Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পুলওয়ামার ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানে হামলা কেন

মুনশী আবদুল মাননান | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ভারত অধিকৃত পুলওয়ামা জেলায় ১৪ ফেব্রুয়ারি এক আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলায় আধা সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) ৪০ জন সদস্য নিহত হওয়ার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়ার দায় ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার এড়িয়ে যেতে পারে না। পাকিস্তানের মদদপুষ্ট বলে অভিহিত সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ এ হামলার দায় স্বীকার করলেও পাকিস্তান তার সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে। পাকিস্তানের তরফে এই মর্মে জানিয়ে দেয়া হয় যে, ২০০২ সাল থেকে সংগঠনটির কর্যক্রম পাকিস্তানে নিষিদ্ধ। এর নেতাদেরও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভারত পাকিস্তানের এ বক্তব্যে কোনো রূপ আমল না দিয়ে পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে একঘরে করার পাশাপাশি প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সশস্ত্র বাহিনীকে যে কোনো সময় পাকিস্তানে হামলা চালাতে ছাড়পত্র দিয়ে দেন। এরই প্রেক্ষাপটে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বালাকোট এলাকায় হামলা চালায়। হামলায় অত্যন্ত ১০ টন বোমা ফেলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। বলা হয়, জইশ-ই-মুহাম্মদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং অন্তত ৩০০ সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে। হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক জনসভায় উল্লাস প্রকাশ করে বলেন: ‘আমি বলেছি দেশকে রসাতলে যেতে দেবো না, থমকে যেতে দেবো না, মচকাবো না। ভারতমাতাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তার সম্মান রক্ষা করবো। আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি, দেশের নেতৃত্ব উপযুক্ত হাতেই আছে।’
নরেন্দ্র মোদির এ বক্তব্যের শেষ বাক্য থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না, ‘নেতৃত্ব উপযুক্ত হাতেই আছে’ এটা প্রমাণ করার জন্য পাকিস্তানের অভ্যন্তরে তার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে এ হামলা চালানো হয়। নেতৃত্বের সক্ষমতা প্রমাণের জন্য এ রকম হামলা চালিয়ে বড় ধরনের যুদ্ধের ঝুঁকি নেয়া কতটা যৌক্তিক ও উচিত হয়েছে তা নিয়ে খোদ ভারতেই তুমুল আলোচনা হচ্ছে। পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার জবাব দিতে এগিয়ে আসেনি। বরং অত্যন্ত ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছে। নরেন্দ্র মোদির মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও যদি তার নেতৃত্বের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে ভারতে অনুরূপ বিমান হামলা চালাতে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীকে নির্দেশ দিতেন তাহলে কি হতো, সহজেই অনুমান করা যায়। পর্যবেক্ষকদের অভিমত, পাকিস্তানের পরিণামদর্শিতা ও বিচক্ষণতার কারণে সম্ভাব্য একটি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। বলার অপেক্ষা রায় না, দু’দেশই পরমাণু অস্ত্রধারী। বড় ধরনের কোনো যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার তাই অসম্ভব বলে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
আর পরমাণু যুদ্ধ হলে কী পরিণতি ঘটতে পারে। তার বিশদ উল্লেখ ও ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না। ইতোমধ্যে এটা সবারই জানা হয়ে গেছে যে, পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বিমানের সীমান্ত লঙ্ঘনের যথাবিহীত জবাব দিয়েছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী। সংক্ষিপ্ত আকাশ যুদ্ধে ভারত দুটি বিমান হারিয়েছে। একটি বিমানের বিমানসেনাকে আটক করে পাকিস্তান উপযুক্ত নিরাপত্তা ও আতিথেয়তা দেখিয়ে পরে শান্তি ও সৌহার্দের বার্তাস্বরূপ তাকে ভারতে ফেরত পাঠিয়েছে। পাকিস্তান সরকার এবং বিশেষভাবে সরকার প্রধান ইমরান খান এজন্য বিশ্বজুড়ে উচ্চ প্রশংসা অর্জন করেছেন। ভারতের শান্তিকামী জনগণও তাকে বিপুলভাবে অভিনন্দিত করেছে। পাকিস্তানের ইতিবাচক ভূমিকায় যুদ্ধের আশঙ্কা তিরোহিত হওয়া অবশ্যই একটা স্বস্তির বিষয়। আরেকটি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ব্যাপারে (যা পরমাণু যুদ্ধে রূপান্তরিত হতে পারে) আন্তর্জাতিক মহল যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। তারা উভয় দেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে ও সতর্ক করে দেয়। তদুপরি দু’দেশের আমজনগণ যুদ্ধবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করে জানিয়ে দেয়, তারা যুদ্ধ নয়, শান্তি চায়। যুদ্ধের পরিসর আর না বাড়ার পেছনে এ দুটি কারণ বিশেষভাবে ভূমিকা রেখেছে।
