলেছে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজেই। এখন তন্নতন্ন করে চোরাই মাল খোঁজা হচ্ছে। দোকানের ফলস সিলিং থেকে দেওয়ালের গর্ত, কিছুই বাদ দিচ্ছে না পুলিশ। এর আগে ‘পুলিশের মালখানা থেকে ‘মদ খেয়ে নেওয়া’ বা ‘বাঁধে গর্ত করে তা ভেঙে দেওয়ায়’ ইঁদুরের দলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। তবে এ বার পুলিশের হাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ রয়েছে।
গহনার দোকানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে বেশ কয়েকটি দামী হীরার গয়না চুরি যায়। স্বাভাবিক ভাবেই দোকানের কর্মচারীদের সন্দেহ করে কর্তৃপক্ষ। থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। দোকানের ভিতরে থাকা তিনটি সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। তাতেই দেখা যায় মুখে করে হীরার গয়নার প্লাস্টিক প্যাকেট নিয়ে চম্পট দিচ্ছে ইঁদুর। আর তা এতই সন্তর্পণে যে কারও নজরেই পড়ছে না। ‘জুয়েল থিফ’ ইঁদুরের কান্ড দেখার পরে অবাক দোকানের কর্তারাও। দোকানের ফলস সিলিং ভেঙে এখন চলছে গয়নার খোঁজ। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হীরার গয়না পাওয়া যায়নি।
এর আগে বক্সার জেলা পুলিশের মালখানায় কয়েক লক্ষ গ্যালন মদ গায়েব হয়ে যায়। সেই দায় চাপানো হয় ইঁদুরের উপরে। পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন বিরোধী নেতারা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ঘুরপথে ওই মদ চোরাবাজারে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশই। একই ভাবে ভাগলপুরের কহলগাঁওয়ে সেচ দফতরের বাঁধ উদ্বোধন করার আগের দিন তা ভেঙে পড়ে। সরকার দায় চাপায় সেই ইঁদুরের উপরেই। তাদের গর্তের ফলেই বাঁধ ভেঙেছে বলে দাবি করেন সেচমন্ত্রী ললন সিংহ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