পাকিস্তানে বিমান হামলা চালিয়ে ভারতের কি লাভ হয়েছে, তা নিয়ে এখন আলোচনা-বিশ্লেষণ চলছে। সকলেই একমত, এতে ভারতের কোনো লাভ হয়নি। ভারত যখন পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে একঘরে করার উদ্যোগ নিয়েছিলো, তখন বিশ্বের অনেক দেশের সহানূভূতি সে পেয়েছিল। বিমান হামলার পরে সেই সহানুভূতি সম্পূর্ণ নিঃশেষ হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, সেই সহানুভূতি পুরোটাই পাকিস্তানের পক্ষে চলে গেছে। বিনা উসকানিতে এ ধরনের হামলার ঘটনা বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে নিন্দিত ও সমলোচিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত: বিমান হামলার পর জইশ-ই-মুহাম্মদের ঘাঁটি ধ্বংস, ৩০০ সন্ত্রাসী হত্যা ও বিশাল ক্ষতির যে বিবরণ দেয়া হয়েছিল, এখন দেখা যাচ্ছে, তার কোনোটিই সত্য নয়। পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সরেজমিন প্রতিবেদন (ছবিসহ) দেখা গেছে, যে গ্রামটিতে বিমান হামলা হয়েছে, সেই জাবা নামের পাহাড়ী গ্রামে ৪০০-৫০০ লোকের বাস। সেখানে বোমায় কেউ মারা যায়নি। এক কুঁড়েঘরে কেবল একজন লোক সামান্য আহত হয়েছে। তবে তার কুঁড়েঘরটি অক্ষত আছে। একটি মাত্র কাক মারা পড়েছে। কিছু পাইন গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর জঙ্গলের ভেতর বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। অথচ সরকারপন্থী ভারতীয় মিডিয়াগুলো সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে মনের মাধুরী মিশিয়ে বিমান হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিয়ে উসকানিমূলক শিরোনামে খবর পরিবেশন করেছে। কেউ উল্লেখ করেছে, নিহতের সংখ্যা ২০০ থেকে ৩০০। কেউ বলেছে ৩০০। কেউ বলেছে ৩৫০। কেউ খবরের শিরোনাম করেছে, ‘ভারতের পাল্টা আঘাত’, কেউ করেছে, ‘ভারতের প্রত্যাঘাত’। কেউ করেছে, ‘গুঁড়িয়ে গিয়েছে পাকিস্তান, কাঁপছে’। কেউ করেছে, ‘নিঃশেষ করা হয়েছে জইশের শীর্ষ নেতাদের’। ‘নির্ভরযোগ্য সূত্র’ অর্থে সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষ, না বিমানবাহিনী, নাকি কোনো গোয়েন্দা সংস্থা- তার হদিস পাওয়া যায়নি। বিমান হামলার তথাকথিত ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সরকার কিংবা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্যও পাওয়া যায়নি। ভারতের বিরোধী ও রাজনৈতিক দলগুলো প্রকৃত তথ্য দাবি করেছে। বিরোধীদল ও সিভিল সোসাইটির নেতারা বলেছেন, পুলওয়ামার ঘটনা নিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনে জেতার জন্য যুদ্ধের নাটক সাজিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এ সম্পর্কে বলেছেন, ‘দেশের প্রয়োজনে যদি যুদ্ধ হয়, তাহলে আমরা দেশের সঙ্গে আছি। কিন্তু রাজনীতির প্রয়োজনে আমরা যুদ্ধ চাই না। নির্বাচনে জেতার জন্য আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা শান্তি চাই।’
পুলওয়ামার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা যেভাবে হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণার বিষবাষ্প ছড়িয়েছেন, তা নজিরবিহীন। এ হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা একাধারে কাশ্মিরীদের বিরুদ্ধে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ভারতের সংখ্যাগুরু হিন্দুদের মধ্যে উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার, তাদের মন-মানসিকতার ওপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি এবং তাদের ক্ষেপিয়ে তোলাই ছিল এর লক্ষ্য, যা আংশিকভাবে সফল হয়েছে। কাশ্মিরী মুসলমানসহ অন্যান্য এলাকার মুসলমানদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, তারা নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পতিত হয়েছে। পাকিস্তানে যথারীতি হামলা হয়েছে। কোনো দল বা তার নেতারা যখন জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করেন, সাম্প্রদায়িকতা ছড়ান, সংঘাত সৃষ্টিতে উসকানি দেন তখন বুঝতে হবে তারা সেটা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই করছেন। বিজেপির এই মুসলিমবিরোধী রাজনীতি মোটেই নতুন নয়। গত নির্বাচনে তার বিপুল বিজয়ের পেছনে হিন্দুত্ববাদী ও মুসলিমবিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক রাজনীতিই নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। মোদিঝড়ও বিজয়ের অন্যতম কারণ ছিল। ইতোমধ্যে বিজেপির জনপ্রিয়তায় ব্যাপক ধস লক্ষ্য করা গেছে। মোদিঝড়ও স্তিমিত হয়ে গেছে। এর প্রমাণ, বিভিন্ন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় পরাজয়। উত্তর, মধ্য ও পশ্চিম ভারতে বিজেপির অবস্থা খুবই নাজুক। ওই সব এলাকায় কংগ্রেসসহ বিরোধী জোট নির্বাচনে জয় পেয়েছে এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাদের বিজয়ের সম্ভাবনাই উচ্চকিত হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায়, বিজেপি অনেকটাই দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ববাদী ও মুসলিমবিদ্বেষী রাজনীতিতে ভাটার টান পড়েছে। বিজেপি ও তার মাতৃ-সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেতারা এতে অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়েছেন। তারা কিভাবে বিজেপির হৃত জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে এনে ক্ষমতার মসনদ ঠিক রাখা যায় তার জন্য চেষ্টা-কোশেশের কখনও কসুর করছেন না। তারা দেখাতে চাইছেন, নরেন্দ্র মোদির বিকল্প নেতা এ মুহূর্তে ভারতে দ্বিতীয় কেউ নেই, যিনি জাতীয় সঙ্কটে তার মত সাহসী ভূমিকা রাখতে পারেন। তারা এইসঙ্গে বিজেপির সময়কালে যে সব উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে, তার বর্ণাঢ্য প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে প্রভাবিত করার কৌশল গ্রহণ করেছেন। বলাবাহুল্য, এতেও হালে পানি মিলছে না। এই প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একজন নেতা কিছুটা হতাশার সুরে কিছুদিন আগে বলেছেন, ‘মোদি সব সময় বিশ্বাস করেন নির্বাচনে অবশ্যই জনগণের আবেগ কাজে লাগাতে হয়। সেই রকমের জোরালো আবেগের অভাব রয়েছে।’
পুলওয়ামার ঘটনাকে সেই ‘জোরালো আবেগ’ সৃষ্টির একটা যুৎসই উপলক্ষ বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের তরফে। অবশ্য ইতোমধ্যেই তা বুমেরাং হওয়ার পথ ধরেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দুত্ববাদ জাগিয়ে তোলার সর্বোমুখী প্রয়াস চালানো হয়েছে। একইসঙ্গে মুসলিম বিদ্বেষ তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে। বিজেপির রাজনীতির চিরাচরিত লাইন হলো, হিন্দুত্ববাদ জাগিয়ে ও মুসলিমবিদ্বেষ ছড়িয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ভোটাদের মন জয় করে তাদের ভোটে ক্ষমতার মসনদে অধিষ্ঠিত হওয়া। মুসলমানদের নতুন করে সাম্প্রদায়িক হামলার মুখে ঠেলে দেয়া এবং পাকিস্তানে বিমান হামলা চালানোর ক্ষেত্রে এ রাজনীতিটাই প্ররোচনা জুগিয়েছে। ভারতের অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিবাদী মানুষ, সিভিল সোসাইটি এবং বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের কাছে বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এই কূট রাজনৈতিক চালটি এখন অত্যন্ত স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়েছে। ফলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে, সেটা আন্দাজ করা কঠিন নয়। পাকিস্তানে আগ্রাসী, অপ্রয়োজনীয় ও নিষ্ফল বিমান হামলার জবাব দিতে গিয়েই বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেতাদের এখন হয়রান-পেরেশান হয়ে যেতে হবে। এইসঙ্গে বিজেপি শাসনামলে জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি, সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার, অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব, কৃষকদের প্রতি অবহেলা, দুর্নীতি ইত্যাদির জবাবও দিতে হবে।
সন্ত্রাসী হামলা এবং তার জবাবে সামরিক অভিযান বা হামলার ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশে, বিশেষত নির্বাচনী প্রচারণায় কাজে লাগানোর নজির বিরল নয়। বিশ্বের অনেক দেশেই এ ধরনের দৃষ্টান্ত রয়েছে। তবে সব ক্ষেত্রে এ কৌশল কাজ দেয় না। ভারতের বিজেপি সরকার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সর্বোতভাবে পুলওয়ামা ও পাকিস্তানে হামলার ঘটনাকে ব্যবহার করতে গিয়ে ফাটা বাঁশে আটকে গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন